‘মুজিব’ সিনেমায় অভিনয় নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন ফারিয়া
Published: 22nd, March 2025 GMT
দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আওয়ামীপন্থী শোবিজ তারকারা বেশ বিপাকে পড়েছেন। সম্প্রতি বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে সেসব তথ্যও উঠে এসেছে। কিছু তারকা আছেন, যারা সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না থাকলেও শুধু শেখ হাসিনার সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ করা কিংবা বিভিন্ন সময়ে তার প্রশংসা করার জন্য বিপদে পড়েছেন।
বিশেষ করে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় কাজ করার সুবাদে কয়েকজন শিল্পীকে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। তাদেরই একজন নুসরাত ফারিয়া। আসছে ঈদে তিনি ‘জ্বীন ৩’ সিনেমা নিয়ে ফিরছেন। এরইমধ্যে এই ছবির ‘কন্যা’ গানটি দিয়ে তিনি দারুণ সাড়া পেয়েছেন দর্শক থেকে শুরু করে অন্য শোবিজ তারকাদের।
শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয় করার পর যে সমালোচনার শিকার হয়েছেন তা নিয়ে প্রথমবার তিনি মুখ খুললেন। একটি পডকাস্টে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করার কারণে অনুশোচনায় ভোগেন?
ফারিয়া তার জবাব দেন ইংরেজিতে। যার বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘আমি বলতে চাই, এখানে অনুশোচনার মতো কিছুই নেই।’ এরপর কেন তার অনুশোচনা নেই সে কথা পরিষ্কার করেন ফারিয়া বলেন, ‘আমরা শিল্পীরা সাড়ে ৫টায় ঘুম থেকে উঠে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করি। এর পেছনে অনেক শারীরিক পরিশ্রম যায়। স্পেশ্যাল এই সিনেমার (মুজিব: একটি জাতির রূপকার) জন্য ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল- এই ৫ বছর আমি একই লুকে নিজেকে মেইনটেইন করেছি। চুলে কোন রঙ করিনি, কালো চুল নিয়ে ঘুরেছি এই চরিত্রটির জন্য। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ শারীরিক ওজনের মধ্যে থাকতে হয়েছে। মোট কথা, আমি বলতে চাই এই সিনেমার জন্য আমি আমার জীবনের দীর্ঘ ৫টি বছর দিয়েছি। ফলে সেই কাজটিকে নিয়ে যদি অনুশোচনা করি তাহলে আমার পেশাকেই অপমান করা হবে।’
তিনি যুক্ত করে বলেন, ‘এই সিনেমার জন্য আমি যে পরিস্থিতি পার করেছি বা এখনো করছি তা আমার ভাগ্যে লেখা ছিলো বলেই মনে করি। এটা খণ্ডানোর ক্ষমতা আমার ছিলো না।’
এরপর ফারিয়া এও বলেন যে একটি দেশের সরকারি পর্যায় থেকে কোন কাজের প্রস্তাব আসলে তা নিজের অতো পছন্দ না হলেও মানা করা যায় না।
ফারিয়া ছাত্র আন্দোলনে নিজের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় সেই পডকাস্টে। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি তখন কানাডাতে কিছু শো করতে গিয়েছিলাম। ভুল সবসময়ই ভুল। তাই আমার মনে হয়েছে তখন তখন আমি ছাত্রদের পক্ষে পোস্ট করেছি। আমার সোশ্যাল মিডিয়া ঘাটলে সেটা দেখতে পাবেন।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ভিডিও বানাতে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, হত্যা করলেন স্বামীকে
ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রবিনার সঙ্গে সুরেশের দেড় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়। এরপর একসঙ্গে তাঁরা ভিডিও বানানো শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রবিনার সময় কাটানো আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রী রবিনার সঙ্গে প্রাভিনের ঝগড়া হতো। প্রাভিন সন্দেহ করতেন, সুরেশের সঙ্গে রবিনার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
গত ২৫ মার্চ প্রাভিন বাড়িতে ফিরে তাঁর সেই আশঙ্কার প্রমাণ পান। তিনি রবিনা ও সুরেশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রাভিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর তিন দিন পর প্রাভিনের মরদেহ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায়।
ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন, কিন্তু ফেরার সময় তাঁদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত। এরপর পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিনা ও সুরেশ হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।
সুরেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন রবিনা ভিডিও বানানো শেষে ভিওয়ানির প্রেমনগরে প্রাভিনের বাড়িতে যান। সুরেশ সেখানে রবিনার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রাভিন বাড়িতে ফিরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর প্রাভিনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়।
হত্যার পর সারা দিন রবিনা স্বাভাবিক আচরণ করেন। আত্মীয়রা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, প্রাভিন কোথায় তা তিনি জানেন না। এরপর রাত নামার অপেক্ষা করেন রবিনা। রাতে সুরেশ মোটরসাইকেল নিয়ে এলে তাঁরা দুজন মিলে প্রাভিনের মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুরেশ ও রবিনা মোটরসাইকেলের মাঝখানে প্রাভিনের মরদেহ বসিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায় ফেলে দেন। তিন দিন পর পুলিশ সেই নালা থেকে প্রাভিনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু হয়।