কুষ্টিয়ায় ট্রাক উল্টে গরু ব্যবসায়ী ও মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
Published: 22nd, March 2025 GMT
কুষ্টিয়ার মিরপুরে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত ভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে গরু বোঝাই ট্রাক উল্টে আরমান আলী (৫৫) নামের একজন গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় সজীব আহম্মেদ (২৫) নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহীও প্রাণ হারিয়েছেন । এ ছাড়া আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুইজন।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত ৯ টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরমান আলী এবং রাত সাড়ে ১২ টায় একই হাসপাতালে সজীব আহম্মেদের মৃত্যু হয়।
নিহত আরমান আলী নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পুটিয়া গ্রামের মৃত আজিজুল ইসলামের ছেলে। সজীব আহম্মেদ কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের কচুবাড়ীয়া কামারপাড়া এলাকার গোলাম হোসেনের ছেলে। তিনি দিশা এনজিও কর্মী হিসাবে পাবনার মুলাডুলি এলাকায় কর্মরত ছিলেন।
মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়াগামী গরু বোঝাই ট্রাকের সাথে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যানের সংঘর্ষ হয়। এসময় ট্রাকটি সড়কের উপরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে ট্রাকে থাকা গরু ব্যবসায়ী ও ট্রাকচালকসহ ৪ জন আহত হন। ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে ৩ জনের অবস্থার অবনতি হলে তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
আহতদের মধ্যে রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গরু ব্যবসায়ী আরমান আলীর মৃত্যু হয়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত মোটরসাইকেল চালক সজীব আহম্মেদ মারা যান। এছাড়া কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত আরও একজনের অবস্থাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ঢাকা/কাঞ্চন/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস য় অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার সন্ধান চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে ২৮ বস্তা টাকার পাশাপাশি প্রায় এক বস্তা চিঠি-চিরকুট পাওয়া গেছে। চিঠিতে কেউ প্রিয় মানুষের ভালোবাসা পেতে, কেউবা নিজের বিয়ের জন্য দোয়া চেয়েছেন। কেউ নিজের সন্তানের রোগমুক্তি কামনা করেছেন। কেউ আবার পছন্দের দল বা ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চেয়ে পাগলা বাবার কাছে চিঠি লিখেছেন।
৪ মাস ১২ দিন পর আজ পাগলা মসজিদের ১১টি সিন্দুক খোলা হয়। সিন্দুকে মোট ২৮ বস্তা টাকা, এক বস্তা চিরকুট, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে। দিনভর গণনার পর এবার রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার।
দানের পাশাপাশি মনোবাসনা পূরণে কেউ কেউ সিন্দুকে চিরকুট বা চিঠি ফেলে যান। মানুষের ধারণা, এখানে চিরকুটের মাধ্যমে কিছু চাইলে, সেটাও পাওয়া যাবে। গতবার চিঠির বিষয়টি গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এবার বেনামি চিঠির পরিমাণ বেশি ছিল। কিছু চিঠিতে নাম থাকলেও ঠিকানা দেওয়া ছিল কম।
মো. ইমরান নামের এক তরুণ ভালোবাসার মানুষ রাবেয়াকে কাছে পেতে দানবাক্সে একটি চিরকুট রেখে গেছেন। চিঠিতে ইমরান লিখেছেন, ‘ইয়া পাগলা বাবা, আমাদের সালাম গ্রহণ করবেন। আমাদের আরজি কবুল করুন। আমাদের মনের বাসনা আপনি বোঝেন। ইমরান ভালোবাসে রাবেয়া আক্তারকে। রাবেয়ার পরিবার ইমরানকে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি না। আপনি রাবেয়াকে এনে দেন।’
বেনামি একজন বিয়ের আকুতি জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমি খুব অসহায়। আমার বিয়ে বারবার ভেঙে যাচ্ছে। আমার পরিবার আমাকে নিয়ে চিন্তিত। চারপাশের মানুষের কটুকথা আমি আর সহ্য করতে পারছি না। তুমি জানো আমি নির্দোষ ও নিরপরাধ। আমার বিয়েতে যদি কোনো বাধাবিপত্তি থাকলে তুমি সমাধান করে দাও...তুমি আমাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিও না।’
আরও পড়ুনপাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে পাওয়া গেল রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা১ ঘণ্টা আগেবেনামি আরেকটি চিরকুটে একজন পাগলা বাবার কাছে শেখ হাসিনার সন্ধান চেয়ে জানতে চেয়েছেন, ‘পাগলা চাচা, শেখ হাসিনা কোথায়?’ আরেকজন ‘সাধারণ জনগণ’ নামে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্ষমতায় দেখতে চেয়ে লিখেছেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই। আল্লাহ তুমি সহজ করে দাও।’
রেহানা সারোয়ার নামের একজন সন্তান কামনা করে চিঠি লিখেছেন। তিনি নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘আমার বিয়ে হয়েছে ১২ বছর চলতাছে। কিন্তু এখনো আমি কোনো সন্তানের মা হতে পারলাম না। অনেক ডাক্তার দেখাইছি, কিন্তু কোনো লাভ হয় নাই। আমি এমন কোনো দিন নাই, এমন কোনো রাত নাই, আমার আল্লাহর কাছে হাত তুলে কাঁদি নাই...আমাকে একটা নেক সন্তানের মা হওয়ার সুযোগ দেন।’
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে পাওয়া টাকা গণনার কাজ করছেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ অন্যরা