সিলেটে মসজিদের দানবাক্স ভেঙে টাকা চুরি
Published: 22nd, March 2025 GMT
সিলেট মহানগরীতে একটি মসজিদের দানবাক্স ভেঙে টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার মহানগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের হাতিমবাগ জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটলেও জানাজানি হয় শনিবার (২২ মার্চ)।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রাকিব বলেন, ‘‘সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, একটি ছেলে দানবাক্স ভেঙে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।’’
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘দানবাক্স ভেঙে টাকা চুরির বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে, এখনো চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।’’
ঢাকা/নূর/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খাটে শিশুর, স্ত্রীর মেঝেতে, স্বামীর লাশ ঝুলছিল রশিতে
গাজীপুর কালিয়াকৈরের একই পরিবারের তিন সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে উপজেলার গবিন্দবাড়ি দেওয়ানপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে স্ত্রী-সন্তান ও স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়েছে স্বামী।
নিহতরা হলেন- মো. নাজমুল ইসলাম (২৯), স্ত্রী খাদিজা আক্তার (২২) ও তাদের ৪ বছরের কন্যা সন্তান নাদিয়া আক্তার। নিহত নাজমুল টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার শুলাপ্রতিমা গ্রামের মো. আবুর ছেলে। তার কোনো পেশা ছিল না এবং তিনি নেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগরীর গবিন্দবাড়ি এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে নাজমুল ইসলাম বসবাস করতেন। অনেকদিন ধরেই নানা বিষয় নিয়ে তাদের পারিবারিক কলহ চলছিল। এসব নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো। গত শনিবার রাত অনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে তারা নিজ ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়েন। সকাল হয়ে গেলেও তারা ঘুম থেকে না উঠায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পরিবারের লোকজন তাদের ডাকাডাকি করতে থাকে। কোনো সারা শব্দ না পেয়ে স্বজনরা ঘরের পেছন দিকের জানালা টেনে ফাঁকা করে দেখেন নাজমুলের লাশ ঝুলে আছে। পরে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখেন খাদিজা ও নাদিয়ার নিথর দেহ বিছানায় পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ১০টার দিকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, খাটে ছিল শিশুর মরদেহ, স্ত্রীর লাশ মেঝেতে, স্বামীর লাশ রশিতে ঝোলা অবস্থায় পাই। পরে সেখান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনও মামলা হয়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।