লিওনেল মেসি ছিলেন না, লাওতারো মার্তিনেজও ছিলেন না। এমনকি পাওলো দিবালাও নয়। উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগ হয়ে উঠেছিল অনেকটাই ধারহীন। কিন্তু মন্টেভিডিওতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ১৩তম ম্যাচে মেসি–মার্তিনেজের অভাব কি আর্জেন্টিনা খুব বেশি টের পেয়েছে?

বেলা শেষে ফলই যখন বড় হয়ে দাঁড়ায়, তখন উরুগুয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার নতুন চেহারার আক্রমণভাগকে দশে দশ তো দিতেই হবে। হুলিয়ান আলভারেজ, থিয়াগো আলমাদা আর গিলিয়ানো সিমিওনেদের নিয়ে গড়া আক্রমণভাগ আর্জেন্টিনাকে এনে দিয়েছে ১–০ গোলের জয়। গোল করেছেন আরমাদা, অ্যাসিস্ট করেছেন আলভারেজ। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি তাই আনন্দের সঙ্গেই বললেন, ‘আমি কি সন্তুষ্ট না হয়ে পারি!’

স্কালোনি কেন সন্তুষ্ট হবেন না, যখন তাঁর দল বলের দখলে পিছিয়ে থাকলেও (৫৫%–এর বিপরীতে ৪৫%) ম্যাচে উরুগুয়ের চেয়ে শট নিয়েছে দ্বিগুণ (৬টির বিপরীতে ১২টি)। সবচেয়ে বড় কথা, ৬৮ মিনিটে আলভারেজের বাড়ানো বল ধরে আলমাদার মতো তরুণ যেভাবে তাক লাগানো এক গোল করেছেন।

দলের পারফরম্যান্স নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে আর্জেন্টাইন কোচ ম্যাচ শেষে বলেন, ‘আমি কি সন্তুষ্ট না হয়ে পারি! শুধু জয়ের জন্য নয়; বরং ছেলেরা যেভাবে খেলেছে, তার জন্য। আমরা পরিপূর্ণ একটা ম্যাচ খেলতে পেরেছি। চাপ সয়ে নিতে পেরেছি। যখন আক্রমণাত্মক খেলার দরকার ছিল, খেলেছি। যখন রক্ষণাত্মক দরকার ছিল, সেটাও খেলেছি।’

মেসি–মার্তিনেজের মতো বড় নামের ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের না থাকায় ম্যাচের আগে কিছুটা হলেও ভাবনা ছিল স্কালোনির। তবে এটি তরুণদের নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর ভালো সুযোগ বলেও মন্তব্য করেছিলেন তখন। উরুগুয়ের মাঠে আলমাদারা সেটি সত্যিই করে দেখানোর পর স্কালোনি মনে করিয়ে দিলেন, সবচেয়ে বড় নাম তো আর্জেন্টিনাই, ‘আমাদের জাতীয় দল এমন একটি দল, কেউ একজন না থাকলে আরেকজন সেখানে ভূমিকা রাখে। এমনকি আজ যখন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন খেলোয়াড় ছিল না, তারপরও আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নেমেছি। হতে পারে পারফরম্যান্স (গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের তুলনা) ভিন্ন। কিন্তু দলটা মাঠে নামে অন্য সব নামকে এক পাশে সরিয়ে রেখেই।’

গত অক্টোবরে বলিভিয়ার বিপক্ষে ৬–০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে গোল করেছিলেন আলমাদা। অলিম্পিক লিওঁতে খেলা এই ফরোয়ার্ড এবার তারকা ফরোয়ার্ডদের অনুপস্থিতিতে গোল করে দলকে জেতানোর পর বললেন, ‘আমি বলটা নিলাম, মারলাম, সৌভাগ্যক্রমে জালে চলে গেল।’
ম্যাচে তিনটি শট নিয়ে দুটিই লক্ষ্যে রাখতে পারা এই ফরোয়ার্ড কিছু একটা করে দেখাতে যে তেতে ছিলেন, জানালেন সেটাও, ‘আমি কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। চেয়েছি, কী কারণে আমি স্কোয়াডে আছি, সেটা যেন দেখাতে পারি।’
আলমাদার দলের পরের ম্যাচ বাংলাদেশ সময় বুধবার ব্রাজিলের বিপক্ষে। সে ম্যাচে ড্র করলেই ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলবে আর্জেন্টিনা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন গ ল কর আলম দ

এছাড়াও পড়ুন:

মেসি-মার্টিনেজকে ছাড়া কেমন একাদশ সাজাবেন স্কালোনি? 

গত নভেম্বরে পেরুর বিপক্ষে জিতলেও প্যারাগুয়ের মাঠে হতাশা সঙ্গী হয়েছিল আর্জেন্টিনার। এবার উরুগুয়ের মাঠে জয়ের চ্যালেঞ্জ দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা আর্জেন্টিনার।

শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৫.৩০ মিনিটে উরুগুয়ে-আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হবে। ওই ম্যাচে আর্জেন্টিনা খেলবে তারকা স্ট্রাইকার লিওনেল মেসি ও লওতারো মার্টিনেজকে ছাড়া। দু’জনই দলে ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু ইনজুরির কারণে খেলতে পারবেন না তারা।

মেসি-মার্টিনেজ না থাকায় আর্জেন্টিনার আক্রমণ সামলানোর ভার পড়তে পারে হুলিয়ান আলভারেজের সঙ্গে অ্যাঞ্জেল কোরেইরা ও নিকোলাস গঞ্জালেসের কাঁধে। তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে মিডফিল্ড দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে আলবিসেলেস্তেদের। ওই ভূমিকায় বড় অবদান রাখতে হবে ম্যাক অ্যালিস্টার ও রদ্রিগো ডি পলের।

জোড়া ইনজুরিতে আক্রমণভাগ নিয়ে আর্জেন্টিনা শিবিরে কিছুটা অস্বস্তি থাকলেও মিডফিল্ড ও রক্ষণে বেশ গোছালো লিওনেল স্কালোনির দল। ম্যাক অ্যালিস্টার, ডি পল ও এনজো ফার্নান্দেজ মিডফিল্ড সামলানোর দায়িত্ব ভালো মতোই করছেন। রক্ষণে অভিজ্ঞ ওতামেন্ডির সঙ্গে থাকা ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, নাহুয়েল মলিনা ও নিকোলাস ত্যাগলিয়াফিকো ছন্দে আছেন।

উরুগুয়ে দলও শক্তিশালী। রক্ষণে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে খেলা সান্তিয়াগো গিমিনেজ, বার্সায় খেলা রোনাল্ড আরাহো আছেন তাদের। মিডফিল্ডে রিয়াল মাদ্রিদে ফেদে ভালভার্দে ও টটেনহ্যামে খেলা রদ্রিগো বেনটাকুর আছেন। আক্রমণভাগে আছেন স্পোর্টিং সিপিতে খেলা ম্যাক্সিমিলিয়ানো আরাহো ও লিভারপুলে খেলা ডারউইন নুনিয়েজ।

আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য শুরুর একাদশ: এমি মার্টিনেজ, নাহুয়েল মলিনা, ওতামেন্ডি, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ত্যাগফিয়াফিকো, ডি পল, ম্যাক অ্যালিস্টার, এনজো ফার্নান্দেজ, নিকোলাস গঞ্জালেস, অ্যাঞ্জেল কোরেইরা, হুলিয়ান আলভারেজ।

উরুগুয়ের সম্ভাব্য শুরুর একাদশ: রোচেট, রোনাল্ড আরাহো, সান্তিয়াগো গিমিনেজ, মার্সেলো সারাসি, রদ্রিগো বেনটাকুর, ফাকুন্দে পেলিস্তি, রদ্রিগো আগুইরে, ম্যাক্সিমিলিয়ানো আরাহো ও ডারউইন নুনিয়েজ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কটাক্ষের শিকার শ্রাবন্তী
  • ইতিকাফ অবস্থায় কী করা যায়, করা যায় না
  • ভোরে মাঠে নামছে মেসিহীন আর্জেন্টিনা
  • মেসি-মার্টিনেজকে ছাড়া কেমন একাদশ সাজাবেন স্কালোনি? 
  • রাফিনিয়া: ‘ওই কীরে, ওই কীরে, মধু, মধু’
  • অবশেষে ভিনির ‘হলুদ রাইফেল’ থেকে ছুটল ‘গুলি’
  • শবে কদর কোন রাতে
  • রোহিতদের জন্য বিশাল অঙ্কের বোনাস ঘোষণা
  • হায়ার এসি: গ্লোবাল নম্বর ওয়ান মেজর অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড