বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ আইন বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে যতটা সম্ভব অবমূল্যায়ন করা এবং ক্ষমতাহীন করাই উদ্দেশ্য, যার ফলশ্রুতিতে একটি দুর্বল ও প্রায় অকার্যকর সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।

শনিবার সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালায় সাংবিধানিক কমিশনসহ (এনসিসি) নতুন নতুন বিভিন্ন কমিশনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সমস্ত কমিশনের এখতিয়ার, কর্মকাণ্ডের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তাতে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, আইন বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে যতটা সম্ভব অবমূল্যায়ন করা এবং ক্ষমতাহীন করাই উদ্দেশ্য, যার ফলশ্রুতিতে একটি দুর্বল ও প্রায় অকার্যকর সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।

রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্র, জনগণের মালিকানার প্রতিফলন হয় নির্বাচিত সংসদ এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কিন্তু সংবিধান ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ পর্যালোচনা করলে প্রতীয়মান হয় যে, রাজনীতিবিদরা অপাঙ্‌ক্তেয় এবং অনির্বাচিত লোকদেরই দেশ পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করাই শ্রেয়। জনগণের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য, কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি ও ধর্মবোধ এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়েই বিভিন্ন সংস্কার ও সাংবিধানিক সংশোধনী প্রণীত হওয়া বাঞ্ছনীয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে সমুন্নত রেখে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই বর্তমান সময়ের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বৃহত্তর জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সব সংস্কার প্রচেষ্টা পরিচালিত হবে এটাই জাতীয় প্রত্যাশা।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও কোনও উপদেষ্টা ক্ষমতায় থেকে রাজনৈতিক দল গঠন প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ/পরোক্ষভাবে জড়িত থাকায় জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করার নানা প্রকার লক্ষণ ও প্রমাণ ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে যা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য মোটেই সুখকর নয়।

বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ এই নেতা বলেন, সংস্কারের উদ্দেশ্য হলো, জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন, জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান এবং জবাবদিহিতা ও আইনের শাসনের নিশ্চয়তা বিধান করা। সর্বোপরি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষিত করা।

সংস্কার আগে- নির্বাচন পরে, কিংবা নির্বাচন আগে- সংস্কার পরে এ ধরনের অনাবশ্যক বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেহেতু সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া দুটোই একই সাথে চলতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে একটি সংস্কার সনদ তৈরি হতেই পারে, নির্বাচিত সরকার পরবর্তীতে যা বাস্তবায়ন করবে।

তিনি বলেন, এমতাবস্থায় এখন অন্তর্বর্তী সরকারের মূলত করণীয় হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা এবং নির্বাচিত সরকারের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করা। নির্বাচিত সরকার জনগণের কাঙ্ক্ষিত ঐক্যমত্যের সংস্কার সমূহ সম্পন্ন করবে। কেননা জনগণের নিকট দায়বদ্ধ এবং ন্যায় বিচার ও সুশাসন নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই গ্রহণযোগ্য সংস্কার সম্পাদন সম্ভব।

মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক প্রেরিত স্প্রেডশীট এ যে অপশন/পছন্দগুলোর ঘরে টিক চিহ্ন দিতে বলা হয়েছে তাতে একটি বিষয় প্রতিভাত হয়েছে যে, যে বিষয়গুলো প্রস্তুবাকারে আসতে পারতো তা প্রস্তাব না রেখে লিডিং কোয়েশ্চ‌নের আকারে হ্যাঁ, না, উত্তর দিতে বলা হয়েছে। যেমন, প্রস্তাবগুলো গণপরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন চাই কি না? হ্যাঁ অথবা না বলুন। কিন্তু প্রথমে সিদ্ধান্ত আসতে হবে যে, গণপরিষদের প্রস্তাবে আমরা একমত কিনা? একইভাবে 'গণভোট', 'গণপরিষদ এবং আইন সভা' হিসাবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন চাই কিনা ইত্যাদি হ্যাঁ না বলুন। সংবিধানের 'প্রস্তাবনার' মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশে থাকলেও তা স্প্রেডশীটে উল্লেখ করা হয়নি।

তিনি বলেন, স্প্রেডশীটে ৭০টির মত প্রস্তাব উল্লেখ করা হলেও মূল প্রতিবেদনে সুপারিশ সংখ্যা প্রায় ১২৩টির মত। একইভাবে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মূল প্রতিবেদনে ১৫০টির মত সুপারিশ তুলে ধরা হলেও স্প্রেডশীটে মাত্র ২৭টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশই সংবিধান সংস্কারের সাথে সংশ্লিষ্ট। তাই আমরা মনে করছি- স্প্রেডশীটের সাথে মূল সুপারিশমালার উপর আমাদের মতামত সংযুক্ত করে দিলে বিভ্রান্তি এড়ানো যাবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের স্প্রেডশীটের অবস্থা এবং কমিশন সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্য ও বিশেষ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বক্তব্য বিবৃতির মধ্যে মিল পাওয়া যায় যাতে জনমনে প্রশ্নের জন্ম হতে পারে যে, সব বিষয়গুলো যেন একটি পূর্ব নির্ধারিত কর্মপরিকল্পনার অংশ যা গণতন্ত্রের স্বার্থের পক্ষে কি না বলা মুশকিল। সুপারিশমালা সমূহ পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, এতে ভবিষ্যতে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োগের অযৌক্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে যা অনভিপ্রেত।

বিএনপি ৩১ দফা সংস্কার মূল ভিত্তি তৈরি করেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদ উত্তর রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে নানা প্রস্তাব আর মতামত ওঠে এসেছে সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের মাধ্যমে, যার মূল ভিত্তিটা রচনা করেছে বিএনপি ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের অনেক আগে ২০২৩ সালের ১৩ই জুলাই। এই গণতান্ত্রিক শক্তি সমূহের অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাব সমূহ গৃহীত এবং বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী সংস্কার প্রস্তাবগুলোর সাংবিধানিক ও আইনি ভিত্তি প্রদানের জন্য একটি নির্বাচিত সংসদই কেবল উপযুক্ত ফোরাম।

বিদ্যমান ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য এ দেশ এবং দেশের মানুষের মূল চালিকা শক্তি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এই ঐক্যকে অক্ষুণ্ন রেখে এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, এর কোনও বিকল্প নেই। এই ঐক্যের চর্চাকে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত করতে হবে। আমরা এমন কোনও পদক্ষেপ নিতে পারি না যাতে করে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য এবং গণঐক্য বিনষ্ট হয় অথবা ফাটল ধরে। সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখতে হবে। কোনও মহলকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এজেন্ডা যেন সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

এসময় তিনি ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চালানো নজিরবিহীন হামলায় নিহতদের জন্য শোকপ্রকাশ করেন ও ইসরায়েলের আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানান।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ন র ব চ ত সরক র গণত ন ত র ক র প রস ত ব র জন ত ক সরক র র ব যবস থ জনগণ র র জন য ব এনপ ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

শুধুমাত্র বয়সের কারণে মতামত দিতে না পারা যৌক্তিক নয়, বলছে এনসিপি

আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটার হওয়ার বয়স ১৬ বছর এবং নূন্যতম ২৩ বছর বয়সে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এক্ষেত্রে তাদের বক্তব্য হলো, এবারের গণঅভ্যুত্থানকে সারাবিশ্বে জেন-জির অভ্যুত্থান বলা হচ্ছে। ফলে এত বড় স্টেক থাকার পরেও শুধুমাত্র বয়সের কারণে তাদের মতামত দিতে না পারা যৌক্তিক নয়।

রোববার দুপুর দুইটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনে অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে প্রাথমিক সংস্কার প্রস্তাব জমা দেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সেখানে তারা জোর গলায় এ প্রস্তাব করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এনসিপির সংস্কার সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক এবং যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।

শনিবার রাজধানীর বাংলামোটরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব তথ্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার এবং পুলিশ সংস্কার বিষয়ে স্পেডশিটে কেন রাজনৈতিক দলের কাছে মতামত চাওয়া হয়নি সে বিষয়েও তারা জানতে চাইবেন বলে জানান।

গত ৬ মার্চ সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে ৩৭টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি ও ‘স্প্রেডশিট’ পাঠিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন।

সংবাদ সম্মেলনে সারোয়ার তুষার বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন চায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২১ বছর। এনসিপি মনে করে, এটা খুবই কম বয়স। এটা ২৩ বছর হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর হতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা এটি জোর গলায় বলব। কারণ, এবারের গণঅভ্যুত্থানে মূলত সারাবিশ্ব এটাকে জেন-জির অভ্যুত্থান হিসেবে বলা হচ্ছে। এই যে তাদের এত বড় স্টেক গণঅভ্যুত্থানে তৈরি হয়েছে। এর পরবর্তী বাংলাদেশ বা আসন্ন নির্বাচনে তারা মতামত দিতে পারবে না শুধুমাত্র ১৮ বছর নিচে বয়সের কারণে। এটা আমরা যৌক্তিক মনে করছি না। লাতিন আমেরিকা, অস্ট্রিয়াসহ বিভিন্ন দেশে এটির নজির আছে।

বর্তমানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর। সেখান থেকে কমিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স ২১ বছর করার প্রস্তাব করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।

সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশ এবং গণপরিষদ অথবা কিংবা গণপরিষদ হিসেবে নির্বাচিত আইনসভা সংসদ—দুটো পদ্ধতিতে এনসিপি থাকছে জানিয়ে তুষার বলেন, যে সব সংশোধনীর ক্ষেত্রে সংবিধানের কোনো সম্পর্ক নেই, সেগুলো নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশ কিংবা প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে করা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমরা শুরু থেকে বলেছি, গণতান্ত্রিক সংবিধান অথবা সংবিধান পুনর্লেখন চাই। যার জন্য চাই গণপরিষদ নির্বাচন।

সংস্কার প্রস্তাবের ক্ষেত্রে শহীদ পরিবার এবং আহতদের আকাঙ্ক্ষা জানতে চেয়েছেন বলে জানান সারোয়াত তুষার। তিনি বলেন, একজন শহীদের মা বলেছেন- পুলিশ যেন কোনো আন্দোলনে গুলি চালাতে না পারে। সেটি তারা কীভাবে প্রতিফলন ঘটানো যায় সেই চেষ্টা করবেন।

তিনি আরও বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা পুরোপুরি একমত হয়েছি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা আংশিক একমত হয়েছি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা একমত হতে পারিনি। আবার কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি মন্তব্য প্রয়োজন মনে হয়েছে সেটি আমরা মন্তব্যে ফর্মে করেছি। এর বাইরে আরও বিস্তারিত লিখিতভাবে তাদের কাছে দেওয়া হবে।

সারোয়ার তুষার বলেন, একটি বক্তব্য দেখেছি- কমিশনের কাছে ১৬৬টি সুপারিশের মধ্যে ১১১টি সুপারিশ কোনোরকম সংলাপ ছাড়াই বাস্তবায়ন করা যাবে বলে মনে করছে। আমরা জানতে চাইবো, কীসের ভিত্তিতে আলোচনা ছাড়া ১১১টি বাছাই করলেন। কারণ সেখানে অনেক বিষয়ে গ্রেটার আলোচনার সুযোগ আছে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার এবং পুলিশ সংস্কার প্রস্তাব কেন স্পেডশিটে নেই, এটা আমরা জানতে চাইব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শুধুমাত্র বয়সের কারণে মতামত দিতে না পারা যৌক্তিক নয়, বলছে এনসিপি
  • ভোটারের ১৬, প্রার্থীর ২৩ বছর বয়সের প্রস্তাব রাখবে এনসিপি
  • ১৬ বছরে ভোটার, ২৩ বছরে প্রার্থী করার প্রস্তাব রাখবে এনসিপি
  • ভোটারের বয়স ১৬, প্রার্থীর ২৩ বছর করার প্রস্তাব রাখবে এনসিপি
  • মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি থাকছে না শেখ মুজিবসহ চার শতাধিক নেতার
  • গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানালেন নাহিদ ইসলাম
  • নির্বাচন করতেই দল গড়েছি, তবে এই নির্বাচন হতে হবে গণপরিষদ নির্বাচন: নাহিদ ইসলাম
  • দৃশ্যমান বিচার ও মৌলিক সংস্কার শেষে নির্বাচন চায় এনসিপি
  • কেন আমাদের দ্বিতীয় রিপাবলিকের প্রস্তাব