Risingbd:
2025-04-13@19:05:05 GMT

কারাগারে ইয়াশ!

Published: 22nd, March 2025 GMT

কারাগারে ইয়াশ!

দুর্বার এক প্রেমের গল্পে নির্মিত হলো ঈদের বিশেষ নাটক ‘অবুঝ প্রেম’। সিএমভি’র ব্যানারে এটির চিত্রনাট্য ও নির্মাণ করেছেন মুহাম্মদ মিফতাহ্ আনান। আর তাতে প্রেমিক-প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান ও নাজনীন নিহা। আরও অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, জয়নাল জ্যাক প্রমুখ।

ফুয়াদ বিন আলমগীরের সিনেমাটোগ্রাফিতে এই নাটকে দুটি ভিন্ন লুক ও চরিত্রে হাজির হবেন ইয়াশ রোহান ও নাজনীন নিহা। এ প্রসঙ্গে নির্মাতা মিফতাহ্ জানান, ‘‘অবুঝ প্রেম’ নাটকের চ্যালেঞ্জিং অংশ ছিল দুটি। একটি কলেজ জীবনের গেটআপ, অন্যটি কারাগার ও পাগলাগারদের গেটআপ, মেকআপ ও অভিনয়। দুটো চ্যালেঞ্জই শতভাগ উতরে গেছেন ইয়াশ-নিহা। এমনটাই প্রতিক্রিয়া নির্মাতা পক্ষের।’’

আরো পড়ুন:

‘কন্যা’ দিয়ে প্রশংসিত সজল

‘সিয়াম, বুবলীর রসায়ন পুরাই মধু মধু’

‘অবুঝ প্রেম’ নাটকের দৃশ্য

এদিকে গল্পের বিষয়ে একেবারেই মুখ খুলুতে চাইছেন না সংশ্লিষ্ট কেউ। নির্মাতা শুধু এটুকু জানালেন, এটি শতভাগ খাঁটি প্রেমের গল্প। যেখানে প্রেম আছে, পাল্লা দিয়ে থাকছে বিরহও।

তবে এই নাটকের দৃশ্যে দেখা যায় কারাগারে ইয়াশ। কি কারণে কারাগারে ইয়াশ তা জানতে দেখতে হবে ‘অবুঝ প্রেম’ নাটক। 

‘অবুঝ প্রেম’ ছাড়াও এবারের ঈদ আয়োজনে সিএমভি’র ব্যানারে মুক্তি পাচ্ছি ২০টি নাটক। প্রযোজক-পরিবেশক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, চাঁদরাত থেকে বিশেষ নাটকগুলো ধারাবাহিকভাবে উন্মুক্ত হতে থাকবে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে।

ঢাকা/রাহাত/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অব ঝ প র ম

এছাড়াও পড়ুন:

৪১৫৬৭ অসহায় ও দুস্থ অনুদানের অপেক্ষায়

টাকার অভাবে কেউ ওষুধ কিনতে পারছেন না; কারও থেরাপি নেওয়া বন্ধ। কারও চিকিৎসাই বন্ধ। ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, পক্ষাঘাতগ্রস্ত, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ৪১ হাজার ৫৬৭ রোগী পড়েছেন বিপাকে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের আর্থিক সহায়তা কার্যক্রমের অনুদান তারা পাচ্ছেন না।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে প্রতিবছর ৩ লক্ষাধিক লোক ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। অর্থের অভাবে এসব রোগে আক্রান্তরা ধুঁকে ধুঁকে মারা যায়। অনেকের পরিবার চিকিৎসা ব্যয় বহন করে নিঃস্ব হয়ে পড়ে।

‘হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমে’র মাধ্যমে দুস্থ ও অসহায় রোগীদের আর্থিক সহায়তা দেয় সমাজসেবা অধিদপ্তর। ২০১০ সাল থেকে তিন মাস অন্তর টাকা দেওয়া হয়। বর্তমানে এককালীন ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এ জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়। গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি-মার্চের টাকা চলতি এপ্রিল মাসের অর্ধেক পার হলেও তারা পাননি। কবে পাবেন, তা তারা জানেন না।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা রাশেদা বেগম (৪৫) জানান, তিনি স্তন ক্যান্সারে ভুগছেন। ভ্যানচালক স্বামী এবং ছেলেমেয়ে নিয়ে তাঁর পরিবার। অভাবের কারণে তিনি চিকিৎসার খরচ বহন করতে হিমশিম খাচ্ছেন। উপায়ান্তর না পেয়ে এলাকার মানুষের পরামর্শে সমাজসেবা অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আর্থিক সাহায্য পেলে তিনি চিকিৎসা করাতে পারবেন।
খুলনা সদরের মহেষ্যপাশার মানিকতলার বাসিন্দা ইয়াসমিন জাহান মাঈশা (২৫) জানান, দুরারোগ্য ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। সমাজসেবা অধিদপ্তরে সাহায্যের আবেদন করেছেন। তাঁর স্বামী ইজিবাইক চালক। সংসারে রয়েছে দুই কন্যা। চিকিৎসার খরচ জোগাতে তিনি ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। 

রাজশাহীর তানোর উপজেলার বেলী বেগম (৪৫) জানান, তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত। স্বামী আলমগীর হোসেন তেমন কোনো কাজ করেন না। ছোট্ট একটি ফার্মেসির উপার্জন দিয়ে চলছে তাঁর সংসার। চিকিৎসার টাকা জোগাতে তারও হিমশিম খেতে হচ্ছে। শেষ ভরসা হিসেবে সমাজসেবায় জমা দিয়েছেন সহায়তার আবেদন।
জানতে চাইলে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাইদুর রহমান খান সমকালকে বলেন, বছরে চারবার এই টাকা দেওয়া হয়। সর্বশেষ ডিসেম্বরে টাকা দেওয়া হয়েছে। শিগগির এবারের টাকা ছাড় দেওয়া হবে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (সামাজিক নিরাপত্তা) মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, ৭৫ শতাংশ অর্থ ৬৪ জেলায় জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে বিভাজন করে পাঠানো হয়। যারা আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন, তাদের প্রক্রিয়াগত কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর দ্রুত টাকা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ