জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকে চাকরি, দশম গ্রেডে পদ ২৩৩, আবেদন করুন দ্রুত
Published: 22nd, March 2025 GMT
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত ২টি ব্যাংকে সমন্বিতভাবে জনবল নিয়োগের আবেদন শেষ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। এসব ব্যাংকে ‘অফিসার-রুরাল ক্রেডিট (ও-আরসি)’ পদে ২৩৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনতা ব্যাংক পিএলসিতে ১০০ জন ও অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি ১৩৩ জনসহ মোট ২৩৩ জনকে দশম গ্রেডে ‘অফিসার-রুরাল ক্রেডিট (ও-আরসি)’ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদের জব আইডি—১০২২৩।
আরও পড়ুনঢাকা ওয়াসায় চাকরি, বেতন ছাড়াও আছে সার্বক্ষণিক গাড়ির সুবিধা৫৮ মিনিট আগেআবেদনের জন্য স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। এসএসসি/সমমান এবং তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষায় ন্যূনতম একটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। গ্রেডিং পদ্ধতির ফলাফলের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীর বয়সসীমা ১৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে।
আগ্রহী প্রার্থীদের বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটের এই লিংকে নির্ধারিত ছক পূরণের মাধ্যমে নিবন্ধন করে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।
আরও পড়ুনতিন বছর পর সমবায় অধিদপ্তরের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি, পদ ৫১১ ২০ মার্চ ২০২৫অনলাইনে আবেদন করার পর আবেদন ফি বাবদ ডাচ্–বাংলা ব্যাংক পিএলসির মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘রকেট’–এর মাধ্যমে বিল পে ব্যবহার করে ২০০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রকেট অ্যাপ বা ম্যানুয়াল উভয় ক্ষেত্রেই ফি প্রদানের জন্য বিলার আইডি হিসেবে Bankers Selection Committee Secretariat অথবা 499 সিলেক্ট করতে হবে। আবেদন ফির পেমেন্ট পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে। অনগ্রসর নাগরিক গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের জন্য সরকার নির্ধারিত আবেদন ফি ৫০ টাকা যা পরে তাঁদের আবেদন ও দাখিলকৃত দলিলাদি যাচাই সাপেক্ষে সমন্বয় করা হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ২৩ মার্চ ২০২৫।
আরও পড়ুননৌবাহিনী নেবে নাবিক ও এমওডিসি, পদ ৪০০১৮ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আবারও বানানো হচ্ছে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি`
নববর্ষের শোভাযাত্রা উপলক্ষে বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতির’ মোটিফ পড়ানোর পর আবার নতুন করে তা বানানো হচ্ছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, শিল্পীরা 'ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি' বানানোর কাজ করছেন।
এর আগে শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে আনন্দ শোভাযাত্রার অগ্রগতি পরিদর্শনকালে পুনরায় এই মোটিফ তৈরির কথা জানান (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান।
উপাচার্য বলেন, “আমরা একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম, সেখানে বাঁধা এসেছে। এ ধরনের কাজে কিছু বাঁধা আসেই, ষড়যন্ত্র থাকবেই। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। এতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানাই। তবে চারুকলা প্রাঙ্গণে ফের মোটিফটি তৈরির যাবতীয় সরঞ্জাম চারুকলায় আনা হয়েছে এবং শিল্পীরা যত দ্রুত সম্ভব এই প্রতিকৃতি বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। ককশিট দিয়ে মোটিফটি দ্রুত সময়ের মধ্যে বানানো যায় কি-না সেটা নিয়ে কাজ করছেন তারা।”
তবে এত অল্প সময়ে মূল মোটিফ বানানো সম্ভব কি-না জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, “গত ১ মাস ধরে বানানো একটা প্রতিকৃতি তো ১ দিনে বানানো সম্ভব না। দেখা যাক, শিল্পীরা কী করেন। এটা আমরা শিল্পীদের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।”
এর আগে রাত সাড়ে ৯টায় আনন্দ শোভাযাত্রার অগ্রগতি দেখতে চারুকলা পরিদর্শন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিনি বলেন, “এই আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আমি স্যালুট জানাই। তারা গত ১ মাস ধরে তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ নাশকতার মাধ্যমে পুড়িয়ে ফেলে শিল্পীদের স্পিরিট দমানোর চেষ্টা করলেও আমি এসে দেখছি শিল্পীদের স্পিরিট দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আশা করবো দেশবাসী দারুণ একটি শোভাযাত্রা করবে। দেশবাসীকে আহ্বান জানাই শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য।”
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারকার প্রধান মোটিফ ছিল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’। এটিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি হিসেবে ধারণা করেছিলেন অনেকে। বর্ষবরণের ঠিক দুদিন আগে শনিবার ভোরে আগুনে পুড়ে যায় ‘ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি’ । আগুন লাগে 'শান্তির পায়রা' মোটিফের একাংশতেও।
ঢাকা/সৌরভ/ইভা