Prothomalo:
2025-03-22@19:27:45 GMT

নওগাঁর দিবর দিঘিতে একদিন

Published: 22nd, March 2025 GMT

‘কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে!’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের এই পঙ্‌ক্তি স্মরণ করে কেবল মনে মনে নয়, সশরীর হাজির উত্তরবঙ্গের ঐতিহাসিক ‘দিবর দিঘি’–তে। এর অবস্থান নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার দিবর ইউনিয়নে।

নওগাঁ সদর থেকে ৩৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে নজিপুর পৌরসভা, যার ধার ঘেঁষে বয়ে চলেছে আত্রাই নদ। এই নদের ওপর নির্মিত পুরোনো ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক প্রতাপ সেতু’ পার হয়ে সোজা পথ চলে গেছে ২১ কিলোমিটার পশ্চিমে আমের সাম্রাজ্য সাপাহার উপজেলায়। এই মৌসুমে অজস্র ভাঁটফুল শুভ্র সৌন্দর্য মেলে ফুটে আছে পথের ধারে। যেতে যেতে পথ এক রেখা হয়ে যায়। সাপাহারের দুই কিলোমিটার আগে রাস্তার বাঁ পাশে চোখে পড়ে সারি সারি ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিগাছে ছেয়ে থাকা বন। কাঁকর বিছানো উঁচু–নিচু মাটি।

একটু এগিয়েই রাস্তার ডান পাশে ‘ঐতিহাসিক দিবর দিঘি’ নামাঙ্কিত বড় এক তোরণ। তোরণ পেরিয়ে গ্রাম, আঁকাবাঁকা পাকা রাস্তা ধরে এগিয়ে চলা। দুই পাশে আমবাগান। বিয়ের টোপরের মতো মুকুলে ছেয়ে আছে সব আমগাছ। কয়েকটি বড় পুকুর দেখতে দেখতে এগিয়ে চলেছি সেই দিঘির দিকে। কাছাকাছি এসে দেখি, ঢালু হয়ে অনেকটা পথ নেমে গেছে দিঘি বরাবর। নামছি ঢাল বেয়ে ইট বিছানো সরু পথে। দুপাশে প্রহরীর মতো দেবদারুগাছের সারি।

দিঘির শানবাঁধানো ঘাটে এসে বসলাম। তখন বিকেল। প্রায় ২০ একরের বিশাল দিঘি। মেঘলা দিন, ঠান্ডা হাওয়া বয়ে চলেছে। একই রঙের আকাশ ও দিঘির পানি। শুধু ওই পাড়ের গাছপালা এমন মিলনরেখায় ছেদ ঘটিয়েছে। ছোট ছোট ঢেউ দুলতে দুলতে এসে মিলিয়ে যাচ্ছে পাড়ে। এক অদ্ভুত প্রশান্তি ভুলিয়ে দেয় পথের ক্লান্তি। দিঘির মাঝখানে যে অখণ্ড গ্রানাইট পাথরের স্তম্ভ দেখা যাচ্ছে, সেটাই এই দিঘির বিশেষত্ব, সেটাই এখানকার ইতিহাসের স্মারক।

বর্গাকার এই দিঘির মাঝখানের স্তম্ভটি প্রতিষ্ঠার ইতিহাস সম্পর্কে ইতিহাসবিদদের নানা মত আছে। কারও মতে, কৈবর্ত বিদ্রোহের সময় পাল রাজবংশের রাজা দ্বিতীয় মহিপালকে পরাজিত করার কৃতিত্ব স্মরণীয় করে রাখতে কৈবর্ত রাজা দিব্যক এই জয়স্তম্ভ নির্মাণ ও দিঘি খনন করেন।

আবার কেউ কেউ বলেন, দিব্যকের রাজত্বকালে পাল রাজা রামপাল বরেন্দ্র উদ্ধারের চেষ্টা করে দিব্যকের কাছে পরাজিত হন। দিব্যক সেই জয়ের স্মৃতি রক্ষায় এই স্তম্ভ নির্মাণ করেন। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, কৈবর্ত রাজা ভীম তাঁর চাচা দিব্যকের স্মৃতি রক্ষায় এই স্তম্ভ নির্মাণ করেন।

১৮০৭-০৮ সালে ব্রিটিশ তথ্যানুসন্ধানী ও জরিপকারী ফ্রান্সিস বুকানন দিবর দিঘির শিলাস্তম্ভের দৈর্ঘ্য ৩০ দশমিক ৭৫ ফুট বলে উল্লেখ করেন। স্যার আলেকজান্ডার কানিংহামের বর্ণনা মতে, স্তম্ভটিতে মোট ৯টি কোণ আছে এবং এই স্তম্ভের ব্যাস ৭৩ সেন্টিমিটার (২৯ ইঞ্চি)।

দিঘির চারপাশে চোখ বোলালে মনে হয় বিশাল এক অ্যাম্ফিথিয়েটার বা স্টেডিয়ামের গ্যালারি। রোমের কলোসিয়ামের কথা মনে পড়ে যায়, যেখানে গ্ল্যাডিয়েটরদের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে জিততে হতো প্রতিপক্ষ মল্লবীর অথবা হিংস্র কোনো পশুর সঙ্গে। হেরে গেলে প্রাণপাত, জিতে গেলে বীর।

দিবর দিঘির এই জয়স্তম্ভ যুদ্ধ, রক্তপাত, জয়-পরাজয়, মোটকথা কৈবর্ত বিদ্রোহের সেই সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যা শত শত বছর ধরে এভাবেই দণ্ডায়মান, একটুও হেলে পড়েনি। বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া তাঁর ‘বাঙলাদেশের প্রত্নসম্পদ’ বইয়ে এ বিষয়ে লিখেছেন, ‘বহুতলবিশিষ্ট অট্টালিকার ভিত্তিদেশের মতো স্তম্ভটির মাটির নিচের নিম্নদেশ সাতটি স্তবকে নির্মিত ছিল এবং নিচের স্তবকগুলো নিচের দিকে ক্রমেই স্ফীতকায় করে নির্মিত ছিল।’ আজও সগৌরবে এই শিলাস্তম্ভ কত রহস্য নিয়ে ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে!

খাঁজকাটা ও পাথরে খোদাইকৃত অলংকারশোভিত এই স্তম্ভের সৌন্দর্য ও দিঘির বিশালতা পর্যটকদের এক ঘোরলাগা আবেশে টানে। ঘাটে নৌকা বাঁধা। নৌকা নিয়ে গিয়ে ছুঁয়ে দেখে আসা যায় শিলাস্তম্ভ। স্থির দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলে মনে হতে থাকবে, এই স্তম্ভ ঘিরে যেন আশপাশের সবকিছু আকর্ষিত হচ্ছে। এ পাশের পাড় থেকে তাকালে দেখা যায়, স্তম্ভটি অন্য পাড়ের কাছাকাছি। ওই পাড়ে গিয়ে মনে হয়, স্তম্ভটি আগের পাড়ের কাছাকাছি—এমন দৃষ্টিবিভ্রম তৈরি হয়। দিবর দিঘি দেখতে এলে এর বহুমাত্রিক সৌন্দর্য ও রহস্যে যে কেউ মুগ্ধ হবেন।

এমন দৃশ্যমুগ্ধতায় একাত্ম হয়ে থাকতে থাকতে কখন যেন জালের মতো অন্ধকারে জড়িয়ে যায় চারপাশ। সন্ধ্যার হাত ধরে থোকা থোকা ছায়া ঘন হয়ে ওঠে দিঘিপাড়ের আমবাগানে। বাতাসে মুকুলের ম–ম ঘ্রাণ। বুঝলাম, এই প্রত্নগভীরতা থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে। ফিরে যাচ্ছি আবার চলমান জীবনের ব্যস্ততায়, বাস্তবতায়। পেছনে আবছা অন্ধকারে যাবতীয় স্মৃতি নিয়ে পানিতে একলা দাঁড়িয়ে থাকে দিব্যক বিজয়স্তম্ভ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ বর দ ঘ ক বর ত

এছাড়াও পড়ুন:

ইতিহাস না জানলে পথের দিশা খুঁজে পাব না

বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর ইতিহাসের চর্চা ক্রমাগত কমে আসছে উল্লেখ করে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘ইতিহাস যেন বিশেষ দিনে জন্মগ্রহণ করেছে, একটা জাতি যেন বিশেষ মুহূর্তে চলে এল। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে আমরা ইতিহাস জানতে চাইছি না। অথচ ইতিহাস না জানলে ভবিষ্যতে কোন দিকে যাব, সেই পথের দিশা খুঁজে পাব না। ইতিহাস না জানলে আমরা আমাদের পরিচয় জানতে পারব না। বর্তমানকে বুঝতে পারব না।’

শনিবার বিকেলে রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে ‘বাংলাদেশের কালচার ও আমাদের রাজনীতি’ শিরোনামে বুক রিভিউ প্রতিযোগিতা-২০২৫–এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এ কথাগুলো বলেন।

আবুল মনসুর আহমদের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পরিষদ। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম এ সংগঠনের সভাপতি। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, মানুষের বাঁচার আকাঙ্ক্ষা রাজনীতি ও লেখার মধ্যে প্রকাশ করেছেন আবুল মনসুর আহমদ। তিনি এমন আধুনিকতার কথা বলেছেন, যে আধুনিকতা ঐতিহ্য ও জনজীবনকে অস্বীকার করবে না। যে আধুনিকতা অল্প কয়েকজন মানুষের হবে না।

অপর আলোচকেরা বলেন, বর্তমান সময়ের সংকট মোকাবিলায় দিকনির্দেশনা হতে পারে আবুল মনসুর আহমদের বই।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ সালে পাক-বাংলার কালচার শিরোনামে বইটি লেখেন আবুল মনসুর আহমদ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বইটির নাম পাল্টে বাংলাদেশের কালচার করেন তিনি। বাংলার সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের ওপর লেখা বইটির ১০টি অধ্যায়ের দুটো অধ্যায় তিনি স্বাধীন দেশে লেখেন।

আবুল মনসুর আহমদ ১৮৯৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা গ্রামে জন্ম নেন। ১৯৭৯ সালের ১৮ মার্চ ঢাকায় মারা যান তিনি। আবুল মনসুর আহমদ ছিলেন সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, আইনজ্ঞ ও সাংবাদিক। তিনি ১৯৪৬ সালে অবিভক্ত বাংলার কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক কৃষক, নবযুগ ও ইত্তেহাদ–এর সম্পাদক ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের যুক্তফ্রন্ট সরকারে প্রাদেশিক শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ১৯৫৭ সালে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সরকারে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী। বাংলাদেশের কালচার ছাড়াও তাঁর রচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আয়না, আসমানী পর্দা, গালিভারের সফরনামা ও ফুড কনফারেন্স, আত্মকথা, আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ইতিহাস না জানলে আমরা আমাদের পরিচয় জানতে পারব না। বর্তমানকে বুঝতে পারব না। ভবিষ্যতে কোন দিকে যাব, সেই পথের দিশা খুঁজে পাব না। সংস্কৃতিও তেমন গুরুত্বপূর্ণ। সংস্কৃতির যে মূল কথা ‘স্বাতন্ত্র্য’—তা আবুল মনসুর আহমদ তাঁর লেখায় তুলে এনেছেন। সংস্কৃতি দিয়েই আমাদের লড়তে হবে। আমরা আরও দেখছি, যত আমাদের উন্নতি হচ্ছে, তত আমরা দেশপ্রেম হারাচ্ছি।’

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘রাজনীতি ও সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য করা হচ্ছে। যেটাকে আমরা আধুনিকতা বলি। রাজনীতি ও সংস্কৃতি—দুটো যে অবিভাজ্য এবং দুটোই যে সংস্কৃতির অংশ, সেটা আবুল মনসুর আহমদ জানতেন এবং সেই চর্চা করতেন। তাঁর রচনার মধ্যে তিনি দেখিয়েছেন, জীবনের ক্ষুধা, সেটাই প্রধান ক্ষুধা। মানুষ বাঁচতে চায়। মানুষের বাঁচার আকাঙ্ক্ষা তাঁকে রাজনীতিমুখী ও সাহিত্যমুখী করেছে, তাঁর সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। মানুষের বাঁচার আকাঙ্ক্ষা তিনি রাজনীতি ও লেখার মধ্যে প্রকাশ করেছেন। তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন। ধর্মজীবী মানুষদের আচরণ তিনি এত বছর আগে যেভাবে দেখিয়েছেন, আজ আমরা তা দেখাতে পারি না।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক মো. আবুল ফজল বলেন, আবুল মনসুর আহমদ মনে করতেন, ব্যক্তির জীবনে যেমন ব্যক্তিত্ব থাকে, তেমনি একটি জাতির ব্যক্তিত্ব হচ্ছে তার সংস্কৃতি। তাঁর লেখায় আরও একটা দাবি উঠে আসে, বাংলাদেশ যে আলাদা হলো, এটা ইতিহাসে যে বঙ্গ ছিল, সেটার বিভাজন নয়। এটা ইংরেজ আমলের বঙ্গের বিভাজন। বাংলা অঞ্চলের কোনো মুসলাম ও হিন্দুর সঙ্গে অন্য কোনো অঞ্চলের মুসলমান ও হিন্দুর মিল নেই। বর্তমান সময়ের সংকট মোকাবিলায় দিকনির্দেশনা হতে পারে তাঁর বই।

আবুল মনসুর আহমদ বাঙালি মুসলমানের মনকে অসাধারণভাবে বুঝতে পেরেছিলেন উল্লেখ করে সাংবাদিক শুভ কিবরিয়া বলেন, মানুষের ভাবাবেগ বোঝার জন্য এই বই (বাংলাদেশের কালচার) দিক নির্দেশনামূলক হতে পারে।

প্রাবন্ধিক সহুল আহমদ বলেন, আবুল মনসুর আহমদের কাছে সংস্কৃতি ছিল নিজেদের স্বাতন্ত্র্যবোধকে ফুটিয়ে তোলার বড় উপাদান। তিনি মনে করতেন, সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল। সংস্কৃতিতে যা ক্ষতিকর, তা বর্জনীয়।

কবি তুহিন খান বলেন, এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ভাবনা ও স্বাতন্ত্র্যবোধ তাঁর লেখায় উঠে এসেছে। তিনি বলেছেন, এ দেশের মানুষকে ইসলামি মোল্লা ও প্রগতি মোল্লার বিরুদ্ধে লড়তে হয়।

আবুল মনসুর আহমদের চিন্তার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘আবুল মনসুর আহমদ বুক রিভিউ প্রতিযোগিতা ২০২৫’–এ এবারের বই ছিল বাংলাদেশের কালচার। বই পর্যালোচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী চারজনের নাম ঘোষণা করেন প্রতিযোগিতার বিচারক কাজল রশীদ শাহীন। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন আসিফ মাহমুদ। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ হয়েছেন যথাক্রমে এস এ এইচ ওয়ালীউল্লাহ, জুবায়ের দুখু ও শরাবন তহুরা। পুরস্কার হিসেবে তাঁদের হাতে সনদ ও বই তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আবুল মনসুর আহমদের ছেলে দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্‌ফুজ আনাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দ্য ডেইলি স্টার–এর সহসম্পাদক ইমরান মাহফুজ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ