জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) সম্প্রতি লোকবল নিয়োগ দেয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনস্থ এই অধিদপ্তরে ১৩টি ক্যাটাগরিতে ২৫৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
পদের নাম ও পদসংখ্যা:
১। সহকারি পরিচালক
পদ: ২৬
বেতন: ২২০০০-৫৩০৬০ (গ্রেড-৯)
২। টেলিফোন ইঞ্জিনিয়ার
পদ: ০১
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)
৩। ফিল্ড অফিসার
পদ: ১৭
বেতন: ১৬,০০০- ৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০)
৪। সাঁটলিপিকার কাম-কম্পিউটার অপারেটর
পদ: ০৫
বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
৫। সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর
পদ: ১৪
বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৬। ওয়ারলেস অপারেটর
পদ: ২০
বেতন: ৯,৭০০-২৩,৪৯০9 টাকা (গ্রেড-১৫)
৭। অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট
পদ: ০২
বেতন: ৯০০০-২১৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)
৮। অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদ: ২০
বেতন: ৯০০০-২১৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)
৯। গাড়িচালক
পদ: ১৩
বেতন: ৯০০০-২১৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)
১০। রিসিপশনিস্ট
পদ: ০১
বেতন: ৯০০০-২১৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)
১১। ফিল্ড স্টাফ
পদ: ১০৯
বেতন: ৯০০০-২১৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)
১২। টেলিফোন লাইনম্যান
পদ: ০৩
বেতন: ৯০০০-২১৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)
১৩। অফিস সহায়ক
পদ: ২৪
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
আবেদনের শুরুর তারিখ: ০৬-০৪-২০২৫ খ্রি.
আবেদনের শেষের তারিখ: ২০-০৪-২০২৫ খ্রি.
আবেদনের পদ্ধতি : আগ্রহী প্রার্থীগণকে অনলাইনে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রোনালদোর পাশে ফেলিক্স? ৫০ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে দৌড়াচ্ছে আল-নাসর
সৌদি আরবের ফুটবলে যেন রূপকথার গল্প লেখা হচ্ছে নতুন করে। তারকা তারকায় ভরা দলগুলোর প্রতিযোগিতায় এবার বড় চমক নিয়ে হাজির আল-নাসর। শোনা যাচ্ছে, ৫০ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের এক আলোচিত ট্রান্সফার ডিল একেবারে শেষ মুহূর্তে ছিনিয়ে নিতে চলেছে তারা। যার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগিজ জাতীয় দলের সতীর্থ, ২৪ বছর বয়সী জোয়াও ফেলিক্স।
নতুন কোচ জর্জ জেসুসের অধীনে ২০২৫-২৬ মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছে আল-নাসর। আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তারা গড়ে তুলছে একটি দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ স্কোয়াড। যার অন্যতম বড় চমক হতে চলেছে জোয়াও ফেলিক্স।
ফেলিক্স মূলত ফিরতে যাচ্ছিলেন নিজের পুরনো ক্লাব বেনফিকায়। কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সৌদি ক্লাব আল নাসরের আগ্রহ এবং ফেলিক্সের আগ্রহের সাড়া মিলে ব্যাপারটা পুরো পাল্টে যায়। ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিজিও রোমানোর মতে, এই ডিল এখন অনেকটাই চূড়ান্তের পথে।
আরো পড়ুন:
রাশফোর্ডের অভিষেক, তরুণদের ঝলকে বার্সার জয়
মেসিহীন মায়ামির হতাশা, নাটকীয় ড্রয়ে থমকে গেল স্বপ্নযাত্রা
ফেলিক্স, যিনি ২০২৫ সালের জুনে দ্বিতীয়বারের মতো উয়েফা নেশনস লিগ শিরোপা জয়ের দলে ছিলেন, ইউরোপে একাধিক ক্লাব ঘুরেও নিজের জায়গা পোক্ত করতে পারেননি। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, চেলসি, বার্সেলোনা ও সর্বশেষ এসি মিলানে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও, কোথাও স্থায়ী জায়গা করে নিতে পারেননি। ফলে এখন সৌদি আরবে রোনালদোর পাশে নতুন অধ্যায় শুরুর পথে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
২০১৯ সালে বেনফিকা থেকে রেকর্ড ১২৬ মিলিয়ন ইউরোতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে পাড়ি জমিয়েছিলেন ফেলিক্স। এরপর বেশ কিছু ধারে খেলা হলেও চেলসিই ছিল তার বর্তমান মালিকানাধীন ক্লাব। তারা এবার তাকে স্থায়ীভাবে বিক্রি করতে চায়, আর বেনফিকাও আগ্রহী ছিল তাকে ফেরাতে।
কিন্তু সমস্যার শুরু চেলসির চাহিদা নিয়ে। তারা ফেলিক্সের জন্য চাইছিল ৫৪ মিলিয়ন ইউরো, যা তারা এক বছর আগে দিয়েছিল। বেনফিকা তাদের প্রস্তাব দেয় ৫০ শতাংশ মালিকানার জন্য ২৫ মিলিয়ন ইউরো। চেলসি পাল্টা চুক্তিতে শর্ত যোগ করে—২০২৭-২৮ মৌসুমে খেলোয়াড় বিক্রি না করলে আরও ১৫ মিলিয়ন ইউরো দিতে হবে এবং ভবিষ্যতের বিক্রিতেও লাভের ৫০ শতাংশ ভাগ। এই শর্ত মেনে নেওয়ার মতো অবস্থা বেনফিকার ছিল না।
ফলে আলোচনার টেবিলেই থেমে যায় তাদের আশা। আর সেই ফাঁকেই এগিয়ে আসে আল-নাসর।
জানা গেছে, আল-নাসরের কোচ জর্জ জেসুস ও অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ব্যক্তিগতভাবে ফেলিক্সকে রাজি করাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিয়মিত খেলার সুযোগ চাইছেন ফেলিক্স, আর সৌদি আরবের মঞ্চে রোনালদোর পাশে সেই সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল।
সব মিলিয়ে, আল-নাসর যদি শেষ পর্যন্ত এই চুক্তি সম্পন্ন করতে পারে, তবে সেটা শুধু ক্লাবের জন্য নয়; পুরো সৌদি ফুটবল লিগের জন্যই হবে এক বিশাল পাওয়া।
ঢাকা/আমিনুল