সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে রাষ্ট্রের নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত ও গোপন তথ্য কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত চক্রের সদস্য অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তার নাম মো. তোফায়েল হোসেন (২৯)। শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে অপরাধ কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোন, চারটি সিম ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।

সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম নিয়মিত মনিটর করাকালে জানতে পারে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাষ্ট্রীয় স্বার্থে ব্যবহৃত হতে পারে যেসব তথ্যাবলি, যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র–সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য, জন্মনিবন্ধনপত্র, মোবাইল অপারেটরের কললিস্ট, লোকেশন, বায়োমেট্রিক তথ্য, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসে (এমএফএস) প্রদত্ত বিভিন্ন তথ্য, পাসপোর্ট, মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশনের ডেটাসহ বিভিন্ন গোপনীয় ব্যক্তিগত তথ্য অর্থের বিনিময়ে অসৎ উদ্দেশ্যে সন্দেহজনকভাবে লেনদেন করছে। সিআইডির কর্মকর্তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা থেকে তোফায়েল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে পল্টন থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার মৌকরায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স আইড

এছাড়াও পড়ুন:

যখন আমি নবীন চিত্রশিল্পী

আমি যখন ছাত্র ছিলাম প্রচুর কাজ করতাম। সব সময় বলতাম। শুধু শুধু আঁকলে হয় না। সেটা তৈরি করতে হয়। অবজারবেশন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি যতই বড় বড় কথা বলি, আমি তো একজন নারী। এটা চরম বাস্তব সত্য। তবে শিল্পীসত্তা আমাদের এক। আমি এটাকে প্রাধন্য দিই বেশি। একজন শিল্পী ছেলে বা মেয়ে বড় কথা নয়। কিন্তু যেহেতু আমার দেশের প্রেক্ষাপটে আমাকে বিচরণ করতে হয়। আমি কিন্তু উদার হতে পারি না। অনেক বাধাগ্রস্ত হয়েছি সেই সময়ে।
তবে পরিবার সাপোর্ট দিত। এখনও মনে হয় পরিবেশটা সেই রকম স্বচ্ছ হয়নি। আমি আশাবাদী, এমন পরিবেশ আগামীতে হয়তো থাকবে না। সার্বিকভাবে মেয়েদের সেভাবে কাজ করাটা কঠিন। আমাদের সময় ছিল। কিন্তু আমি ভিন্নভাবে কাজ করার চেষ্টা করতাম। আমি একাই বেরিয়ে যেতাম। আমার সাথে ছেলে বন্ধুরা বা ব্যাচমেট আমাকে নিতে ভয় পেত। বলত তোদের নিলে ঝামেলা হয়। এমনতিতেই সহযোগিতা করত। তবে জুনিয়র ছেলেরা কাজ শেখার জন্য আমার সাথে মিশত এবং সঙ্গে নিত। সত্যিকারভাবে আমি চিত্রশিল্পী হবো। এই উদ্দেশ্য নিয়ে চারুকলায় আসিনি। আমাদের পরিবারে সবাই কমবেশি আঁকাআঁকি করতেন। ম্যাট্রিক পাস করার পর ভর্তি হই। নিজের ভেতর তখন কাজ করার আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করে ফেলি। পরিশ্রমের বিকল্প নেই। আমাকে কোনো কাজ দিলে, সেটা নিয়ে গভীর মনোযোগী হয়ে যেতাম। সবার থেকে আলাদা কিছু করতে মরিয়া হয়ে যেতাম। এভাবে কাজ করতে করতেই নিজেকে জানান দিয়েছি। আমি যখন শিক্ষার্থী ছিলাম, তখন থাকতাম গোপীবাগে বা হলে। আমি চারুকলায় আসতাম রিকশাতে। তখন অনুধাবন করতাম একজন মেয়ে বাইরে কাজ করতে ছেলেদের মতো পারে না। নিজের মতো করে ড্রয়িংটা করতে পারতাম না। তো যাই হোক রিকশাতে চলার সময় চারপাশ দেখতাম। সেগুলো আমাকে ব্যাপক কাজে দিত আঁকাআঁকিতে।
আড্ডা-তর্কে সঙ্গী যারা
আমাদের সময় যারা ছিলেন তারা অনেক বিখ্যাত হয়ে গেছেন, কেউ কেউ চলে গেছেন। শাহাবুদ্দিন ভাই, অলোক রায় ওনারা বড় ভাই হিসেবে অনেক স্নেহ করতেন। আমি কাজপ্রিয় মানুষ ছিলাম। অনেকেই মনে করে আমি কম কথা বলি। সংসারজীবন বা সামাজিক জীবন বলেন আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমি ফেরেশতা নয় কিন্তু আমি নিজের মতো করে চলি। আমি প্রচণ্ড সততা নিয়ে চলি। ছবি বিক্রির জন্য কখনও ক্রেজি হয়ে যাই না।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যানার টাঙানো নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, দুজন গুলিবিদ্ধ
  • সাঁতারু থেকে মন্ত্রী, এখন তিনি বৈশ্বিক ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে ক্ষমতাধর
  • জামালপুরে ‘পাওনা টাকা চাইতে গেলে’ চোর অপবাদ দিয়ে রাজমিস্ত্রিকে নির্যাতন
  • নরসিংদীতে আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ নিহত ২
  • ঘর বেচে কেনা হয়েছিল কম্পিউটার, এখন কোটি টাকার মালিক ফ্রিল্যান্সার রায়হান
  • যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নতুন সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য
  • যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য নতুন সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য
  • বিএনপির ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ আশঙ্কা কেন?
  • যখন আমি নবীন চিত্রশিল্পী