এক পয়েন্ট পেলেই ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত আর্জেন্টিনার
Published: 22nd, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠেয় ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলেছে জাপান। প্রথম দল হিসেবে আগামী বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে তারা। দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার একেবারেই দ্বারপ্রান্তে আছে আর্জেন্টিনা।
আর মাত্র এক পয়েন্ট পেলেই আর্জেন্টিনার ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যাবে। আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ব্রাজিলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে নামবে আলবিসেলেস্তেরা। ওই ম্যাচে ড্র করে অন্তত একটা পয়েন্ট তুলতে পারলেই বিশ্বকাপে পা রাখবে লিওনেল স্কালোনির দল।
আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ১৩ রাউন্ডে ২৮ পয়েন্ট তুলে টেবিলে শীর্ষে আছে। বাকি পাঁচ ম্যাচেও যদি তারা হারে সেক্ষেত্রে অষ্টম অবস্থানে থাকা ভেনেজুয়েলা পয়েন্ট ও গোল ব্যবধানে আর্জেন্টিনাকে ছাড়াতে পারবে না। ১৩ পয়েন্ট পাওয়া বলিভিয়া বাকি পাঁচ ম্যাচে জিতলে এবং আর্জেন্টিনা বাকি সব ম্যাচে হারলেও প্লে অফ খেলার সুযোগ পাবে আর্জেন্টিনা।
ব্রাজিলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ড্র করলে তাদের পয়েন্ট হবে ২৯। সেক্ষেত্রে বলিভিয়া হাতে থাকা পাঁচ ম্যাচেও যদি জেতে তাদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ২৮। যে কারণে আর্জেন্টিনা আর এক পয়েন্ট পেলেই তাদের সরাসরি বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হবে। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি ৬ দল অংশ নেবে। সপ্তম অবস্থানে থাকা দল প্লে অফ খেলার সুযোগ পাবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন ফ টবল ব শ বক প ব ছ ই ব র জ ল আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৫–২৬ অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৫%: ফিচ রেটিংস
ভারতের প্রবৃদ্ধিতে রপ্তানি খাতের অবদান তুলনামূলকভাবে কম। সে কারণে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পণ্যে শুল্ক বাড়ালেও দেশটি বিশেষ ক্ষতির মুখে পড়বে না বলে মনে করছে ফিচ রেটিংস।
একই সঙ্গে আগামী দুই অর্থবছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ফিচ রেটিংস। তারা বলেছে, ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরে ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। পরের অর্থবছরে (পড়ুন ২০২৬-২৭) তা আরও কমে ৬ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
ভারতের চলতি আর্থিক বছর শেষ হবে আগামী ৩১ মার্চ। তার আগে আগামী দুই অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ফিচ রেটিং, আগামী আর্থিক বছরের ক্ষেত্রে ফিচ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অপরিবর্তিত রেখেছে। তবে ২০২৬-২৭ অর্থবছরের পূর্বাভাস আগের তুলনায় ১০ ভিত্তি পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে।
চলতি মার্চ মাসে ‘ইকোনমিক আউটলুক রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে ফিচ রেটিং। সেখানে সমীক্ষক সংস্থাটি বলেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই অতি আক্রমণাত্মক বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করেছে ওয়াশিংটন। কিন্তু অবস্থানগত কারণে এতে খুব বেশি বিপদে পড়বে না নয়াদিল্লি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাজেট পেশ করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সেখানে আয়করে বিপুল ছাড়ের কথা ঘোষণা করেন তিনি। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, এতে মানুষের হাতে অতিরিক্ত টাকা থাকবে। ফলে বাজারে ভোগ্যপণ্যের বিক্রি বাড়বে। ভারতের আর্থিক প্রবৃদ্ধিতে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন ফিচের সমীক্ষকেরা।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ হওয়া প্রান্তিকে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে যা ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, গত সাতটি প্রান্তিকের মধ্যে যা সর্বনিম্ন।
সম্প্রতি ভারতের অর্থনীতি নিয়ে ‘মরগ্যান স্ট্যানলি’ বড় পূর্বাভাস দিয়েছে। তাদের দাবি, মাত্র তিন বছরের মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত। অর্থাৎ ২০২৮ সালের মধ্যে নয়াদিল্লির জিডিপির আকার বার্ষিক ৫ দশমিক ৭০ লাখ কোটি ডলারে উঠবে।
২০২৩ সালে ভারতীয় অর্থনীতির আকার ছিল সাড়ে তিন লাখ কোটি ডলার। আগামী বছর সেটাই বেড়ে ৪ দশমিক ৭ লাখ কোটি ডলারে উন্নীত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের জিডিপির আকার সেই অঙ্ক ছুঁয়ে ফেললে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে তারা। তখন ভারতের সামনে থাকবে মাত্র তিনটি দেশ। সেগুলো হলো—যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জার্মানি। ২০২৮ সালের মধ্যে এই দৌড়ে বার্লিন পিছিয়ে পড়বে বলে স্পষ্ট করেছে মরগ্যান স্ট্যানলি।