কখন বুঝবেন রক্তে ইউরিক এসিড বেড়ে গেছে
Published: 22nd, March 2025 GMT
চিকিৎসকেরা বলেন, রক্তের ইউরিক এসিড রক্তে আসে বিভিন্ন ধরনের আমিষ জাতীয় খাবার থেকে। এছাড়া আমাদের শরীরে বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়—সেখান থেকেও কিছু পরিমাণ আসে।
ডা. মো. গুলজার হোসেন, রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরে যে ইউরিক এসিড জমা হয়, সেটা সাধারণত আমাদের কিডনী বের করে ফেলে। কোনো কারণে যদি কিডনী এই কাজটি করতে ব্যর্থ হয় তাহলে রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। সাধারণত রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে জয়েন্টে ব্যথা, বৃদ্ধাঙ্গুলি ফুলে যায়, ছোট ছোট জয়েনগুলো ফুলে যায়। জয়েন্টগুলো লাল হয়ে যায়। এরকম হলে হয়তো আপনার ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। আর যদি কোনো সিমটম দেখা না যায় তাহলে আমরা সাধারণত ওষুধ খেতে বলি না। বা খাবার গ্রহণেও কোনো সমস্যা থাকে না।’’
ইউরিক এসিড প্রতিরোধ করে এই পানীয় পান করতে পারেন
আরো পড়ুন:
রোজায় লুজ মোশনের ঝুঁকি এড়াতে করণীয়
হাত, পা দুর্বল হওয়া মানেই কি স্ট্রোক?
লেবু-পানি: লেবুতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি। এই উপাদান ইউরিক অ্যাসিড ভেঙে ফেলে এবং শরীর থেকে বাড়তি ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে পারে।
হলুদ মিশ্রিত দুধ: পানিতে হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন। হলুদে আছে কারকিউমিন। এই পানীয় ইউরিক অ্যাসিড কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করলে উপকার পেতে পারেন।
শসার জুস: শশাতে থাকা উপাদাগ ইউরিক অ্যাসিডসহ অন্যান্য দূষিত পদার্থ বের করে দিতে বেশ কার্যকর। এতে পিউরিন নেই বললেই চলে। একটা আস্ত শসা সামান্য পানির সঙ্গে ব্লেন্ড করে জুস করে পান করলে উপকার পেতে পারেন।
রক্তে ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউর ক অ য স ড
এছাড়াও পড়ুন:
বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ছুড়ে পতিত ফ্যাসিস্টকে সহযোগিতা করা হচ্ছে: বাংলাদেশ জাসদ
দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান। তিনি বলেন, বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ছুড়ে পতিত ফ্যাসিস্টকেই সহযোগিতা করা হচ্ছে।
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে কথাগুলো বলেন নাজমুল হক প্রধান। ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, নারীর প্রতি সহিংসতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদ এবং দ্রুত খুনি–লুটেরাদের বিচার ও নির্বাচনের’ দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন; কিন্তু বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ছুড়ে দিয়ে যাঁরা রাজনৈতিক অঙ্গনকে উত্তপ্ত করছেন, তাঁরা মূলত পতিত ফ্যাসিস্টকেই সহযোগিতা করছেন। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে গণতন্ত্রের রাস্তায় উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করছেন।
নাজমুল হক প্রধান বলেন, মানুষকে বাজারভীতিতে পেয়ে বসেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ। নারীর প্রতি সহিংসতা চরমে পৌঁছেছে। ‘মব জাস্টিসের’ নামে লুটপাট হচ্ছে। লুটেরা–খুনিদের বিচার এখন সময়ের দাবি। ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য জরুরি।
সমাবেশে জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন বলেন, আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করতে না পারলে ভবিষ্যতে মানুষ রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাবে। নারীরা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। আজ তাঁদের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের পাঁয়তারা চলছে।
সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ জাসদ একটি মিছিল নিয়ে রাজধানীর পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে মিছিলটি দলের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি আব্দুস সালাম খোকনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল কাদের হাওলাদার, করিম সিকদার, রোকনুজ্জামান রোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোকসেদুর রহমান প্রমুখ।