টেঁটাবিদ্ধ করে মেছোবিড়াল হত্যা, অভিযুক্ত যুবক আটক
Published: 22nd, March 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় টেঁটাবিদ্ধ করে নির্মমভাবে বিপন্ন প্রজাতির একটি মেছোবিড়ালকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ শনিবার দুপুরে অভিযুক্ত যুবক আলমগীর হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক আলমগীর উপজেলার ধন্যঘরা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীরের বাড়ির পাশে ধানক্ষেত রয়েছে। সেখানে বন্যপ্রাণীর অবাধ যাতায়াত রয়েছে। সম্প্রতি ধানক্ষেতে একটি মেছোবিড়াল দেখতে পান তিনি। মেছোবিড়াল তার হাঁস খেয়ে ফেলতে পারে সেই আশঙ্কা থেকে টেঁটা নিয়ে নিয়মিত পাহারা দেন তিনি। গতকাল শুক্রবার দুপুরে একটি মেছোবিড়াল ধানক্ষেতে আসলে পেছনের দিকে টেঁটাবিদ্ধ করে টেনে হিঁচড়ে রাস্তার উপর নিয়ে আসেন আলমগীর। বিড়ালটি প্রাণে বাঁচতে বারবার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শক্ত করে বিদ্ধ করে রাখা হয় টেঁটা। মৃত্যু নিশ্চিত করে টেঁটামুক্ত করা হয় বিড়ালটিকে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি ওঠে।
পরে আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান, দর্শনা থানার ওসি মুহম্মদ শহীদ তিতুমীরসহ বন বিভাগের কর্মকর্তা ও জেলার পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা। এ সময় অভিযুক্ত আলমগীর হোসেনকে আটক করে পুলিশ। মাটিতে দাফন করা হয়েছে মৃত মেছোবিড়ালটি।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তিথি মিত্র জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য বন বিভাগকে বলা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আটক ব দ ধ কর আলমগ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শালিসের কথা বলে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ঝিনাইদহের মহেশপুরের জীবননগর পাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আবু জাফর (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শালিসের কথা বলে ডেকে নিয়ে তাকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
নিহত আবু জাফর কাজীরবেড় ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী ও জীবননগর পাড়ার জাবেদ আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আলমগীর হোসেন ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার দুপুরে মহেশপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।
নিহতের ছেলে আলমগীর হোসেন বলেন, গ্রামের মাঠে আমাদের এক বিঘা জমি ছিল। পাশেই আব্বাস আলীর মেহগনি বাগান ছিল। সেই জমি ১৬ বছর আগে মাপামাপি হলে একটি গাছ আমাদের ভাগে পড়ে। এই গাছ ওদের কেটে নিতে বলেছিল আমার বাবা। তারা সেই গাছ না কাটলে ফসলের ক্ষতির শঙ্কায় তখন আমার বাবা সেই গাছটি কেটে ফেলে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন পরিস্থিতি অশান্ত ছিল। আমার বাবা টাকা দিতেও চেয়েছিল অনেকবার। পরে গতরাতে গ্রামের একটি বিষয়ে শালিস হবে বলে দুইজন ব্যক্তি বাবাকে ডেকে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী আমিরের বাড়িতে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে একপর্যায়ে আব্বাস আলীর লোকজন মারপিট করলে আমার বাবা ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
ঘটনার বিষয়ে মহেশপুরের ভৈরবা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আনিসুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক কোনো বিরোধ ছিল না এটা। মূলত জমি নিয়ে ও গাছ কাটা নিয়ে বিরোধের জেরেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। আমরা আসামি ধরতে অভিযান চালাচ্ছি।
এ ঘটনায় আবু জাফরের মরদেহ ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. আশরাফুজ্জামান সজীব বলেন, নিহতের শরীরের বাইরের অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে এর বেশি বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না তদন্তের স্বার্থে।
এদিকে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে সামন্তা বাজারে মহেশপুর উপজেলা বিএনপি পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল। তারা দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।