চট্টগ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় গোলাগুলিতে দুজন গুলিবিদ্ধসহ চারজন আহত হওয়ার জেরে খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। আজ শনিবার ওসিকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। শুক্রবার রাতে নগরীর খুলশী থানার কুসুমবাগ এলাকায় এ সংঘাতের ঘটনা ঘটে। 

ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার টাঙানোকে কেন্দ্র করে লালখান বাজার এলাকার বিএনপি নেতা শাহ আলম ও ছাত্রদল নেতা শরিফুল ইসলাম তুহিনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি, উত্তর) মো.

জাহাঙ্গীর বলেন, সংঘর্ষের সময় গোলাগুলিতে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়। আরও দুজন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। এ ঘটনার পর খুলশী থানার ওসি মুজিবুর রহমানকে স্ট্যান্ড রিলিজের আদেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ।

জানা গেছে, ওসি মুজিবুরকে স্ট্যান্ড রিলিজের আদেশের পর খুলশী থানার ওসি হিসেবে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আফতাব হোসেনকে খুলশী থানার ওসি হিসেবে পদায়ন করে অফিস আদেশ ইস্যু করেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আদালতের ভেতরে পুলিশকে মারধর, বিএনপির ৬ নেতাকর্মী আটক

পাবনায় আদালতের ভেতরে শুনানি চলাকালে ভিডিও ধারণ করতে বাধা দেওয়ায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের ফতে মোহাম্মদপুর নিউ কলোনী এলাকার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে আওয়াল কবির (৩৮), হাবিবুর রহমানের ছেলে সরোয়ার জাহান শিশির (৩৩), দাশুড়িয়া গ্রামের মৃত আমজাদ খানের ছেলে কালাম খান (৪০), এম এস কলোনী এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে রুবেল হোসেন (৩৩), লোকোসেড গাউছিয়া মসজিদ এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে সবুজ হোসেন (৩৫) এবং ভাঁড়ইমারী বাঁশেরবাদা গ্রামের মৃত আব্দুল গাফফার সরদারের জহুরুল ইসলাম (৩৫)।

তাদের মধ্যে আওয়াল কবির ঈশ্বরদী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক, সরোয়ার জাহান শিশির পৌর ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রত্যাশী, কালাম খান দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রুবেল হোসেন পৌর ৪নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এবং জহুরুল ইসলাম ডালিম সলিমপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর ঈশ্বরদীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সময় নাশকতা একটি মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলায় আটককৃতরা হাজিরা দিতে এসেছিলেন। হাজিরা চলা অবস্থায় তারা এজলাসে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে থাকেন। এসময় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্য শাহ আলম তাদের ছবি তুলতে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পুলিশ‌ সদস্যকে মারধর করেন ওইসব নেতাকর্মীরা। 

এসময় আদালতের আইনজীবী ও উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করেন এবং হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে আদালতের শুনানি শেষে তাদের আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিদর্শক ( কোর্ট ইন্সপেক্টর) রাশেদুল ইসলাম জানান, সঙ্গে সঙ্গে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে পাবনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আইনজীবী মাসুদ খন্দকার বলেন, “আদালতের এসলাসে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়ার মত নয়। বিএনপির কেউ যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ