শেরপুরে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৬ জন। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের বটতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মুসলিম উদ্দিন (২৩) জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার তেতুলতলা গ্রামের সহিজ উদ্দিনের ছেলে। শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শেরপুরগামী একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে আহত হন সাত জন। স্থানীয়রা আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মুসলিম উদ্দিন ও অটোরিকশাচালক আলাউদ্দিনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পথেই মুসলিম উদ্দিন মারা যান।

ঢাকা/তারিকুল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চারদিকে এত এত পুরুষের গল্প

জয়া আহসান। বরেণ্য অভিনেত্রী ও মডেল। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আসছে ২৮ মার্চ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পাবে জয়া অভিনীত নতুন সিরিজ ‘জিম্মি’। প্রথমবার ওটিটিতে ‘২ষ’ সিরিজে জয়া হাজির হয়েছিলেন অতিথি চরিত্রে, ডাইনিরূপে। জিম্মিতে এবার তাঁকে দেখা যাবে রুনা লায়লা নামে সরকারি নিম্নপদস্থ এক কর্মচারীর ভূমিকায়। এই সিরিজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তাঁর সঙ্গে– 
শনিবার প্রকাশ হলো ‘জিম্মি’র ট্রেলার। জানতে চাই ‘জিম্মি’র গল্পটা কী ধরনের?
জয়া আহসান:জিম্মি’ একটি সামাজিক, হিউমারধর্মী ও বাস্তবসম্মত গল্প। এই গল্পে এমন কিছু বিষয় আছে, যা দর্শককে ভাবাবে। যদিও গল্পটি কোনো শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি নয়। তবুও এতে কিছু ঘটনাপ্রবাহ আছে, যা দর্শককে সচেতন করবে এবং জীবন সম্পর্কে নতুনভাবে চিন্তা করতে উৎসাহিত করবে। সিরিজের গল্পে দেখা যাবে, রুনা লায়লা সরকারি নিম্নপদস্থ এক কর্মচারী। যে ১০ বছর ধরে কোনো প্রমোশন পায় না। স্বামী-স্ত্রীর টানাটানির সংসার। উচ্চাকাঙ্ক্ষী রুনা একদিন অফিসের স্টোররুমে বাক্সভর্তি টাকা পায়। হঠাৎ পাওয়া এই টাকা নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন। শেষ পর্যন্ত লোভের কাছে 
জিম্মি হয়ে পড়ে সে।

এই সিরিজে আপনি অভিনয় করেছেন রুনা লায়লা চরিত্রে। এই নামটি শুনলেই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পীর কথা মাথায় আসে।
জয়া আহসান: হ্যাঁ। এটি আমার কাছেও মনে হয়। নাটক, সিনেমা বা ওটিটি– যে কোনো গল্পেই চরিত্রের নাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক, যা অনেকেই অবহেলা করেন। কিন্তু এই সিরিজের নির্মাতা আশফাক নিপুণ এটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন এবং পরিচিত ও শক্তিশালী একটি নাম বেছে নিয়েছেন, যা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। চলতি বছরের শুরুতে সিরিজটির শুটিং হয়। ঈদে মুক্তি পাচ্ছে ‘জিম্মি’। এর আগে অন্তরাতে ক্যামিও চরিত্রে দেখা গেলেও জিম্মি বাংলাদেশে অভিনয় করা আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ। নিপুণের সঙ্গে আমার প্রথম কাজ, দারুণ এক গল্পের সিরিজ। সব দিক থেকে এটি আমার কাছে স্পেশাল।

ঈদ উৎসবে নিজের প্রথম সিরিজ নিয়ে আসতে পেরে কেমন লাগছে?
জয়া আহসান: ঈদের উৎসবে দর্শক সিরিজটি দেখবে, এটি খুব ভালো লাগার। এতে আমার সঙ্গে ভালো ভালো অভিনয়শিল্পী কাজ করেছেন। হইচই প্ল্যাটফর্ম থেকে সিরিজটি আসছে। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে অনেক ভালো কাজ হয়েছে, দর্শকও পছন্দ করেছে। আশা করছি, এবারও দর্শকের ভালো লাগবে। এখানে কাজ করে ব্যক্তিগতভাবে আনন্দ পেয়েছি। বাকিটা দর্শকের ওপরে। দর্শককে এটুকু বলব, জিম্মি ভালো লাগলে সবাইকে দেখার জন্য বলবেন।

আশফাক নিপুণের সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগল?
জয়া আহসান: নির্মাতা হিসেবে নিপুণ তো পরীক্ষিত। সব নির্মাতার আলাদা সিগনেচার থাকে। নিপুণের সিগনেচারও আলাদা। ও যেভাবে বলে, সেভাবে যদি আর্টিস্ট শোনে, তাহলে আর্টিস্ট এবং প্রজেক্ট দুটোর জন্যই ভালো।

অনেক বছর ধরেই দেশে ওটিটির কাজ হচ্ছে। আপনার এত দেরি হলো কেন?
জয়া আহসান:একটা ভালো কাজের অপেক্ষায় ছিলাম। চারদিকে এত এত পুরুষের গল্প। যেমন দেখুন, এবারের ঈদে দেশের সিনেমা হলগুলোতে যেসব সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, সবকটিই পুরুষকেন্দ্রিক। নারীকেন্দ্রিক গল্পও হওয়া উচিত। নিপুণ একটি নারীকেন্দ্রিক গল্প বানাতে চেয়েছে এবং একটি চরিত্র তৈরি করতে চেয়েছে, এটাই আমাকে আগ্রহী করেছে। আমি যে কোনো কাজ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় মাথায় রাখি। সেটি হলো গল্প, চরিত্র ও পরিচালক। ‘জিম্মি’র ক্ষেত্রে সব মনমতো মিলে গিয়েছিল। সেই সঙ্গে আমার ওয়েব সিরিজের শুরুটা করছি হইচইয়ের সঙ্গে, মুক্তি পাবে ঈদে। সব মিলিয়ে আমার জন্য বিষয়টি বেশ রোমাঞ্চের। 

আপনার অভিনীত সিনেমাগুলোর কী খবর?
জয়া আহসান:ভারতে ‘ডিয়ার মা’, ‘কালান্তর’, ‘ওসিডি’ করেছি। এসব সিনেমা মুক্তির বিষয়ে প্রযোজকরা বলতে পারবেন। আমি তো কাজ সম্পন্ন করে রেখেছি। এর মধ্যে ‘ডিয়ার মা’ হয়তো শিগগিরই আসবে। এ ছাড়া দেশে একাধিক ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

ফিল্মফেয়ারে ‘ট্র্যাডিশনাল কুইন অব দ্য ইয়ার’ খেতাব জিতলেন...
জয়া আহসান: ঐতিহ্যবাহী গ্ল্যামার অ্যান্ড স্টাইল অ্যাওয়ার্ডে ‘ট্র্যাডিশনাল কুইন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পেয়ে আমি দারুণ খুশি। এই স্বীকৃতির জন্য ফিল্মফেয়ারের পুরো টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা। ফিল্মফেয়ার সব সময় আমাকে বিশেষ অনুভূতি দিয়েছে। এটি আমার দীর্ঘ যাত্রায় একটি নতুন সংযোজন হয়ে থাকবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ