ঈদেও যাত্রী খরার শঙ্কা লঞ্চ মালিকদের
Published: 22nd, March 2025 GMT
ঈদুল ফিতরে নৌপথে যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে প্রস্তুতি। রাজধানীর সদরঘাট থেকে বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস শুরু হচ্ছে ২৫ মার্চ। ফিরতি যাত্রীদের জন্য এই সার্ভিস থাকবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে গত কয়েক বছরের মতো এবার ঈদেও যাত্রী খরার শঙ্কায় লঞ্চ মালিকরা। পদ্মা সেতু চালু ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে নৌপথের প্রতি যাত্রীদের আগ্রহ কমছে বলে মনে করছেন তারা।
এদিকে, ঈদ সামনে রেখে লক্কড়ঝক্কড় ও পুরোনো লঞ্চগুলো কিছুটা সংস্কার ও রং করে যাত্রী আনা-নেওয়ায় প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিশেষ সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। কয়েকজন কর্মকর্তা বলছেন, পুরোনো ও লক্কড়ঝক্কড় লঞ্চগুলো দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। নৌপথে যাত্রা নিরাপদ করতে সরকার ঈদুল ফিতরে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে। ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চ চলাচল করলে রুট পারমিট ও নিবন্ধন বাতিল করা হবে।
গত দু’দিন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীর তেমন ভিড় নেই। বিকেলের দিকে বিভিন্ন রুটের যাত্রীদের আসতে দেখা যায়। ঈদযাত্রায় দূরপাল্লার অন্য সব যানবাহনে ভিড় থাকলেও সদরঘাটের চিত্র ভিন্ন। তবে ২৫ রোজার পর লঞ্চে যাত্রী বাড়বে বলে আশাবাদী মালিকরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২২ সালে পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলমুখী লঞ্চযাত্রী অনেক কমে গেছে। বিশেষ করে মহাসড়ক নির্মাণ ও বিভিন্ন নদীর ওপর সেতু হওয়া এবং সদরঘাটমুখী সড়কে তীব্র যানজটের ভোগান্তির কারণে লোকজন এখন লঞ্চে তেমন একটা যাতায়াত করতে চান না। বরিশাল, ভাণ্ডারিয়া ও ঝালকাঠিগামী লঞ্চ যাত্রী একেবারেই কমে গেছে। ঢাকা-বরিশাল রুটে আগে ১৮টি লঞ্চ চললেও এখন চারটিতে নেমে এসেছে। কখনও কখনও একটি মাত্র লঞ্চ চলে। তবে চাঁদপুর, ভোলার চরফ্যাসন, লালমোহন ও বরগুনা রুটে লঞ্চ তেমন কমেনি।
লঞ্চ মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, আগে ঢাকা থেকে ৪৩টি নৌপথে ২২৫টির মতো লঞ্চ চলাচল করত। এখন লঞ্চের সংখ্যা ১৯০। যাত্রী সংকটে কমেছে নৌপথও। এখন রুট ৩৫টি। প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৬৫টি লঞ্চ চলে বিভিন্ন পথে।
আগামী ২৫ মার্চ ঈদুল ফিতরের বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস চালু হলে যাত্রীর ভিড় কিছুটা বাড়বে বলে মনে করছেন মালিকরা। তারা বলছেন, আগে ঈদ এলে যাত্রীর চাপ সামলাতে বিশেষ লঞ্চ সার্ভিসে অতিরিক্ত লঞ্চ যুক্ত করা হতো। গত কয়েক বছর ধরে যাত্রী খরার কারণে অলস বসে থাকা লঞ্চগুলোকেই ঈদের সময় চালু রাখা হয়। ঢাকা-বরিশাল রুটে ১৮টি লঞ্চ রয়েছে। অন্য সময় সব না চললেও ঈদের সময় চালু রাখা হবে। অন্য নৌরুটগুলোতেও একই রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে কোনো কোনো লঞ্চে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী এমভি মানালীর অগ্রিম টিকিট ১৫ রমজান থেকেই বিক্রি হচ্ছে।
লঞ্চ মালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার মহাসচিব সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী সমকালকে বলেছেন, আগে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীর ৩৫ শতাংশ নৌপথে যেতেন। পদ্মা সেতু চালু ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটায় এখন তা প্রায় ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।
পুরোনো লঞ্চের ব্যাপারে সতর্ক প্রশাসন
প্রতিবছর ঈদের আগে লক্কড়ঝক্কড় লঞ্চগুলো রং করে ঈদযাত্রার জন্য আনা হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। রোজা শুরুর আগেই কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন ডকইয়ার্ডে পুরোনো লঞ্চগুলো নতুন সাজে সাজানো হয়েছে। কয়েকজন লঞ্চ মালিক জানান, ঈদ সামনে রেখে বিভিন্ন কোম্পানির লঞ্চ সংস্কার করা হয়েছে। অধিকাংশ লঞ্চে সাধারণত ঈদের সময় নতুন করে রং করা হয়। তবে এবার পুরোনো লঞ্চগুলোকে ঈদে চালানোর বিষয়ে কঠোর নজরদারি রেখেছে লঞ্চ মালিক সমিতি এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
নৌ মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে দু’দফা বৈঠক করে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বলা হয়েছে, কোনো অবস্থায়ই ফিটনেসবিহীন কোনো জলযান চলাচল করতে পারবে না। কোনো লঞ্চ বা ফেরি সিরিয়াল ভঙ্গ করে চলতে পারবে না। নৌপরিবহন অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব বিষয় কঠোরভাবে নজরদারি করবে।
বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোবারক হোসেন বলেন, ‘ঈদ যাত্রা সুন্দর ও বাধামুক্ত করতে আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল করতে পারবে না। ঈদে যাত্রীদের সেবায় তদারকি আরও বাড়ানো হবে।’
ভাড়া কিছুটা বাড়ানোর দাবি মালিকদের
অন্যান্যবারের মতো এবারও নৌ মন্ত্রণালয় থেকে ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.
লঞ্চ মালিকরা বলছেন, নৌপথে যাত্রী খরার কারণে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। অন্যান্য সময়ের লোকসান পোষাতে ও যাত্রী ধরে রাখতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অনেক কম নিয়ে থাকেন তারা। ঈদের মৌসুমেই কেবল নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের সুযোগ পান। সেটাও তুলনামূলক অপ্রতুল। জ্বালানি তেলের মূল্য, পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে নির্ধারিত ভাড়া নিয়েও ক্ষতি পোষানো যায় না। তাই ভাড়া অল্প বাড়িয়ে দেওয়া হলে তারা আরও স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রীসেবা দিতে পারতেন।
লঞ্চের ম্যানেজার ও সুপারভাইজারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা থেকে বরিশালগামী লঞ্চের ডেকের ভাড়া ৩০০ টাকা, সিঙ্গেল কেবিন ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং ডাবল কেবিনের ভাড়া ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু ঈদের সময় ডেকের ভাড়া ৪০০, সিঙ্গেল কেবিন ১ হাজার ২০০ ও ডাবল কেবিনের ভাড়া ২ হাজার ৪০০ টাকা। তবে যাত্রীদের আগ্রহ ধরে রাখতে ভাড়া না বাড়ানোর কথা বলছেন লঞ্চ মালিক সমিতির নেতারা। অ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. সেলিম বলেন, ‘পদ্মা সেতু হওয়ার আগে পুরো রমজানজুড়ে যাত্রীর ভিড় হতো। এখন এমনটি হয় না। লঞ্চে কেবিন আছে ১৫০ থেকে ২০০টি। বর্তমানে ২০-২৫টি ভাড়া দিতে পারি। তাই ভাড়া কিছুটা না বাড়ালে আমাদের লোকসানে পড়তে হতে পারে।’
ঈদে আসছে নতুন একটি লঞ্চ
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবার ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে যুক্ত হচ্ছে এমভি এমখান নামের একটি অত্যাধুনিক নতুন লঞ্চ। লঞ্চ মালিক সমিতির অর্থ সম্পাদক হান্নান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ঈদ উপলক্ষে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এখনও ঘাটে যাত্রীর ভিড় নেই। ২৫ রোজার পর যাত্রী বাড়বে বলে আশা করছি। যাত্রীদের বিলাসবহুল যাত্রার জন্য এবার একটি অত্যাধুনিক লঞ্চ যুক্ত হবে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন পর বহন ঈদ র সময় প রস ত ত ব যবস থ সদরঘ ট বর শ ল ম ল কর র বহন বলছ ন ত করত
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদে নৌপথে যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকারের কঠোর হুঁশিয়ারি
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে আগামী সপ্তাহ থেকে ঢাকা ছাড়তে শুরু করবে লঞ্চে যাতায়াতে অভ্যস্ত দক্ষিণ বঙ্গের মানুষ। রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ৪৫টি রুটে প্রতিদিন প্রায় দেড় শতাধিক লঞ্চ চলাচল করে। প্রতিবছর ঈদকে কেন্দ্র করে নামানো হয় ফিটনেস বিহীন লঞ্চ। চলতি পথে নদীর মাঝপথে নৌকা দিয়ে লঞ্চে যাত্রী ওঠানো হয়। এ কারণে ঘটে দুর্ঘটনা। ঈদে ঘরে ফেরার আনন্দ প্রিয়জন হারানোর বেদনায় পরিণত হয়।
এ বছর ঈদে যেন ফিটনেস বিহীন লঞ্চ চলতে না পারে এবং নদীর মাঝপথ থেকে যেন যাত্রী ওঠানো না হয় এ জন্য সরকার থেকে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, এ কাজ করলে ওই লঞ্চ মালিক ও চালককে পেতে হবে শাস্তি।
ঈদ উপলক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রস্তুতিমূলক সভায় নিরাপদ নৌচলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনে সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঈদ উপলক্ষে নদীপথে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো: নৌপথে যে কোনো দুর্ঘটনায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও উদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণের জন্য উদ্ধারকারী জলযান প্রস্তুত রাখা। লঞ্চে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধকল্পে ঢাকা নদী বন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ নদী বন্দর এলাকায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরকে প্রস্তুত রাখা এবং প্রয়োজনে সকল স্থানে ভাসমান নৌ ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা।
এ ছাড়াও সদরঘাটসহ অন্যান্য নদী বন্দরের টার্মিনাল, ঘাট পয়েন্ট এবং লঞ্চে জুয়া খেলা বন্ধ করা, ফিটনেস বিহীন নৌযান ও ফেরি চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা, লঞ্চের মাস্টার, চালক ও কর্মচারীসহ সকল ঘাটের ইজারদের নেম ট্যাগসহ নির্ধারিত পোষাক পরা, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন করা যাবে না, লঞ্চের ছাদে যাত্রী ওঠানো যাবে না। ছাদে যাত্রী ওঠানোর কাজে ব্যবহৃত সিঁড়ি অপসারণের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যাত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে লঞ্চে ঈদের পরের দুই দিন পর্যন্ত ন্যূনতম চারজন আনসার দায়িত্ব পালন করবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা লঞ্চ মালিকগণ গ্রহণ করবেন। ঈদের আগে ও পরে পাঁচ দিন সদরঘাটে ডিঙ্গী নৌকা চলাচল বন্ধ থাকবে। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা সব নদী বন্দর, টার্মিনাল ও নৌযানে দৃশ্যমানভাবে টাঙ্গিয়ে প্রচারের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করার সিদ্ধান্তও সভায় নেওয়া হয়।
ঈদের আগে তিন দিন থেকে পরের তিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ রাখা হবে। লঞ্চের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিতকল্পে নৌপথে সকল মাছ ধরার জাল পাতা বন্ধ রাখা হবে।
আসন্ন ঈদে ফেরি ঘাটে যানজট মোকাবিলার জন্য ৭টি ফেরি ঘাট যথাক্রমে- পাটুরিয়া, আরিচা, চাঁদপুর, ভোলা, লাহারহাট, চিলমারী ও ধাওয়াপাড়া সেক্টরে সর্বমোট ৪৬টি ফেরি নিয়োজিত থাকবে। চাঁদপুর থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য লঞ্চ মালিক সমিতির ৬টি লঞ্চ ও বিআইডব্লিউটিসির ২টি স্টীমার চাঁদপুর ঘাটে থাকবে বলেও সভায় জানানো হয়।
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘‘আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন নৌপথের যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। সদরঘাট বা অন্যান্য ঘাটে যাদের ইজারা দেওয়া হয়েছে, তারা যাত্রীদের কোনোভাবে হয়রানি করতে পারবেন না। কোনো অতিরিক্ত চার্জ আদায় করতে পারবেন না। অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’
জরিমানার পাশাপাশি ক্ষেত্র বিশেষে অভিযুক্ত লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হবে বলেও জানান তিনি।
তারা//