কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) ভুল চিকিৎসায় পারুল বেগম (৫২) নামের এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন চারজন সাংবাদিক। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একদল ইন্টার্ন চিকিৎসক এ হামলা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আহত সাংবাদিকরা।

আহতরা হলেন- যমুনা টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি রফিক ইসলাম খোকন চৌধুরী, ক্যামেরা পার্সন সাকিব, চ্যানেল ২৪ এর কুমিল্লা প্রতিনিধি জাহিদুর রহমান এবং ক্যামেরা পার্সন ইরফান। এ সময় হামলাকারীরা তাদের মারধর করে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার পর ইন্টার্ন চিকিৎসক ও বেশকিছু শিক্ষার্থী হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

রাত সোয়া ১টায় ওই হাসপাতাল থেকে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম সমকালকে বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করেছেন। তাদেরকে জেনারেল হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুমনা টিভির সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে ভুল চিকিৎসায় একজন নারীর মারা যাওয়ার খবর শুনে হাসপাতালে যাওয়ার পর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায় ও ক্যামেরা ভাঙচুর করেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার আমরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আমাদের ওপর হামলা চালায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা.

মাসুদুর রহমানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মুঠোফোনে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: মির্জা মুহাম্মদ তাইয়েবুল ইসলাম সমকালকে বলেন, আমরা এ নিয়ে জরুরি মিটিংয়ে বসেছি। কেন এই ঘটনা তা জেনে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আহত ইন ট র ন চ ক ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ঘুমানোর আগে রিলস দেখা কতটা ক্ষতিকর?

সামাজিক মাধ্যমে বড় ভিডিও দেখার চেয়ে এখন অনেকেই ছোট ছোট রিলস দেখে বিনোদন খোঁজেন। কারও কারও ক্ষেত্রে রিলস দেখা রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সারাদিন তো বটেই,অনেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রিলস দেখেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুমোনোর আগে টানা রিলস দেখা শুধু মানসিক স্বাস্থ্যের উপরই নয়, প্রভাব ফেলে শারীরিক স্বাস্থ্যের উপরও। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে ঘুমানোর আগে একটানা রিলস দেখলে হাইপারটেনশনের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। যেমন-


হাইপারটেনশনের ঝুঁকি

সম্প্রতি চীনের এক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বয়সের ৪ হাজার ৩১৮ জনের উপর একটি গবেষণা করা হয়। ঘুমোতে যাওয়ার আগে রিলস্ দেখার সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের কোনও সম্পর্ক আছে কি না-তা জানাই ছিল এই গবেষণার লক্ষ্য। ওই গবেষণায় রিলস দেখার সঙ্গে হাইপারটেনশনের ঝুঁকির যোগসূত্র খুঁজে পান গবেষকরা। বিশেষ করে তরুণ এবং মধ্যবয়সীদের মধ্যে এই ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

মানসিক চাপ

গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত রিলস দেখা মনের উপর চাপ ফেলে। পাশাপাশি এর প্রভাবে চিন্তার অভ্যাস কমে যাওয়া, সৃজনশীল চর্চার পরিধি এবং স্থায়ীত্বেরও ব্যাঘাত ঘটে চলেছে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে রিলস দেখার পরিণাম আরও ভয়াবহ।

রিলস দেখার ফলাফল

যেকোন ধরনের স্ক্রিনের দিকে একটানা তাকিয়ে থাকা কারও জন্যই ভালো নয়। এর ফলে শরীর যেটুকু নড়াচড়া করে, সে সবের কোনও অবকাশই থাকে না। ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা রিলস দেখলে শরীর আড়ষ্ট হয়ে পড়ে। ফলে রক্ত চলাচলও স্তিমিত হয়ে পড়ে। এর ফলে শরীরে হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা দানা বাঁধে। আবার এই ভাবে দীর্ঘক্ষণ রিলস দেখার সময় শরীরের সিম্পেথেটিক নার্ভাস সিস্টেম আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে ভিডিও দেখার সময় হৃৎস্পন্দন তুলনামূলক বেড়ে যায়। নিয়মিত একই কাজ করলে এর প্রভাব হতে পারে ভয়াবহ।

প্রতিকার

প্রতিকার হিসেবে গবেষকদের পরামর্শ, যতই রিলস দেখুন না কেন, তাতে আসক্ত হওয়া যাবে না। ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্ক্রিন টাইম ঠিক করে নিন। প্রয়োজনে স্মার্ট ফোন দূরে রেখে ঘুমাতে যান। এতে ঘুম ভালো হবে, আবার শরীরও পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ