আত্মশুদ্ধি, নিয়মানুবর্তিতা ও ইবাদতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। এই পবিত্র মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা আত্মিক প্রশান্তি ও সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভের আশায় নামাজ, রোজা ও ইবাদতে নিমগ্ন থাকেন। রমজানের চেতনা ধারণ করে, দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংকের মাইবিএল সুপার অ্যাপে রমজানের সব প্রয়োজনীয় সেবা এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছে। রমজান মাসে রোজা রাখা, ইবাদত করা ও দৈনন্দিন কাজের সুবিধার্থে মাইবিএল অ্যাপে প্রয়োজনীয় সবকিছু এখন হাতের নাগালে।

রমজানের বিভিন্ন দিক সামলানো অনেক সময় বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। কাজের সহজ ব্যবস্থাপনার জন্য মাইবিএল সুপার অ্যাপ প্রয়োজনীয় সব সেবা নিয়ে আলাদা আলাদা সেকশন করেছে, যার মাধ্যমে ইসলামিক কনটেন্ট দেখা থেকে শুরু করে বিল পরিশোধ—সবই স্বাচ্ছন্দ্যদায়কভাবে করা যাবে।

মাহে রমজানে আত্মিক পরিশুদ্ধি 
কোরআন ও হাদিসসহ নানা ইসলামিক বিষয়বস্তুর আলোকে মাইবিএল অ্যাপ ব্যবহারকারীদের চিন্তাধারাকে আরও বিস্তৃত করতে অ্যাপটিতে রয়েছে ইসলামিক কনটেন্টের আলাদা সেকশন, যা ব্যবহারকারীদের ধর্মীয় জ্ঞান ও আধ্যাত্মিক সংযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এর মধ্যে রয়েছে সঠিকভাবে নামাজ আদায়ে নামাজ শিক্ষা এবং সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি। এছাড়াও, এ সেকশনে হাদিস, কোরআন তিলাওয়াত ও সাপ্তাহিক ইসলামিক পডকাস্ট রয়েছে, যা আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জনে ভূমিকা রাখবে।

যারা কোরআনের গভীর অর্থ বুঝতে চান, তাদের জন্য কোরআন লার্নিং কোর্স রয়েছে, যা নিজস্ব গতিতে শেখার সুযোগ করে দেয়। রমজান মাসে ধর্মীয় অনুশীলনকে আরও অর্থবহ করতে এই সব ফিচার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ঝামেলা ছাড়াই টিকিট বুকিং
রমজান শেষে পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনে বাড়ি ফিরতে কিংবা অনেক সময় রোজার মধ্যেই ভ্রমণ করতে হয়। এ সময় টিকেটের চাহিদাও তুলনামূলক বেশি থাকে এবং টিকেট কাটতে অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হয়। কিন্তু এ নিয়ে মাইবিএল অ্যাপ ব্যবহারকারীদের কোন দুশ্চিন্তা করতে হবে। তারা এ অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে তাৎক্ষণিক টিকেট বুকিং দিতে পারবেন—পোহাতে হবে না কোন ঝামেলা। 

স্বাচ্ছন্দ্যে বিল পরিশোধ
রমজানে ব্যস্ততার মধ্যে আর্থিক ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে ওঠে। তাই, ব্যবহারকারীদের সুবিধা অগ্রাধিকার দিয়ে মাইবিএল অ্যাপে যুক্ত করা হয়েছে বিল পরিশোধ সুবিধা। ফলে, ম্যানুয়াল পেমেন্টের ঝামেলা না নিয়েই এখন মাইবিএল অ্যাপের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসসহ অন্যান্য ইউটিলিটি বিল দ্রুত ও নিরাপদে পরিশোধ করা যাবে, ম্যানুয়াল পেমেন্টের ঝামেলা ছাড়াই—ব্যবহারকারীরা ইবাদতে ও ব্যক্তিগত কাজে আরও বেশি সময় দিতে পারেন। 

হাতের নাগালে স্বাস্থ্যসেবা
রোজার কারণে দৈনন্দিন রুটিন বদলে যায়, তাই সুস্থতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাইবিএল সুপার অ্যাপে রয়েছে ২৪/৭ ভার্চুয়াল ডাক্তারের পরামর্শ, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা, দীর্ঘমেয়াদি রোগ ব্যবস্থাপনা ও ওষুধ ডেলিভারি -- সবকিছুই সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যে। রমজানে রোজাদারদের স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায়ে ভূমিকা রাখবে মাইবিএল অ্যাপ। 

রমজানে স্বাচ্ছদ্যদায়ক জীবনধারা   
মাইবিএল সুপার অ্যাপ শুধু কোন ডিজিটাল সল্যুশন নয়, এর চেয়েও বেশি কিছু। রমজান মাসে এ অ্যাপ হতে পারে আপনার নির্ভরযোগ্য সঙ্গী। অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীদের জন্য রোজা, ইবাদত, ভ্রমণ, আর্থিক লেনদেন ও স্বাস্থ্যসেবার সব সুবিধা একসাথে এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা হয়েছে। ডিজিটাল উদ্ভাবন নিয়ে আসা ও ব্যবহারকারীদের জীবন সহজ করে তোলার ক্ষেত্রে বাংলালিংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এই মাইবিএল অ্যাপ। 
এই রমজানে মাইবিএল সুপার অ্যাপের সাথে উপভোগ করুন স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক জীবনধারা। সহজে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করার সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে অ্যাপটি এর ব্যবহারকারীদের নির্ভার থাকতে ভূমিকা রাখবে, যেনো তারা পবিত্র রমজান মাসে ইবাদত ও আত্মশুদ্ধির পথে নিজেদের সমপর্ন করতে পারেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: রমজ ন রমজ ন ম স ইসল ম ক জ বনধ র পর শ ধ ক রআন

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনে আবারও আগুন, কাছে নেই পানির উৎস

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন বনে আগুন লেগেছে। গতকাল শনিবার সকালে ট্যাপার বিলে ধোঁয়া দেখতে পান পাশের বাসিন্দারা। পরে বন বিভাগ ও স্থানীয়রা একসঙ্গে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। বিকেলের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। তবে কাছাকাছি জলাশয় না থাকায় পানি ছিটাতে পারেনি।
স্থানীয়দের ভাষ্য, বনাঞ্চলে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখার পর বন বিভাগ ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। বন বিভাগের সঙ্গে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকসহ শত শত বাসিন্দা আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন। আগুন যেন আর ছড়াতে না পারে, সে জন্য বনের মাটির ওপর জমা হওয়া শুকনো লতাপাতা সরিয়ে নালা (ফায়ার লাইন) তৈরি করছেন। তবে কাছাকাছি নদী-খাল বা জলাশয় না থাকায় গতকাল পানি ছিটানো শুরু করা যায়নি।

গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় বনের মধ্যে এক থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে। তবে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়নি। 
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, আগুন লেগেছে আরও আগে। পাতার আস্তরের মাঝে আগুন ছড়ানোর আগে ধোঁয়া বাড়ে না। ধোঁয়া বাড়ার পর সবাই দেখেছে। তা ছাড়া ঘটনাস্থল বন বিভাগের অফিস থেকে দূরে। এ কারণে খবর পেতে দেরি হয়েছে।

ফায়ার লাইন কাটার পাশাপাশি বন বিভাগ ভোলা নদীতে পাম্প বসিয়ে পাইপ টানতে শুরু করেছে গতকাল দুপুর থেকে। ঘন গাছপালার মাঝ দিয়ে চলাচল ও পাইপ নিয়ে যাওয়া কষ্টকর। সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। তবে সন্ধ্যা নামায় তারা কার্যক্রম স্থগিত করে বন থেকে বের হয়ে আসে।
রাজাপুরের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পান্না মিয়া জানান, সকালে সুন্দরবনের কলমতেজী টহল ফাঁড়ির টেপার বিলে ধোঁয়া দেখা যায়। পরে দুপুর থেকে স্থানীয় শত শত মানুষ আগুন নিয়ন্ত্রণে বন বিভাগরে সঙ্গে কাজ শুরু করেন। তিনিও সেখানে যান। বেশ দুর্গম পথ। আশপাশে কোনো নদী-খাল নেই। তাই পানি নিতে দেরি হচ্ছে। আগুন যেন না ছড়ায় সে জন্য সরু পথ (ফায়ার লাইন) কাটা হয়েছে এক থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকায়।

বন রক্ষায় নিয়োজিত কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপের (সিপিজি) সদস্য শাহ্‌ আলম বলেন, সুন্দরবন জোয়ারের সময় পানিতে ডুবে যাওয়ার কথা। ভোলা নদী শুকিয়ে যাওয়ায় বনভূমি বেশ উঁচু হয়ে গেছে। বর্ষা ছাড়া ওই এলাকা পানিতে ডোবে না। শুকনা মৌসুমে আগুন লাগে।
আগুন যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, এ জন্য স্থানীয় লোকজন নিয়ে বন বিভাগ কিছুটা পাতার স্তূপ সরালেও গভীর ফায়ার লাইন কাটতে পারেনি। তাই রাতে বাতাস উঠলে বা কয়েক বছরের জমা পাতার স্তূপের নিচ দিয়েও আগুন ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি স্টেশন ঘটনাস্থলে যায়। তবে তারা পানি দিতে পারেনি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা আফতাব-ই-আলম বলেন, দেড় কিলোমিটারজুড়ে ফায়ার লাইন কাটা হয়েছে। আশা করা যায় আগুন আর ছাড়াবে না। কোথাও ধোঁয়া আছে, কোথাও একটু একটু করে জ্বলছে। আলো না থাকায় রাতে কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। অর্ধেক পথ পাইপ টানা হয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আগুন ততটা বেশি না, বেশি হলো ধোঁয়া। আগুন ছড়ানোর তেমন শঙ্কা নেই।
এর আগে গত বছর মের শুরুতে সুন্দরবনের একই রেঞ্জের আমোরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির লতিফের ছিলায় আগুন লেগে প্রায় ৪ একর বনভূমি পুড়ে যায়। তখন প্রায় তিন দিন ধরে জ্বলে সুন্দরবন। তার আগে ২০২১ সালের ৩ মে শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানিতে আগুন লেগেছিল। শুকনো মৌসুমে গেল ২৩ বছরে সুন্দরবনে অন্তত ২৬ বার আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ