লেবুর রস আর ঢ্যাঁড়স ভেজানো পানির মিশ্রণের উপকারিতা জানেন?
Published: 21st, March 2025 GMT
লেবুর রসের সঙ্গে ঢ্যাঁড়স–পানি—শুনতেই কেমন অদ্ভুত লাগে, তাই না? পিচ্ছিল তো বটেই, অনেকের কাছে ঢ্যাঁড়স সবজিটা ভীষণ বিস্বাদ। কিন্তু লেবুর রস আর ঢ্যাঁড়স ভেজানো পানির মিশ্রণের উপকারিতা জানেন? জানলে হয়তো রোজ সকালে এটি খাওয়ার লোভ সামলাতে পারবেন না!
হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের অনন্য টোটকাদ্রবণীয় আঁশে ভরপুর ঢ্যাঁড়স প্রাকৃতিক রেচকের ভূমিকা পালন করে। অন্ত্রে মলের চলাচল দ্রুত করে, মলের পরিমাণ বাড়ায় এবং মল নরম করে। যাঁরা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা লেবুর রসের সঙ্গে ঢ্যাঁড়স ভেজানো পানি খান প্রতিদিন সকালে। দারুণ উপকার পাবেন।
ওজন কমানোর প্রাকৃতিক উপায়ঢ্যাঁড়সে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ থাকে। বিপরীতে ক্যালরি খুবই কম। এতে পেকটিন বা প্রাকৃতিক পলিস্যাকারাইড রক্তে চিনির মাত্রা কমায়। অন্যদিকে লেবুতে থাকা হজম সহায়ক পদার্থ দেহের চর্বি ঝরাতে কার্যকর। ফলে প্রতিদিন সকালে এই দুইয়ের মিশ্রণে তৈরি পানীয় খেলে ওজন কমে। মুটিয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তা থেকে মিলতে পারে মুক্তি।
ঢ্যাঁড়সে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি দেহে রোগ-জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাত বছর ধরে হেলিকপ্টার বানাচ্ছেন রাজমিস্ত্রী আরিফুল, তিন সপ্তাহের মধ্যে ওড়ানোর স্বপ্ন
শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের মাটিয়ান গ্রামের রাজমিস্ত্রী আরিফুল ইসলাম হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। সাত বছর ধরে একটি হেলিকপ্টার তৈরি করায় এ নিয়ে এলাকায় তাঁকে নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হেলিকপ্টার তৈরির কাজ শেষ করে তা আকাশে ওড়াতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।
আরিফুল মাটিয়ান গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেনের ছেলে। বাড়িতে ছোট্ট একটি ঘরের মধ্যে তৈরি হচ্ছে হেলিকপ্টার। আশেপাশে পড়ে রয়েছে নানা সরঞ্জাম। হেলিকপ্টার তৈরির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে ২০১৮ সাল থেকে সাত বছর ধরে দৈনিক আয়ের কিছু অংশ থেকে সরঞ্জাম কিনে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন তিনি। এ পর্যন্ত তাঁর প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাঁকি কাজ সম্পূর্ণ করতে আরও ৫০ হাজার টাকার দরকার বলে জানান তিনি। টাকার ব্যবস্থা হলে আগামী ২০ দিনের মধ্যে অবশিষ্ট কাজ শেষ করে হেলিকপ্টারটি আকাশে উড়াতে সক্ষম হবেন বলে জানান তিনি।
মাটিয়ান গ্রামের জাকারিয়া জুয়েল বলেন, ছোটবেলা থেকে আরিফুল অনেক কিছু তৈরি করতেন। দরিদ্র আরিফুল তাঁর উপার্জনের টাকা দিয়ে সরঞ্জাম কিনে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। সরকারিভাবে কোনো সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু তৈরি করতে পারবেন।
আরিফুলের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, এক মেয়েকে নিয়ে অতি কষ্টে আমরা জীবনযাপন করি। আমার স্বামী তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে উপার্জনের টাকা ব্যয় করে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। এতে আমাদের কষ্ট হলেও আমরা খুশি।
কিচক ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বলেন, হেলিকপ্টার তৈরির বিষয়টি আমি জেনেছি। আমরা তাঁর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, হেলিকপ্টার তৈরি করায় আমরা তাঁকে সাধুবাদ জানাই। এ কাজে উৎসাহ যোগাতে প্রয়োজনে তাঁকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে। হেলিকপ্টার দেখার জন্য প্রতিদিন তাঁর বাড়িতে শতশত মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।