সিরাজগঞ্জে চাচা-ভাতিজা হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
Published: 22nd, March 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের আলোচিত চাচা-ভাতিজা হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে র্যাব-১২ সদর দপ্তরের কোম্পানি কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) দীপঙ্কর ঘোষ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়নের বৈকন্ঠপুর গ্রামের সুরুজ্জামান শেখের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫), আব্দুল মালেক সরকারের ছেলে আবু হানিফ (২৪) ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ফেরদৌস শেখ (১৮)।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব এর একটি দল শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে চাচা-ভাতিজা হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
জামালপুরে ‘পাওনা টাকা’ দেওয়ার কথা বলে যুবককে নির্যাতন
এর আগে, গত ১৬ মার্চ রাতে বৈকন্ঠপুর বাজার এলাকা থেকে নিখোঁজ হন রিয়াজ উদ্দিন শেখ ও হৃদয় শেখ। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। এ ঘটনায় গত ১৭ মার্চ রায়গঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ২০ মার্চ বিকেলে ধানগড়া-পাঙ্গাসী সড়কের বৈকণ্ঠপুর দক্ষিণে ভেড়াদহ সেতুর নিচ থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা/রাসেল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুই স্থানে শ্রমিক বিক্ষোভ
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশের দুটি স্থানে গতকাল শনিবার শ্রমিক বিক্ষোভ হয়েছে। এর মধ্যে শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুরে দুপুরের দিকে ২ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন এক্সিস নিটওয়্যারস্ লিমিটেড নামের কারখানা শ্রমিকরা। তারা এক অপারেটরকে মারধরের প্রতিবাদ জানান ও ১২টি দাবি তুলে ধরেন। এদিন সকালে মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আরেকটি কারখানায় বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। এ সময় তারা প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
নয়নপুরের এক্সিস নিটওয়্যারস্ লিমিটেড কারখানা শ্রমিকরা জানান, ওই কারখানার অপারেটর মোশারফ হোসেন কয়েকদিন অসুস্থ ছিলেন। সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিয়ে শনিবার বেলা ১১টার দিকে প্রাকৃতিক কাজ সারতে শৌচাগারে যান। সেখানে বেশি সময় কাটানোর অভিযোগ তুলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সুপারভাইজার আল আমিন। এক পর্যায়ে মোশারফকে মারধর করা হলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় তানিয়া মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য মোশারফকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
রেফার করেন।
এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে পৌনে ১টার দিকে কারখানার দুই হাজার শ্রমিক মহাসড়কে অবস্থান নেন। তারা সুপারভাইজার আল আমিন, নজরুল ও সোহাগকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়াসহ ১২টি দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে সম্পূর্ণ ছুটির টাকা, ঈদে ১২ দিনের ছুটি, ১ হাজার টাকা হাজিরা বোনাস। মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে শিল্প পুলিশ, মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশ ও শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি আইয়ুব আলী বলেন, শ্রমিকদের নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শ্রমিকদের দাবিগুলো বিবেচনার আশ্বাস দিলে তারা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান। এর পর বেলা পৌনে ৩টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে গাজীপুর মহানগরের জায়ান্ট নিট ফ্যাশন লিমিটেড নামে একটি কারখানার শ্রমিকরাও এদিন সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় আশপাশের অন্তত ১৫টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।
জানা গেছে, মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত কারখানাটিতে কয়েকদিন আগে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রমিকদের তর্কাতর্কি হয়। এর জেরে তিন কর্মকর্তাকে মারধর করেন শ্রমিকরা। এ ঘটনায় একটি মামলা হলে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে উত্তেজনা চলছিল। শনিবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় গিয়ে দেখেন, অনির্দিষ্টকালের বন্ধের নোটিশ ঝোলানো আছে। এতে তাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এসে অবস্থান নিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। আশপাশের কয়েকটি কারখানা শ্রমিকও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। এ সময় তাদের কয়েকজনকে ওই কারখানায় ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। কেউ কেউ মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে দেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম জানান, বিক্ষোভের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তারা মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের দ্রুত সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন। বিক্ষোভের জের ধরে আশপাশের ১০-১২টি কারখানায় একদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। বিক্ষোভ থেমে গেলে অধিকাংশ কারখানাই চালু হয়।