নেত্রকোনা শহরের আরামবাগ এলাকার একটি বাসায় গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিল বৃদ্ধার লাশ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনা মডেল থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের নাম মাজেদা খাতুন (৬৫)। তিনি আরামবাগ এলাকার মৃত আরজান আলীর স্ত্রী।

স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, জেলা তথ্য কার্যালয়ের সাবেক কর্মচারী আরজান আলী প্রায় ছয় বছর আগে মারা যান। তাঁর স্ত্রী মাজেদা খাতুন ওই বাসাটিতে একা থাকতেন। তাঁর তিন মেয়ে বৈবাহিক সূত্রে অন্যত্র থাকেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে মেয়েরা মাজেদা খাতুনকে ফোন করে কোনো সাড়া পাচ্ছিলেন না। এ অবস্থায় ইতি আক্তার নামে ছোট মেয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর স্বামীকে নিয়ে মাজেদা খাতুনের বাসায় যান। এ সময় বাসার প্রধান দরজাটি তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরে অপর একটি দরজা দিয়ে তাঁরা ভেতরে ঢুকে দেখতে পান, গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় মাজেদা খাতুনের মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে জড়ো হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

মাজেদার স্বজনদের ধারণা, কোনো সংঘবদ্ধ চক্র মাজেদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মুঠোফোনসহ আলমারি থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাটির কারণ অনুসন্ধান করছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর রহস্য পরিষ্কার হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনায় বিছানা থেকে গলায় গামছা প্যাঁচানো বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার

নেত্রকোনা শহরের আরামবাগ এলাকার একটি বাসায় গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিল বৃদ্ধার লাশ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনা মডেল থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের নাম মাজেদা খাতুন (৬৫)। তিনি আরামবাগ এলাকার মৃত আরজান আলীর স্ত্রী।

স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, জেলা তথ্য কার্যালয়ের সাবেক কর্মচারী আরজান আলী প্রায় ছয় বছর আগে মারা যান। তাঁর স্ত্রী মাজেদা খাতুন ওই বাসাটিতে একা থাকতেন। তাঁর তিন মেয়ে বৈবাহিক সূত্রে অন্যত্র থাকেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে মেয়েরা মাজেদা খাতুনকে ফোন করে কোনো সাড়া পাচ্ছিলেন না। এ অবস্থায় ইতি আক্তার নামে ছোট মেয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর স্বামীকে নিয়ে মাজেদা খাতুনের বাসায় যান। এ সময় বাসার প্রধান দরজাটি তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরে অপর একটি দরজা দিয়ে তাঁরা ভেতরে ঢুকে দেখতে পান, গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় মাজেদা খাতুনের মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে জড়ো হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

মাজেদার স্বজনদের ধারণা, কোনো সংঘবদ্ধ চক্র মাজেদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মুঠোফোনসহ আলমারি থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাটির কারণ অনুসন্ধান করছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর রহস্য পরিষ্কার হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুমিল্লা মেডিকেলে রোগীর মৃত্যু সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলায় আহত ৪ সাংবাদিক, পরিচালকের অপসারণ দাবি