ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে প্রগ্রেসিভ লাইফ
Published: 22nd, March 2025 GMT
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১৬ থেকে ২০ মার্চ) লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্য বিমা খাতে তালিকাভুক্ত প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি থাকায় কোম্পানিটির শেয়ার ডিএসইর সাপ্তাহিক দাম বাড়ার তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।
শনিবার (২২ মার্চ) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩০.
ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- শাইন পুকুর সিরামিকসের ২৬ শতাংশ, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২৩.০৮ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২০ শতাংশ, এবিবি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৮.৭৫ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের ১৮.৪৮ শতাংশ, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের ১৮.৪২ শতাংশ, ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৭.৮৬ শতাংশ, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিংয়ের ১৪.৭৫ শতাংশ ও একমি পেস্টিসাইডের ১৪.২৯ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
ঢাকা/এনটি/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৫০ কোটি টাকা
দেশের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১৬ থেকে ২০ মার্চ) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসই ও সিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৫০ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
শনিবার (২২ মার্চ) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩.৯১ পয়েন্ট বা ০.৪৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২০১ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৩.৬৮ পয়েন্ট বা ০.৭২ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৮৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭.২৬ পয়েন্ট বা ০.৬২ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৫৮ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ১৬.৩৮ পয়েন্ট বা ১.৬৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮৮.৬৭ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার ৫১৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৫২ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩৮৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৫৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪২৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৯টির, দর কমেছে ২০৭টির ও দর অপরিবর্তিত ৩৮ রয়েছে টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৮টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৬.৮২ পয়েন্ট বা ০.১১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৫৯ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.০৬ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৯৩০ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.০০৪ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮৫০ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৫০ শতাংশ কমে ৯৪১ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ১.১২ শতাংশ কমে ২ হাজার ৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬৬৩ কোটি ২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৬০ কোটি ৮২ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ৯৯৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৪টির, দর কমেছে ১২৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা