জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশের যে ক্ষতি হচ্ছে, সেই ক্ষতি মোকাবিলায় ঋণের পরিবর্তে আর্থিক অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ১৮ থেকে ২১ মার্চ (ফ্রান্সের স্থানীয় সময়) বিশ্বব্যাপী নগর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্মেলন ‘পার্টনারশিপ ফর হেলদি সিটিজ সামিট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিজ ও প্যারিস সিটি কর্তৃপক্ষের আয়োজনে আয়োজিত এ সম্মেলনে ৬১টি শহরের ১২ জন মেয়রসহ মোট ৩৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। সেই সম্মেলনে ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক এক গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের উত্তরে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমাদের শহরের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উন্নত দেশ ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কাছ থেকে ঋণসহায়তা পাওয়ার বিষয়ে আমরা আগ্রহী নই। যেহেতু জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী শিল্পোন্নত দেশগুলো লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিলের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে দায়বদ্ধ, তাই ঋণের পরিবর্তে তাদের প্রতি আর্থিক অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

মেয়রের নির্ধারিত আলোচনায় ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, পার্টনারশিপ ফর হেলদি সিটিজ ইতিমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে বায়ুদূষণ পরিমাপের যন্ত্রসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে। বিশ্বের বিভিন্ন শহরে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। এ অভিজ্ঞতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেন তিনি।

গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য শহরে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকায় বায়ুদূষণ এর মধ্যে একটি বড় সমস্যা। যেহেতু দূষণের কোনো বাউন্ডারি নেই, তাই আমরা প্রতিনিয়ত আশপাশের শহর ও দেশের শিল্পায়নের দ্বারা সৃষ্ট দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আন্তর্জাতিক এই নেটওয়ার্ক ঢাকার মতো ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিতে পারে। এর ফলে পার্টনারশিপ ফর হেলদি সিটিজ নেটওয়ার্কের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।’

২০১৭ সালে শুরু হওয়া পার্টনারশিপ ফর হেলদি সিটিজ এখন ৭৪টি শহরের একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক। জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত সমস্যা মোকাবিলা ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন শহরের মডেল ও কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাধ্যমে হেলদি সিটি গড়ার লক্ষ্যে এটি বিশ্বব্যাপী কাজ করছে। এই নেটওয়ার্কের পার্টনার হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন শহরের বায়ুদূষণ রোধে কাজ শুরু করেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন টওয় র ক প র টন র আর থ ক শহর র জলব য়

এছাড়াও পড়ুন:

প্যারিসে সম্মেলন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় অনুদানের আহ্বান ডিএনসিসি প্রশাসকের

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশের যে ক্ষতি হচ্ছে, সেই ক্ষতি মোকাবিলায় ঋণের পরিবর্তে আর্থিক অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ১৮ থেকে ২১ মার্চ (ফ্রান্সের স্থানীয় সময়) বিশ্বব্যাপী নগর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্মেলন ‘পার্টনারশিপ ফর হেলদি সিটিজ সামিট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিজ ও প্যারিস সিটি কর্তৃপক্ষের আয়োজনে আয়োজিত এ সম্মেলনে ৬১টি শহরের ১২ জন মেয়রসহ মোট ৩৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। সেই সম্মেলনে ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক এক গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের উত্তরে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমাদের শহরের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উন্নত দেশ ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কাছ থেকে ঋণসহায়তা পাওয়ার বিষয়ে আমরা আগ্রহী নই। যেহেতু জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী শিল্পোন্নত দেশগুলো লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিলের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে দায়বদ্ধ, তাই ঋণের পরিবর্তে তাদের প্রতি আর্থিক অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

মেয়রের নির্ধারিত আলোচনায় ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, পার্টনারশিপ ফর হেলদি সিটিজ ইতিমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে বায়ুদূষণ পরিমাপের যন্ত্রসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে। বিশ্বের বিভিন্ন শহরে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। এ অভিজ্ঞতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেন তিনি।

গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য শহরে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকায় বায়ুদূষণ এর মধ্যে একটি বড় সমস্যা। যেহেতু দূষণের কোনো বাউন্ডারি নেই, তাই আমরা প্রতিনিয়ত আশপাশের শহর ও দেশের শিল্পায়নের দ্বারা সৃষ্ট দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আন্তর্জাতিক এই নেটওয়ার্ক ঢাকার মতো ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিতে পারে। এর ফলে পার্টনারশিপ ফর হেলদি সিটিজ নেটওয়ার্কের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।’

২০১৭ সালে শুরু হওয়া পার্টনারশিপ ফর হেলদি সিটিজ এখন ৭৪টি শহরের একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক। জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত সমস্যা মোকাবিলা ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন শহরের মডেল ও কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাধ্যমে হেলদি সিটি গড়ার লক্ষ্যে এটি বিশ্বব্যাপী কাজ করছে। এই নেটওয়ার্কের পার্টনার হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন শহরের বায়ুদূষণ রোধে কাজ শুরু করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ