চাঁদপুরে আগুনে পুড়ল ১৪ দোকান, কয়েকশ দলিল
Published: 22nd, March 2025 GMT
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভা মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে পুড়ে গেছে দলিল লেখকদের ১৪টি দোকান। শুক্রবার (২১ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মাসুম অভিযোগ করে বলেন, ‘হাজীগঞ্জ পৌরসভা ও চাঁদপুর জেলা পরিষদের মধ্যে এই মার্কেট নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। জেলা পরিষদ একাধিকবার দোকানগুলো উচ্ছেদ করতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘দলিল লেখকরা এসব দোকান ভাড়া নিয়ে অফিস হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। উপজেলার কয়েকশ দলিল এখানে ছিল। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’’
আরো পড়ুন:
চাটমোহরে আগুনে পুড়ল ২ দিনমজুরের ঘর, পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও
ঘুমন্ত বিএনপি কর্মীর ঘরে বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন
হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোতালেব মিয়া বলেন, ‘‘বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা। অগ্নিকাণ্ডে দলিল লেখকদের ১৪টি দোকান পুড়ে গেছে।’’
ঢাকা/অমরেশ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন শিল্পে গ্যাসের মূল্য ৩৩% বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের
নতুন শিল্পে গ্যাসের মূল্য ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধির নিন্দা জানিয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, বিনিয়োগের পরিবেশ ও সাধারণ মানুষের জীবনমানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করে সংগঠনটি।
আজ সোমবার রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, করোনা মহামারি থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি ধারাবাহিক সংকটে জর্জরিত। এ সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সরকার ‘সার্বিক বিনিয়োগ বাড়ানোর’ অঙ্গীকার করলেও গ্যাসের দাম বাড়িয়ে শিল্প খাতকে চাপের মুখে ফেলেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) স্বীকার করেছে, তারা মূল্যবৃদ্ধির পক্ষে কোনো স্পষ্ট অর্থনৈতিক বা রাজস্বভিত্তিক যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেনি। কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘রাজস্ব চাহিদা’ বিবেচনা না করে মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সরকারের প্রতিশ্রুত স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থার পরিপন্থী।
এ অবস্থায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—শিল্প খাতসহ সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সহনীয় মূল্যকাঠামো নির্ধারণ করা, জ্বালানি খাতের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং দুর্নীতি ও অপচয় রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া, ‘নতুন’ ও ‘পুরোনো’ শিল্পের মধ্যে বৈষম্য দূর করে একই মূল্যনীতি চালু করা এবং ভবিষ্যতে কোনো নীতি প্রণয়নের আগে সব স্তরের অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা ও তাদের সম্মতি নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুননতুন শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ল ৩৩ শতাংশ, পুরোনো শিল্পে বাড়তি ব্যবহারে নতুন দাম১৩ এপ্রিল ২০২৫