পাঁচ লাখের বেশি লাতিন আমেরিকান অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। 

মার্কিন প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে, তারা কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলা থেকে আসা পাঁচ লাখ ৩০ হাজারের বেশি অভিবাসীর অস্থায়ী বৈধ মর্যাদা বাতিল করবে।

শনিবার (২২ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অভিবাসীকে ২৪ এপ্রিলের আগে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা দেশ না ছাড়লে তাদের পারমিট ও বহিষ্কার সুরক্ষা বাতিল করা হবে।

বাইডেন প্রশাসন লাতিন আমেরিকার ওই চার দেশের অধিকাংশ নাগরিককে তথাকথিত সিএইচএনভি প্যারোল কর্মসূচির আওতায় প্রবেশের অনুমতি দিয়ে অস্থায়ী বৈধতা দিয়েছিলো। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর ওই কর্মসূচি স্থগিত করেন। 

২০২২ সালে প্রথমে ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের ওই সুবিধা দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেছিলেন জো বাইডেন। পরবর্তীতে অন্য তিন দেশের নাগরিকরা অস্থায়ী বৈধতা পেয়েছিলেন।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঘুম থেকে উঠতে ডাকাডাকি করায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা ছেলের

সকাল নয়টা পার হয়ে গেলেও ছেলে মানিক হোসেন (২৮) ঘুম থেকে উঠতে গড়িমসি করছিলেন। তাই বাবা আবদুল মালেক (৬০) ছেলেকে ঘুম থেকে উঠে কাজে যাওয়ার তাড়া দেন। এতেই ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে রাখা কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে বাবাকে হত্যা করে ফেলেন। আজ শনিবার সকাল নয়টার দিকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পাইকরহাটি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে ছেলে পলাতক।

পুলিশ, প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবদুল মালেক এলাকার একজন অবস্থাপন্ন কৃষক ও বাঁশের ব্যবসায়ী। তাঁর দুই ছেলে, দুই মেয়ের মধ্যে মানিক হোসেন সবার বড়। বছরখানেক আগে তাঁর বিয়ে হয়। তিনি বাবাকে বাঁশের ব্যবসা ও কৃষিকাজে সহায়তা করতেন।

শুক্রবার ঘুমানোর আগেই বাবা ছেলে মানিককে সকালে উঠে তাঁর সঙ্গে কাজে যাওয়ার জন্য বলে রেখেছিলেন। সেই হিসেবে আজ সকাল ৯টার দিকে আবদুল মালেক ছেলেকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে কাজে যাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করতে থাকেন। এ নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মানিক ঘরে থাকা কুড়াল দিয়ে বাবাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। ফলে ঘটনাস্থলেই মারা যান আবদুল মালেক। ঘটনার পর এলাকাবাসী মানিককে আটক করলেও এক পর্যায়ে পালিয়ে যান তিনি।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে আমিও ঘটনাস্থলে যাই। ছেলেকে ঘুম থেকে ওঠার জন্য ডাকার পর বাবা-ছেলের কথা-কাটাকাটি হয় এবং এরই জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি। ছেলে পলাতক থাকলেও তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ