উঁচু উঁচু পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে তারাছা খাল। রোয়াংছড়ি বাজার থেকে নেমে সেই খাল ধরেই আমরা হাঁটছি। নিঃশব্দ পাহাড়ি প্রকৃতি। খালের স্বচ্ছ জলে পা ফেলে ফেলে এগিয়ে চলেছি। হাঁটতে হাঁটতে একসময় নিজেদের পায়ের শব্দই কানে বাজতে থাকে।

দলে আমরা নানা বয়সী ১৮ জন নারী। সবার পেশাও আলাদা। রোয়াংছড়ি থেকে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন দুজন স্থানীয় গাইড। তাঁদের দেখানো পথেই আমরা পা ফেলছি। দেবতাখুম ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারির আগে বেশ কয়েকবার এসেছি। মনে হলো আগের চেয়ে প্রকৃতি আরও রূপসী হয়েছে। দীর্ঘদিন পর্যটকদের পা না পড়ায় পথের ধারে বড় বড় বুনো ঘাস ও লতাপাতা জন্মেছে। কিছু জায়গা পরিষ্কার করে স্থানীয়রা বাদাম চাষ করেছেন। ঝিরির পাশে এক বাদামচাষির সঙ্গে আলাপ হলো। তিনি কিছু কাঁচা বাদাম হাতে তুলে দিলেন। পাহাড়ি বাদাম চিবুতে চিবুতে ঘণ্টাখানেক পর পৌঁছে গেলাম শীলবান্ধা পাড়ায়। বেলা তখন ১১টা।

এমন নির্জন পাহাড়ি পথে হেঁটেই দেবতাখুমে যেতে হয়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় কবিরাজকে ‘কুপিয়ে’ হত্যা

বগুড়ার শেরপুরে আকবর আলী (৬০) নামে এক কবিরাজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (২২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপ‌জেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধড়মোকাম কবরস্থানের পশ্চিম পাশে চারমাথা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

নিহত আকবর আলী ধড়মোকাম গ্রামের মৃত আকিজ আলীর ছেল।

নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় শাহবন্দেগী ইউনিয়নে শ্রমিক লীগের নেতা ও ধড়মোকাম দক্ষিণ পাড়ার ওসমান আলীর ছেলে আব্দুল লতিফকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

পাবনায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে পলাতক 

পল্লবীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

নিহতের ছেলের শাহ জামাল স্ত্রী ‌বিউটি জানান, ‍তার শ্বশুর কবিরাজ ছিলেন। শনিবার রাত ৯ টার দিকে আব্দুল লতিফ নামে একজন মোবাইল ফোনে তা‌কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর রাত ১১টার দিকে প্রতিবেশীরা তাকে রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে শাহ জামাল বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পাই। এসময় পাশেই একটি মোবাইল ফোন ও গায়ের চাদর পাওয়া যায়। মোবাইলটিতে কল দিয়ে নিশ্চিত হই এগুলো ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি ও ধড়মোকাম দক্ষিণ পাড়ার ওসমান আলীর ছেলে আব্দুল লতিফের। আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।” 

শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনাটি উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থল থেকে ধারালো অস্ত্র, মোবাইল ও চাদর উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ এবং তার পরিবারের লোকজন পলাতক।”

ঢাকা/এনাম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ