গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতা ও নৃশংসতার প্রতিবাদ জানিয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাঁরা শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীতে ক্যাম্পাস থেকে মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর ফটকে জড়ো হয়ে ইসরায়েলবিরোধী নানা স্লোগান দেন।

এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বক্তব্য দেন। তাঁরা শিশু, নারীসহ নির্বিশেষে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি তাণ্ডবের নিন্দা জানান। ফিলিস্তিনিদের প্রতি পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতির পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের নেতাদের গণহত্যা বন্ধে ব্যর্থতার নিন্দা জানান।

বক্তারা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের মাধ্যমে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েল ও তার মিত্রদের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান। তাঁরা প্রতিবাদের গুরুত্ব এবং এর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উপস্থিতির ওপর জোর দেন, যাতে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন বক্তারা। তাঁরা বাংলাদেশ সরকারকে এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবাইকে ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করার আহ্বান জানান।

বক্তব্য দেন সিরাজুল ইসলাম, আবদুল খালেক, কাজী নাদিম, মামুন মোল্লা, নাজমুল ইসলাম, এম এন ইসলাম, মাকসুদ আলম, নাফিসা নুর প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ওপর ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবিতে একাধিক মিছিলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) একাধিক বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মিছিল থেকে দলটি নিষিদ্ধ করা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য প্রত্যাহার চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ শুক্রবার জুমা নামাজের পর থেকে ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। সংগঠনটি আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীক দ্রুত নিষিদ্ধের দাবি জানায়। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এসে সমাবেশ করে।

একই সময় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা ও সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের ওপর গণহত্যা চালানোর প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল আয়োজন করে ইনকিলাব মঞ্চ। জুমার নামাজের পর তারা কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মিছিল শুরু করে রাজু ভাস্কর্যে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে মিছিলের সমাপ্তি টানে।

এদিকে বিকেল সাড়ে ৩টায় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দে’র ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল নিয়ে এসে রাজু ভাস্কর্যের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে মিছিল করে শিক্ষার্থীদের একটি দল।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বিক্ষোভ মিছিলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান বলেন, আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশে কোনো রাজনীতি হবে না। আওয়ামী লীগ নামে কোনো সংস্কার হবে না। বাংলাদেশকে আমরা আরও একটি গণহত্যার দিকে ঠেলে দিতে পারি না। নামে-বেনামে আওয়ামী লীগ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে। সেটা যেখান থেকেই হোক, এর বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র আশরেফা খাতুন বলে, আমরা আগস্টে যেভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ছিলাম, এখনও তেমনই আছি। যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হয়, ততদিন আমরা মাঠে থাকব।

রাজু ভাস্কর্যে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদী বলেন, আড়াই তিন বছর বিএনপি ক্ষমতায় থাকবে। এরপর আওয়ামী লীগ ভারত ইসরায়েলকে সঙ্গে নিয়ে এমন ষড়যন্ত্র করবে তিন বছরের মাথায় বিএনপিকে লাথি মেরে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবে। সেই আওয়ামী লীগ ভারতের সহায়তায় ক্ষমতায় এসে দুই হাজার শহীদের বাবা-মা, ভাইবোনদের কচুকাটা করবে। ৫০ হাজার আহতদের প্রত্যেককে ধরে ধরে কচুকাটা করবে। সুতরাং আহত শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের বাঁচাতে রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করতে দেব না। তাই, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।

সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে সমাবেশে শিক্ষার্থী শাহেদ ইমন বলেন, দুই হাজার শহীদ ভাইয়ের লাল রক্তে জুলাইয়ে কোটি জনতা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। আমরা বলে দিচ্ছি, আমরা জান দেব, জুলাই দেব না। শহীদদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করব না। এই বাংলার মাটিতে যতক্ষণ লীগ নামক শব্দ থাকবে; ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। যতক্ষণ পর্যন্ত শহীদদের রক্তের বিচার না হবে, হাসিনাকে ফাঁসিতে ঝুলানো না হবে আমরা বিশ্রাম নেব না।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়। রাত দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে এসে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র এবি জোবায়ের বলেন, দুই হাজার শহীদ এবং এখনো হাজার হাজার আহতরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার আগ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হবে না। যে যা-ই বলুক, জুলাইয়ের সৈনিকরা এখনো মাঠে আছি।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, বিভিন্ন ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত জনগণ দিয়ে দিয়েছে। হয় আওয়ামী লীগ থাকবে, নয় ছাত্রসমাজ থাকবে। একবিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আ.লীগকে ‘পুনর্বাসনচেষ্টার’ প্রতিবাদে ক্ষোভ–বিক্ষোভ
  • আওয়ামী লীগের অপরাধের বিচারে ধীরগতি নিন্দনীয়
  • গাজার পক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সোচ্চার হতে সরকারের প্রতি বাসদের আহ্বান
  • আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফেরানোর যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করা হবে: নাহিদ ইসলাম
  • আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের নিন্দা জানাল জাতীয় নাগরিক পার্টি
  • আ.লীগসহ সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে: নাহিদ
  • আ.লীগসহ সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে: নাহিদ ইসলাম
  • ইসরায়েলের হত্যা-আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ
  • ঢাবিতে একাধিক মিছিলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি