Prothomalo:
2025-03-22@09:21:07 GMT

ইসলামের মর্মবাণীর বিশ্লেষণ

Published: 22nd, March 2025 GMT

উপমহাদেশের প্রখ্যাত আইনজ্ঞ, সমাজসংস্কারক ও ইসলামি চিন্তাবিদ স্যার সৈয়দ আমীর আলী মাত্র ২৪ বছর বয়সে আ ক্রিটিক্যাল এক্সামিনেশন অব দ্য লাইফ অ্যান্ড টিচিংস অব মুহাম্মদ নামে ছোট্ট একটি বই রচনা করেন। বইটি ১৮৭৩ সালে প্রকাশিত হয়। পরে তিনি এর এতটাই পরিমার্জনা ও পরিবর্ধন করেন যে তা অনিবার্যভাবে নতুন বই হয়ে ওঠে। সেটির নাম হয় দ্য স্পিরিট অব ইসলাম। ১৮৯১ সালে বইটি বিলেত থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়ে ব্যাপক সাড়া জাগায়। এরপর ১৯২২ সালে সংশোধিত সংস্করণ প্রকাশ করা হয়। বইটির উপশিরোনাম দেওয়া হয়: ‘মহানবীর জীবনীসহ ইসলামের বিবর্তন ও আদর্শসমূহের ইতিহাস।’ তারপর থেকে বহুবার বইটির পুনর্মুদ্রণ হয়েছে।

প্রথম প্রকাশের পরই পাশ্চাত্য জগতে তথা ইহুদি ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের কাছে বইটি কতখানি আলোড়ন তুলেছিল তার একটি প্রতিফলন ঘটে জ্যুইশ কোয়ার্টারলি রিভিউতে। ১৮৯৩ সালে ১৯ পৃষ্ঠব্যাপী সেখানে একটি দীর্ঘ আলোচনা প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘আমরা মুহাম্মদ ও ইসলাম সম্পর্কে চমৎকার অনেক কাজ দেখতে পাই। কিন্তু এগুলো সবই ইউরোপীয় পণ্ডিতদের রচনা। সে কারণেই একই ধরনের আরেকটি বই যখন একজন মুসলমানের কলম থেকে বেড়িয়ে আসে তখন তা বিশেষভাবে নজরে না এনে উপায় নেই। এই লেখক একাধারে আধুনিক ইউরোপীয় সংস্কৃতির সকল দিক সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত এবং অনুসন্ধানী প্রশ্নগুলো কীভাবে গুরুত্বসহকারে দেখতে হয়, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সর্বোপরি নিজ দেশে তিনি একজন উচ্চ পর্যায়ের আইন কর্মকর্তা।’ এতে আরও বলা হয়েছে যে, একজন বিশ্বাসীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তিনি মুহাম্মদ (সা.

)-এর জীবন ও শিক্ষাকে সবিস্তারে তুলে ধরেছেন।

আরও পড়ুনহজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মক্কা–জীবন২৫ নভেম্বর ২০২৩

বইটি শুরু হয়েছে প্রাক-ইসলাম যুগে ধর্মীয় বিকাশের নিরবচ্ছিন্নতার বিবরণ ও বিশ্লেষণ এবং মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাব ও ধর্মীয় বিকাশের আবশ্যকতা তুলে ধরার মাধ্যমে। এরপর প্রথম পর্বে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ও কর্মসহ তাঁর ইন্তেকালের পর খিলাফত ও ইমামত নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে ইসলামের আদর্শ ও ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্মবাণী; ইসলামে পরকালের ধারণা; ইসলামে অসত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম; ইসলামে নারীর মর্যাদা ও দাসপ্রথা; ইসলামের রাজনৈতিক দল ও উপদলসমূহ; ইসলামের সাহিত্যিক ও বৈজ্ঞানিক মর্মবাণী; ইসলামের দার্শনিক মর্মবাণী; ইসলামের ভাববাদী ও মরমিবাদী ধারণা আলোচনা করা হয়েছে।

১৯২২ সালের সংশোধিত সংস্করণের মুখবন্ধে লেখক বলেছেন: “একটি বৈশ্বিক ধর্ম হিসেবে আমি ইসলামের বিবর্তনের একটি ইতিহাস এখানে তুলে ধরতে চেয়েছি, বিবৃত করতে চেয়েছি অল্প সময়ের পরিসরে এর দ্রুত বিস্তার লাভ ও লাখ লাখ মানুষের মননে ও চৈতন্যের ওপর এর উল্লেখযোগ্য প্রভাবকে। মানবজাতির বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে ইসলাম যে স্পন্দন জাগিয়েছে, তা সাধারণভাবে স্বীকৃত হলেও মানবতার উৎকর্ষ সাধনে এর মহৎ অবদান হয় উপেক্ষিত, না হয় অসামদৃত। একইভাবে এর যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা, আদর্শ এবং আকাঙ্ক্ষাকে সম্যকভাবে উপলব্ধি করা যায়নি। আমি তাই চেষ্টা করেছি ধর্মের ইতিহাসে ইসলামের সত্যিকারের অবস্থান নির্ণয়ের চেষ্টা করতে।”

বাংলায় বইটির একাধিক অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে।

 দ্য স্পিরিট অব ইসলাম; স্যার সৈয়দ আমীর আলী; ক্রিস্টোফারস, লন্ডন, ১৯২২ 

আরও পড়ুনহজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মদিনা–জীবন০২ ডিসেম্বর ২০২৩

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ ইসল ম র

এছাড়াও পড়ুন:

আমি আর সিনেমা করতে চাই না: বর্ষা

২০১০ সালে ‘খোঁজ: দ্য সার্চ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আফিয়া নুসরাত বর্ষার। এতে অনন্ত জলিলের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ভালোবেসে ঘর বাঁধেন এই তারকা জুটি। এরপর জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকটি ছবিতে। এবার সিনেমা ছাড়ার ঘোষণা দিলেন চিত্রনায়িকা বর্ষা।

স্বামী অনন্ত জলিলের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান বর্ষা। তিনি বলেন, ‘হাতে কয়েকটি সিনেমা আছে, এগুলো শেষ করতে করতেই বেশ সময় চলে যাবে। এরপর আমি আর নতুন কোনো সিনেমা করব না।’

বর্ষার কথায়, ‘আমি খুব বাস্তববাদী মানুষ। ফলে আমি বাস্তবতা মাথায় রেখে চিন্তা করি। আমার মনে হয় নায়িকাদের একটা বয়স পর্যন্ত স্ক্রিনে ভালো লাগে। ততদিনই কাজ করা উচিত। আমার ক্ষেত্রেও তাই।’

এসময় বর্ষার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে অনন্ত জলিল বলেন, ‘এখন যারা আমাদের দেশে নায়িকা হিসেবে কাজ করছেন তাদের অনেকের চেয়ে বর্ষার বয়স কম। তাও সে এ কথা বলছে।’

অনন্ত জলিল ও বর্ষার সংসারে আরিজ ইবনে জলিল ও আবরার ইবনে জলিল নামে দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। তাদের কথাও বলেন এই নায়িকা।

বর্ষার ভাষ্য, ‘আমার বড় ছেলের বয়স ১০, ছোট ছেলের ৭। কয়েক বছর পরই বড় ছেলের ১৪-১৫ বছর হয়ে যাবে। তখন সে যদি দেখে মা সিনেমার নায়িকা, তখন কি ভাববে? এসব চিন্তা করেই সিনেমা ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

শুধু নিজের ব্যাপারে না, অনন্ত জলিলও অভিনয় চালিয়ে যাবেন কি না সে বিষয়েও কথা বলেন বর্ষা। তিনি বলেন, ‘অনন্ত চাইলে কাজ করে যেতে পারে। কারণ আমি জানি তাকে নারীদের ভিড়ে ছেড়ে দিয়ে আসলেও সে ঠিকই তার কাজটা শেষ করে ঘরেই ফিরবে। অন্য নারীদের দিকে তাকাবেও না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাকিলের সাথে সি টু সামিটে পথের সঙ্গী  
  • কষ্টের জয়ে শীর্ষেই রইল আবাহনী
  • হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট যে ৪ কৌশলে বেশি হ্যাক করা হয়
  • শেষ মুহূর্তে ভিনিসিয়ুস জাদুতে ব্রাজিলের দারুণ জয়
  • সার্বিয়া যেতে না পেরে ১১ দিন ধরে বিমানবন্দরে
  • মহানবীর (সা.) ইতিকাফ
  • আমি আর সিনেমা করতে চাই না: বর্ষা
  • ঠাকুরগাঁওয়ে অপহরণ–হত্যা: অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুরের পর আগুন, মালামাল লুট
  • নতুন দিগন্তে জোয়ি