বিশিষ্ট আলেম-ওলামারা যাকাতের সেমিনারে বলেছেন, প্রতিটি মুসলিম ধনী ব্যক্তির সম্পদকে সুরক্ষিত করতে যাকাত আদায় নিশ্চিত করতে হবে। যাকাত সঠিকভাবে আদায় না করলে তাদের সম্পদ ধ্বংস হবে।

শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আগারগাঁওয়ে প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের আয়োজনে ‘যাকাতের অর্থ সংগ্রহ ও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তারা এসব কথা বলেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আব্দুস ছালাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড গভর্নর ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর মহাসচিব আল্লামা মাহফুজুল হক, মাদারীপুরের শিবচর জামেআতুস সুন্নাহ মাদ্সার মুহতামিম আল্লামা নেয়ামতুল্লাহ আল-ফরিদী, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব মো.

আবদুর রহিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার, মহিউদ্দিন মাহিন, মো. আব্দুল হামিদ খান, উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবির, আবুল কাশেম প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

রোজা থেকে রাগ নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা 

ইতিকাফের মর্যাদা ও বিধান

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান বলেন, “আল্লাহর নির্দেশ মতে ধনী ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে যাকাত আদায় নিশ্চিত করতে হবে। দেশে প্রচলিত যাকাতের সুষম বণ্টন নিশ্চত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার আরো বাড়ানো যেতে পারে। আমাদের আলেম ও ওলামাগণ যাকাত যে ফরজ ইবাদত এ বিষয়ে সবাইকে বোঝাতে হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড গভর্নর ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর মহাসচিব আল্লামা মাহফুজুল হক বলেন, যাকাত আদায় ও বণ্টন আরো সুচারুরূপে করতে আমাদের আরো অনেক কিছু করণীয় আছে। আমরা সেই চেষ্টা করতে বদ্ধপরিকর।

মাদারীপুরের শিবচর জামেআতুস সুন্নাহ মাদ্সার মুহতামিম আল্লামা নেয়ামতুল্লাহ আল-ফরিদী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সঠিকভাবে যাকাত দিলে দেশে কোন দরিদ্র মানুষ থাকবে না। সঠিকভাবে যাকাত দিলে অন্তত দুই বছর পর আমাদের দেশে যাকাত নেওয়ার লোক থাকবে না।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রমজ ন ইসল ম ন শ চ ত করত আল ল ম

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের তালিকা থেকে তালেবান নেতা হাক্কানির জন্য বরাদ্দ পুরস্কার প্রত্যাহার

আফগান তালেবানের প্রভাবশালী নেতা এবং দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানিকে ধরতে তথ্য দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এক কোটি ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। তবে সম্প্রতি এই পুরস্কার প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই)-এর ওয়েবসাইটে এখনো হাক্কানির বিষয়ে পুরস্কারের তথ্য মুছে ফেলা হয়নি। সুত্র: আল জাজিরা

সিরাজুদ্দিন হাক্কানি বর্তমানে তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রয়টার্স জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার তালেবান দুই বছর ধরে আটক রাখা মার্কিন নাগরিক জর্জ গ্লেজম্যানকে মুক্তি দেওয়ার পরই হাক্কানির ওপর থেকে পুরস্কার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসে।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে আফগানিস্তানে পর্যটক হিসেবে গিয়ে তালেবানের হাতে আটক হন গ্লেজম্যান। তার মুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও কাতার সরকারের মধ্যস্থতায় ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং এটিকে ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মার্কিন নাগরিকদের মুক্তি দেওয়ার ঘটনা তাদের বৈশ্বিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টার অংশ। যদিও ২০২১ সালে তালেবান সরকার ক্ষমতায় ফেরার পরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো তাদের সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি।

সিরাজুদ্দিন হাক্কানির বাবা জালালুদ্দিন হাক্কানি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এবং কুখ্যাত হাক্কানি নেটওয়ার্ক গঠন করেন। যুক্তরাষ্ট্র হাক্কানি নেটওয়ার্ককে একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে বিবেচনা করে।

এই গোষ্ঠী আত্মঘাতী হামলা এবং অপহরণের মতো বহু সহিংস ঘটনায় জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে, ২০১৪ সালে মার্কিন সেনা বোয়ে বার্গডাহলসহ বেশ কয়েকজন পশ্চিমা নাগরিককে মুক্তিপণের জন্য আটক রাখার জন্য হাক্কানি নেটওয়ার্ককে দায়ী করা হয়।

এছাড়া, ২০২২ সালে কাবুলে এক ড্রোন হামলায় আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হন। ধারণা করা হয়, তিনি হাক্কানির বাসভবনে অবস্থান করছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ