বরগুনায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার পলাতক আসামিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১০। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চুনকুটিয়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. সজীব (৩৫)। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার কালির তবক এলাকার মনু ফিটারের ছেলে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি বরগুনা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলার এজাহারনামীয় আসামি তিনি। মামলার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

র‍্যাব-১০-এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এবং সহকারী পুলিশ সুপার শামীম হাসান সরদার বলেন, ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বরগুনা সদরে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে বাগানবাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন আসামি সজীব। এ ঘটনায় কিশোরীর মামা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণের একটি মামলা করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে সজীব আত্মগোপনে চলে যান। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সজীবকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‍্যাব-১০-এর অধিনায়ককে একটি পত্র পাঠান। সেই পত্রের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চুনকুটিয়া এলাকা থেকে সজীবকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১০। গ্রেপ্তার সজীবকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ব ১০ বরগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ভবনের পাশ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের একটি ভবনের পাশ থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল রোববার বিকেলে লাশটি উদ্ধার করা হয়। যুবকের নাম তারেক রহমান ওরফে সানি (৩৫)। তাঁর হাত-পা ভাঙা ছিল।

পুলিশের ধারণা, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চুরি করতে ঢুকেছিল এই যুবক। ধাওয়া খেয়ে ভবন থেকে পড়ে তিনি মারা গেছেন।

শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) যোবায়ের হোসেন আজ সোমবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে একটি ফোন আসে। বলা হয়, একটি ভবনের পাশে এক যুবকের লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এসআই যোবায়ের হোসেন বলেন, তাঁদের প্রাথমিক ধারণা, তারেক চুরি করতে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে ভবনের পঞ্চম তলার বারান্দা থেকে পা ফসকে নিচে পড়ে যান। কারণ, পঞ্চম তলার বারান্দায় কোনো রেলিং ছিল না। আগে চুরির অভিযোগে তারেক জেল খেটেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে চুরি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, তারেকের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। তিনি রাজধানীতে থাকতেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ