চট্টগ্রামের রাউজানে গরু চুরির অভিযোগে মো. রুবেল (৩৫) নামে এক যুবক গণপিটুনিতে মারা গেছেন। শুক্রবার সকালে উপজেলার ১০নং পূর্বগুজরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বৃহত্তর হোয়ারাপাড়া এলাকার মোবারক খালের পূর্ব পাশের বিল থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত রুবেল চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানা এলাকার প্রয়াত নুরুল আলমের ছেলে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, শুক্রবার ভোরে পূর্বগুজরা ইউনিয়নের হোয়ারাপাড়ার টিপু বড়ুয়ার গোয়াল ঘর থেকে একটি গরু চুরি করে নেওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে রুবেল নামের এক চোরকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে মরদেহ বিলের মাঝখানে ফেলে রাখে। সকালে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নানতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

রাউজান থানা পুলিশ জানায়, নিহত রুবেলের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চুরি, অস্ত্র মামলাসহ ৪টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

পূর্বগুজরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল বাতেন বলেন, ‘চোরাই একটি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল শ উদ ধ র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

ঘুমানোর আগে রিলস দেখা কতটা ক্ষতিকর?

সামাজিক মাধ্যমে বড় ভিডিও দেখার চেয়ে এখন অনেকেই ছোট ছোট রিলস দেখে বিনোদন খোঁজেন। কারও কারও ক্ষেত্রে রিলস দেখা রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সারাদিন তো বটেই,অনেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রিলস দেখেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুমোনোর আগে টানা রিলস দেখা শুধু মানসিক স্বাস্থ্যের উপরই নয়, প্রভাব ফেলে শারীরিক স্বাস্থ্যের উপরও। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে ঘুমানোর আগে একটানা রিলস দেখলে হাইপারটেনশনের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। যেমন-


হাইপারটেনশনের ঝুঁকি

সম্প্রতি চীনের এক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বয়সের ৪ হাজার ৩১৮ জনের উপর একটি গবেষণা করা হয়। ঘুমোতে যাওয়ার আগে রিলস্ দেখার সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের কোনও সম্পর্ক আছে কি না-তা জানাই ছিল এই গবেষণার লক্ষ্য। ওই গবেষণায় রিলস দেখার সঙ্গে হাইপারটেনশনের ঝুঁকির যোগসূত্র খুঁজে পান গবেষকরা। বিশেষ করে তরুণ এবং মধ্যবয়সীদের মধ্যে এই ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

মানসিক চাপ

গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত রিলস দেখা মনের উপর চাপ ফেলে। পাশাপাশি এর প্রভাবে চিন্তার অভ্যাস কমে যাওয়া, সৃজনশীল চর্চার পরিধি এবং স্থায়ীত্বেরও ব্যাঘাত ঘটে চলেছে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে রিলস দেখার পরিণাম আরও ভয়াবহ।

রিলস দেখার ফলাফল

যেকোন ধরনের স্ক্রিনের দিকে একটানা তাকিয়ে থাকা কারও জন্যই ভালো নয়। এর ফলে শরীর যেটুকু নড়াচড়া করে, সে সবের কোনও অবকাশই থাকে না। ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা রিলস দেখলে শরীর আড়ষ্ট হয়ে পড়ে। ফলে রক্ত চলাচলও স্তিমিত হয়ে পড়ে। এর ফলে শরীরে হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা দানা বাঁধে। আবার এই ভাবে দীর্ঘক্ষণ রিলস দেখার সময় শরীরের সিম্পেথেটিক নার্ভাস সিস্টেম আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে ভিডিও দেখার সময় হৃৎস্পন্দন তুলনামূলক বেড়ে যায়। নিয়মিত একই কাজ করলে এর প্রভাব হতে পারে ভয়াবহ।

প্রতিকার

প্রতিকার হিসেবে গবেষকদের পরামর্শ, যতই রিলস দেখুন না কেন, তাতে আসক্ত হওয়া যাবে না। ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্ক্রিন টাইম ঠিক করে নিন। প্রয়োজনে স্মার্ট ফোন দূরে রেখে ঘুমাতে যান। এতে ঘুম ভালো হবে, আবার শরীরও পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ