Risingbd:
2025-03-22@13:31:31 GMT

‘কন্যা’ দিয়ে প্রশংসিত সজল

Published: 22nd, March 2025 GMT

‘কন্যা’ দিয়ে প্রশংসিত সজল

আসছে ঈদুল ফিতরে মুক্তির অপেক্ষায় আছে 'বরবাদ', 'দাগি', 'জংলি', 'জ্বীন' ৩ সিনেমা। মুক্তিকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সিনেমাগুলোর টিজার, ট্রেলার প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে সেসবের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুঁজি করা হয়েছে রক্তারক্তি, হানাহানি, হিংস্রতা। ‘জ্বীন-৩’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল। নাটকে এখন আর তাকে আগের মতো দেখা না গেলেও সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। 

ঈদকে কেন্দ্র করে ভায়োলেন্সের এই ভিড়ে যেন দু-দণ্ড উৎসবের আমেজ ছড়াচ্ছে ‘জ্বীন-৩’ সিনেমার ‘কন্যা’ গান ও টিজার। পথে পথে হাসি মেখে, ফুলেরা ঘ্রাণ ছড়াল/উড়ে উড়ে কুহু সুরে, পাখিরা গান শোনাল— এমন মিষ্টি কথায় ‘কন্যা’ শিরোনামের গানটি ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা গেছে রঙের আধিক্য। দৃশ্যায়নে উৎসবের ছাপ যেন জাঁকজমক করে তুলেছে চারপাশ। গানটি প্রকাশের পর প্রশংসায় মেতেছেন সবাই। এই সকলের মধ্যে সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে আছেন শোবিজ তারকারাও। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকবি রবিউল ইসলাম জীবন। ইমরান মাহমুদুলের সুর ও সংগীতে এতে কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান ও কণা। গানটি অনলাইনে মুক্তির পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে আছে। 

সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে গানটির সঙ্গে সাধারণ দর্শকরা নেচে নানা ভিডিও বানাচ্ছে। গানটিতে এক ভিন্ন অবতারে হাজির হয়েছেন অভিনেতা সজল। হরর সিনেমা হলেও গানটির প্রতিটি সিনে চোখে, মুখে তার রোমান্টিকতা প্রকাশ পেয়েছে। যেনো গানটির কথা ও পরিবেশের সঙ্গে একেবারে মিলেমিশে একাকার হয়ে ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় নাচেও কম যাননি এই অভিনেতা। নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমানতালে নেচে দর্শকদের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। অল্প সময়েই গানটি নিয়ে সবার এত ভালোবাসা পেয়ে বেশ আপ্লুত সজল। 

আরো পড়ুন:

‘সিয়াম, বুবলীর রসায়ন পুরাই মধু মধু’

কার বায়োপিকে অভিনয় করতে চান শাকিব খান

এই অভিনেতা বলেন, "আসলে এত অল্প সময়ে দর্শকদের এতো এতো ভালোবাসা পাবো গানটি দিয়ে তা বুঝতে পারিনি। আমাদের কষ্ট তখনই সার্থক হবে যখন ছবিটি সবাই মিলে দলবলে হলে গিয়ে ছবিটি দেখে ভালো-মন্দ মতামত দিবেন।

" প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে মুক্তি পায় ‘জ্বীন’। সেটির সাফল্যে পরের বছর আসে এর দ্বিতীয় কিস্তি ‘মোনা : জ্বীন-২’। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ঈদুল ফিতরে আসছে ‘জ্বীন ৩’। এটি পরিচালনা করেছেন কামরুজ্জামান রোমান। 

ঢাকা/রাহাত/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লাঙ্গলবন্দ নিয়ে বিভক্ত না’গঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় তীর্থস্থান হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন লাঙ্গলবন্দ এলাকা। এখানকার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করার মাধ্যমে পাপ মোচন হয় বলে বিশ্বাস সনাতন ধর্মাবলম্বীদের। সেই পূণ্যস্থান নিয়ে এবার বিভক্তি ছড়িয়ে পড়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে। 

আসন্ন মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ পূণ্য স্নান আয়োজন নিয়ে পাল্টাপাল্টি দুটি কমিটির মাঝে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে সনাতন ধর্মালম্বী সকলের মাঝে। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বুধবার ১৯ মার্চ দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী লাঙ্গলবন্দ পূণ্য স্নান উৎসব আয়োজনে একটি কমিটি রয়েছে যা দীর্ঘদিন যাবত অত্যন্ত সফলভাবে এই আয়োজনটি করে আসছে। এই কমিটির সভাপতি সরোজ কুমার সাহা এবং সাধারণ সম্পাদক অশোক কর্মকার।

এই কমিটি আর সাথে পূজা উদযাপন পরিষদ এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ মিলেমিশে এই স্নান উৎসব আয়োজন করে আসছে অনেক বছর যাবত। কিন্তু হঠাৎ করে কিছুদিন আগে আরেকটি পক্ষ এই পূণ্য স্নান আয়োজনে স্বঘোষিত একটি কমিটি ঘোষণা করে আর এরপর থেকেই শুরু হয় বিভক্তি আর উত্তেজনা।

সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, নারায়ণগঞ্জের সনাতন সম্প্রদায়ের মাঝে দীর্ঘদিন যাবত যে ঐক্য বিরাজ করছিলো তা ভেঙ্গে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে । ৫ আগষ্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর একটি মহল এই বিভক্তির বিষবাস্প ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে যা নারায়ণগঞ্জের সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন ভালো চোখে দেখছে না।

ঘটনা সূত্রে প্রকাশ, নারায়ণগঞ্জের মানুষ  সব সময়ই শান্তিপ্রিয়। সকল ধর্মের মানুষ এখানে মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। সেইসাথে সকল ধর্মের উৎসব পার্বনও এখানে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে পালন করা হয়ে থাকে।

এখানে পবিত্র রমজান মাসে শারদীয় দূর্গাপূজা পালিত হয়েছে, কোথাও কোনো ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির এই অনন্য নজির নারায়ণগঞ্জে চলে আসছে সুদীর্ঘকাল যাবত।

নারায়ণগঞ্জের সনাতন সম্প্রদায়ের সমস্যা সমাধানে দুটি সংগঠন সবসময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এসেছে। এর একটি হলো পূজা উদযাপন পরিষদ আরেকটি হলো হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।

বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন থেকে শুরু করে হিন্দু সম্প্রদায়ের নানা সমস্যা সমাধানে প্রশাসন ও সরকারের সাথে সমন্বয় সাধনের কাজটি সব সময়ই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করে এসেছে এই সংগঠন দুটি।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানয় অবস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান লাঙ্গলবন্দের অষ্টমী স্নান উদযাপনের জন্যেও একটি কমিটি রয়েছে যা দীর্ঘকাল যাবত এই স্নান কাজ পরিচালিত করে আসছে। সকল সরকারের আমলেই তারা মিলে মিশে তাদের দায়িত্ব পালন করে আসছে।

নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ আগষ্টের পরপর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে যে আতঙ্ক বিরাজ করছিলো তা দুর করতে পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ নিরলসভাবে কাজ করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ বিএনপি, জমায়াত, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বয় করে হিন্দু ধর্মের উপাসনালয় ও তাদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন যাতে করে তাদের মন থেকে সেই আতঙ্ক দুর হয়েছে এবং তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পেরেছেন।

তাদের মতে, ৫ আগষ্টের পর একটি নতুন চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের এই ঐক্য বিনষ্ট করার জন্যে। তাদেরকে ইতিপূর্বে কখনো মাঠে দেখা যায়নি। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠি তাদের দু:সময়ে এদেরকে কখনো পাশে পাননি। এসব ভূইফোড় নেতাদের ৫ আগষ্টের পর উদ্ভব হয়েছে।

তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যে আমাদের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যার প্রমাণ পাওয়া গেছে ইতিমধ্যে। গত কিছুদিন পূর্বে লাঙ্গলবন্দের স্নান উৎসব উদযাপনের জন্যে নতুন একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে অথচ আমাদের আগেরই একটি কমিটি রয়েছে যারা বিগত সময়গুলোতে অত্যন্ত সফলভাবে স্নান উৎসব আয়োজন করে আসছে।

বিভক্তি কখনো কল্যাণ বয়ে আনেনা। আর যারা বিভক্তি সৃষ্টি করছে তাদেরকে বিগত সময়ে কখনো আমাদের সুখ দু:খে পাওয়া যায়নি। আমরা এ বিভক্তি চাই না, আমরা চাই ঐক্য। আমরা চাই সকলে মিলেমিশে নারায়ণগঞ্জে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাগরে মাছ নেই, জেলে পরিবারে ঈদ আনন্দ ম্লান
  • হাউস অব বাটারফ্লাই-এর সঙ্গে ‘ঈদের খুশিতে জমবে উৎসব’
  • ঈদে বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবি নিয়ে এল ইজি ফ্যাশন
  • লাঙ্গলবন্দ নিয়ে বিভক্ত না’গঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়