২০২৪ সালে রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু: জাতিসংঘ
Published: 22nd, March 2025 GMT
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য ২০২৪ সালটি ছিল ভয়াবহ। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) শুক্রবার এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।
বিবৃতিতে আইওএমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে স্বপ্নের গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিপদসঙ্কুল পথ বেছে নেওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে পথেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮ হাজার ৯৩৮ জন। এর আগে কখনও কোনো এক বছরে এত সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু ঘটেনি।
এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি বড় অংশ ভূমধ্যসাগরের এশিয়া ও আফ্রিকান উপকূল থেকে ইউরোপের পথে পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য রুটেও মৃত্যুর হার ছিল বিগত বছরগুলোর তুলনায় বেশি।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর আর একটি বড় কারণ সহিংসতা। আইওএমের হিসাব বলছে, ২০২৪ সালে যত অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্তত ১০ শতাংশের নিহত হওয়ার কারণ গুলি, ছুরিকাঘাত এবং প্রহার। অনেকক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় বাহিনী সরাসরি এসব সহিংসতা চালিয়েছে।
আইওএমের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, ইরান, মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং মেক্সিকোতে এ ধরনের সহিংসতার জেরে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য কারা দায়ী— সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
বিবৃতিতে আইওএমের মহাপরিচালক উগোশি ড্যানিয়েলস বলেছেন, “বিশ্বজুড়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ক্রমবর্ধমান মৃত্যু আমাদের এই বার্তা দিচ্ছে যে এ সংকট মোকাবিলা করার জন্য আমাদের একটি আন্তর্জাতিক ও সামগ্রিক নীতি প্রয়োজন। আমরা এ ধরনের দুঃখজনক প্রাণহানি আর দেখতে চাই না।”
সূত্র : রয়টার্স
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ২০২৪ স ল
এছাড়াও পড়ুন:
ছবিতে থাকা জলছাপ মুছে ফেলতে পারে জেমিনি এআই, মেধাস্বত্ব নিয়ে উদ্বেগ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সহজেই বিভিন্ন বিষয়ের ছবি কৃত্রিমভাবে তৈরি করা যায়। কিন্তু এর মাধ্যমে ভুয়া ছবি তৈরি করছেন অনেকেই। তাই বিষয়টি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে প্রযুক্তি-দুনিয়ায়। এ সমস্যা সমাধানে কেউ অনলাইনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ছবি পোস্ট করলেই সেগুলোতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জলছাপ যুক্ত করে দেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। শুধু তা–ই নয়, নিজেদের তৈরি ছবির মেধাস্বত্ব নিশ্চিত করতেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ছবিতে জলছাপ যুক্ত করে থাকে। কিন্তু গুগলের জেমিনি এআই চ্যাটবট কাজে লাগিয়ে সহজেই ছবিতে থাকা জলছাপ মুছে ফেলা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। এর ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তৈরি ছবিগুলো চিনতে সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি অন্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি ছবি ব্যবহারের কারণে মেধাস্বত্ব আইন ভঙ্গের আশঙ্কা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনগুগল ফটোজে সম্পাদনা করা ছবি চেনাতে নতুন যে সুবিধা চালু হচ্ছে০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সম্প্রতি খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্স (সাবেক টুইটার) এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটের একাধিক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, জেমিনি ২.০ ফ্ল্যাশ সহজেই গেটি ইমেজেসসহ বিভিন্ন স্টক ফটো ওয়েবসাইটের ছবিতে থাকা জলছাপ মুছে ফেলতে পারে। শুধু ছবির জলছাপ মুছে ফেলা নয়, জেমিনি ২.০ ফ্ল্যাশের লেখা থেকে ছবি তৈরির (টেক্সট-টু-ইমেজ) প্রযুক্তির ওপর গুগলের যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে এটি সরাসরি তারকাদের ছবি বা মেধাস্বত্ব করা বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে পারে।
প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেমিনি ২.০ ফ্ল্যাশের পরীক্ষামূলক ছবি তৈরির সুবিধাটি অন্যান্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির তুলনায় নিখুঁতভাবে জলছাপ মুছে ফেলতে পারে। তবে গুগল জানিয়েছে, জেমিনি ২.০ ফ্ল্যাশের ছবি তৈরির সুবিধাটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি। বর্তমানে এ প্রযুক্তি শুধু সীমিত কিছু ডেভেলপার ব্যবহার করতে পারছেন।
আরও পড়ুনএআইয়ে তৈরি ছবি শনাক্ত করবেন কীভাবে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি ছবি ও লেখা শনাক্তের জন্য গুগল ইতিমধ্যে কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালে গুগল ডিপমাইন্ড কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি লেখা শনাক্ত করতে সিনথআইডি টেক্সট নামের জলছাপ দেওয়ার টুল চালু করে। গত মাসে গুগল ঘোষণা দেয়, তাদের গুগল ফটোজ অ্যাপে সিনথআইডি প্রযুক্তি যুক্ত করা হবে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সম্পাদিত ছবি শনাক্ত করতে পারবে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরও পড়ুনকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ছবি বিভ্রান্তি তৈরি করছে যেভাবে০১ অক্টোবর ২০২৪