যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠেয় ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ১৩টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। তবে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্ব শুক্রবার রাতে  শুরু হয়েছে। 

প্রথম ম্যাচে টমাস টুখেলের অধীনে ইংল্যান্ড জয় পেয়েছে। গ্রুপ ‘কে’তে থাকা দলটি ২-০ গোলে আলবেনিয়াকে হারিয়েছে। ইংল্যান্ডের হয়ে ম্যাচের ২০ মিনিটে লেইস সেল্কি প্রথম গোল করেন। ৭৭ মিনিটে গোল করেন হ্যারি কেইন। 

ইংল্যান্ডের গ্রুপে থাকা লাটভিয়া জিতেছে অ্যান্ডোরার বিপক্ষে। এছাড়া জয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুরু করেছে রবার্ট লেভানডভস্কির পোল্যান্ড। গ্রুপ ‘জি’তে থাকা দলটি মাল্টাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে। গোল করেছেন লেভা। ওই গ্রুপ থেকে ফিনল্যান্ড জিতেছে লিথুনিয়ার বিপক্ষে।  

এছাড়া ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে গ্রুপ ‘এইচ’ থেকে বসনিয়া ও সাইপ্রাস জয় তুলে নিয়েছে। তিনটি করে পয়েন্ট পেয়েছে তারা। আগামী বিশ্বকাপে ইউরোপ থেকে ২৬ দল টিকিট পাবে। বাছাইপর্বে খেলছে ইউরোপের ৫৪ দেশ।     

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ বক প ব ছ ই ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

শতবর্ষী ঐতিহ্যে চুনারুঘাটের বৈশাখী মেলা, কৃষিপণ্যের বাহারে মুখর পীরের বাজার

শত বছরের ঐতিহ্য নিয়ে চুনারুঘাট উপজেলার পীরের বাজারে শুরু হয়েছে বৃহৎ বৈশাখী মেলা, স্থানীয়ভাবে যা 'বান্নি' নামে পরিচিত। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এই মেলাটি চুনারুঘাটসহ সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলা হিসেবে পরিচিত।

মঙ্গলবার সকাল থেকে মেলা শুরু হয় এবং মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকছে কৃষিপণ্যের বিশাল সমাহার। মেলায় পাওয়া যাচ্ছে লাঙল, জোয়াল, দা, কাঁচি, মই, মাছ ধরার সরঞ্জামসহ অসংখ্য কৃষি উপকরণ। মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, খেলনা, হস্তশিল্প ও মনিহারি পণ্যেরও ছিলো চোখধাঁধানো উপস্থিতি।

স্থানীয় দোকানিরা জানান, প্রতিবছর বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা পণ্য নিয়ে এই মেলায় অংশগ্রহণ করেন। শুধু হবিগঞ্জ নয়, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী এমনকি উত্তরবঙ্গ থেকেও বিক্রেতারা অংশ নিয়েছেন এ ঐতিহ্যবাহী আয়োজনে।

চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র নাজিম উদ্দিন সামছু বলেন, এই মেলা মূলত কৃষকদের জন্য। এখান থেকে প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য সংগ্রহ করতেন তারা।

তবে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারের ফলে কৃষিকাজে ব্যবহৃত অনেক সরঞ্জামের প্রয়োজন কমে যাওয়ায় মেলার জৌলুস কিছুটা কমেছে বলে মনে করেন অনেকে। সেইসঙ্গে আশপাশে ঘরবাড়ি গড়ে ওঠায় মেলার পরিসরও সীমিত হয়েছে।

স্থানীয় ইউএনও মোহাম্মদ রবিন মিয়া জানান, মেলায় অংশ নিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসছেন। মেলা চলাকালীন নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ বাহিনী, নিশ্চিত করেন চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, শত বছর আগে এই মেলা শুরু হয়েছিল ছোট পরিসরে পূজা আয়োজনের মাধ্যমে। পরে তা বৃহৎ মেলায় রূপ নেয়।

এখনও অনেকেই শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করতে এই মেলায় আসেন, স্মৃতিচারণ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মেলায় পরিবেশিত হচ্ছে গ্রামবাংলার আবহমান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।

চুনারুঘাটের এই বৈশাখী মেলা শুধু একটি উৎসব নয়, বরং এটি এ অঞ্চলের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও কৃষিভিত্তিক জীবনের প্রতিচ্ছবি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ