ফেসবুকে পোস্ট নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১৫
Published: 22nd, March 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৮ জনকে রায়পুর, লক্ষ্মীপুর সদর ও চাঁদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উত্তর চরআবাবিল ইউপির হারুনগন্জ বাজারের বটতলা এলাকায় ইউপি পরিষদের সামনে এ সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রায়পুর ও হায়দরগন্জ ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নেন।
জানা যায়, রায়পুরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
আহতদের মধ্যে বিএনপি নেতা লিটন হাওলাদার, মর্তুজা মাহি, জয়নাল, মো.
স্থানীয়রা জানান, উত্তর চরআবাবিল ইউপির সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আল আমিন মামুন তার ফেসবুক ওয়ালে একই ইউনিয়ন সভাপতি আবদুল বাসেদ হাওলাদারকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য লিখেন। এর প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাসেদ হাওলাদারের নাতি বিএনপির কর্মী মর্তুজা মাহি তার অনুসারীদের নিয়ে হায়দরগন্জ বাজারে বিক্ষোভ করে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অবস্থান নেন।
এসময় মাহির প্রতিপক্ষ সর্দার গোষ্ঠির উত্তর চরআবাবিল ইউপির সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আল আমিন মামুন, যুগ্ম আহবায়ক কালাম বলি ও এলএক্স সোহেলের নেতৃত্বে তাদের ২০-২৫ জন অনুসায়ী বিএনপির সভাপতি বাসেদ হাওলাদারের ছেলে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিদর্শক লিটন হাওলাদার, তার ছেলে যুবদল নেতা মর্তুজা মাহিসহ তার লোকজনের উপর হামলা করলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
এ ব্যাপারে রায়পুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সফিকুর রহমান ভুইয়া বলেন, “ফেসবুকে পোস্ট দেয়া নিয়ে 'উত্তর চরআবাবিল ইউপির বিএনপির আহবায়ক আবদুল বাসেদ হাওলাদারের পক্ষের এবং সর্দার গোষ্ঠির স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক আল আমিন মামুন ও কালাম বলির লোকদের মধ্যে মিছিল ও মারামারি হয়। আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মিমাংসা করে দিয়েছি। প্রয়োজনে দুই গ্রুপকে নিয়ে আবার বসবো।”
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভুইয়া বলেন, “উত্তর চরআবাবিল ইউপির বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের মধ্য ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে হায়দরগন্জ বাজারে দুই গ্রুপের বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করেছে। তবে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/লিটন/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র স ঘর ষ ফ সব ক
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে এম্পাওয়ারিং আওয়ার ফাইটারস প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে ইফতার
চট্টগ্রামের মুরাদপুরে এম্পাওয়ারিং আওয়ার ফাইটারস প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে মিডটাউনের একটি রেস্তরাঁয় এ ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।
এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত আরমান এবং আরমানের মা, আহত রাকিবুল, আহত জালাল, আহত সাকিবসহ আরও কয়েকজন আহত বীর।
এছাড়া এম্পাওয়ারিং আওয়ার ফাইটারস এর পক্ষ থেকে কলি কায়েজ, উমামা ফাতেমা, ইদুল ফয়সাল, সাকিবুর রনি, রাকিবুল হোসেন ইসরাফ, আলি হাসনাত, তানজিলাসহ বাকি সদস্যরা। আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ারিয়র অব জুলাই, জুলাই রেকর্ডস সংগঠনটির সদস্যরা।
সামাজিক ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমী, অ্যাডভোকেট ফাহিম শরীফসহ অনেকেই।
অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেছেন কলি কায়েজ এবং সঞ্চালনা করেছেন সংগঠনটির সদস্য ইয়াছিন আরাফাত।
বক্তব্যকালে উমামা ফাতেমা বলেন, ৫ আগস্টের আগের সময়টায় আমরা যখন ভয়ংকর একটি সময় পার করছিলাম, তখন প্রতিদিনের আন্দোলনের পাশাপাশি আহতদের জন্য কাজ করার মানবিক প্রেরণা থেকে আমাদের এই প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু হয়। সেই থেকে আমরা এখন অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি। এখন সরকার চাইলে আহতদের জন্য কাজ করা সকল প্ল্যাটফর্মকে একই ছাতার নিচে আনতে পারত।
জুলাই রেকর্ড এর পক্ষ থেকে সুলাইম বলেন, এই আন্দোলনে মানুষ নিঃস্বার্থভাবে প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু এর বিনিময়ের প্রশ্নে অনেকেই নানারকম রাজনীতি করছে। এ অবস্থায় আমরা প্রকৃত গল্পগুলো তুলে আনার চেষ্টা করছি।
বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের অবহেলাগুলো দ্রুত সমাধান করা দরকার, যেন দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগকারী মানুষগুলো সুস্থ জীবন যাপনে ফিরে আসতে পারে।
আহত যোদ্ধা সায়েম বলেন, আন্দোলনে আহতদের জন্য কাজ করা সকল প্ল্যাটফর্মকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আহতরা সবাই যেন সুন্দর একটা জীবন পায়, সেই লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করার অনুরোধ জানাই।
অনুষ্ঠানের সভাপতি কলি কায়েজ বলেন, ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের আহত এবং শহীদদের পরিবারের সঙ্গে সরকারকে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করতে হবে। প্রত্যেক ভিকটিম পরিবারের জন্য অতি দ্রুত ন্যায়বিচার ও সম্মানজনক পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
সংগঠনটির ঢাকা টিমের সদস্য সাকিবুর রনি বলেন, পুনর্বাসন প্রশ্নে শুধু আর্থিক সাহায্যই মুখ্য না। এখানে প্রত্যেক আহত রোগীর সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থানকে আগের মতো স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে। প্রত্যেক আহত ব্যক্তির জন্য বিশেষায়িত পরিকল্পনা নিতে হবে।
এতে আরও বক্তব্য দেন, স্বাস্থ্য উপকমিটির পক্ষ থেকে মো. জসিম, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জোবাইরুল আরিফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম সমন্বয়ক রুদ্র সাইফুল, অ্যাডভোকেট ফাহিম।