গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের আকাঙ্ক্ষা তীব্র হয়েছে। তবে অভ্যুত্থানের সাত মাস পরও সমাজে এখনও দুর্ভাগ্যবশত, কাঙ্ক্ষিত স্থিতিশীলতা আসেনি। রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে অনেক অস্বস্তি ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মূলত রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন, সরকার ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এক ধরনের সমন্বয়ের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। এই উদ্বেগ, অস্বস্তি ও সমন্বয়ের অভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বাস্তবায়নের আকাঙ্ক্ষাকে ক্রমশ পিছিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে।
এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যে একটি ঘোষণাপত্র দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল, তাকে সরকার, রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এক রকমের দূরত্ব ও বোঝাপড়ার অভাব বলা যায়। এটিকে অন্তর্বর্তী সরকার ও সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর ছাত্রদের এক ধরনের চাপ প্রয়োগের চেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে। 

আন্দোলন-সংগ্রামের ব্যাকরণ অনুযায়ী, এ ধরনের ঘোষণাপত্র সাধারণত অভ্যুত্থানের আগে কিংবা আন্দোলনের এক পর্যায়ে দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু অভ্যুত্থানের ছয় মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ঘোষণাটি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। ইতিহাসে আমরা দেখেছি, সাধারণত এ ধরনের উদ্যোগ অভ্যুত্থানের শরিকদের সমঝোতার ভিত্তি ও নীতিতে তৈরি হয়। কিন্তু এখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও শরিকদের যথেষ্ট বোঝাপড়া ও যোগাযোগ ছিল না। এখন তো জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তৈরি করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নামে একটি ছাত্র সংগঠনে পরিণত হয়েছে। ফলে ওই ঘোষণাপত্রের প্রাসঙ্গিকতা ফিকে হয়ে গেছে, বললে ভুল হয় না।

সম্মুখ যোদ্ধা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্রিয় রাজনৈতিক দলের সংগঠনগুলোর মধ্যে আন্দোলনকালে শক্ত ঐক্য গড়ে উঠেছিল। কিন্তু অভ্যুত্থানের পর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। এর অন্যতম কারণ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির লক্ষ্য ও আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী শিক্ষার্থীদের এক রকমের দূরত্ব। এর সঙ্গে সংস্কারের সময়সীমা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের তারিখ আর চলমান সংস্কারে কোন কোন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে ইত্যাদি যুক্ত। সংস্কারের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সংবিধানে মৌলিক পরিবর্তন নিয়ে আসা। সংবাদমাধ্যমে আমরা জেনেছি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ নিয়ে ঐকমত্য গড়ে ওঠেনি। 

দেশ পরিচালনার জন্য দরকার রাজনৈতিক দল। আর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দাবি তুলেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি; তা কায়েমের মূল চালকও আসতে হবে রাজনৈতিক দলের মধ্য থেকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি রাজনৈতিক ব্যবস্থায় এ গুণগত পরিবর্তন আনতে আগ্রহী বলে মনে হয় না। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলো গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ যোদ্ধাদের কাছে এ বিষয়ে আস্থা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। সুতরাং বিদ্যমান রাজনৈতিক পাটাতনে নতুন আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে পারে এমন রাজনৈতিক শক্তির শূন্যতা রয়েছে। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই শূন্যতা পূরণ করার জন্য একটি রাজনৈতিক শক্তির বিকাশের সম্ভাবনা আমরা দেখতে পাচ্ছি।

ছাত্রদের সঙ্গে সমাজের একটি যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের শক্তি ও সংযোগের ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনা জোরালো হয়ে উঠেছে। এখানে পরিষ্কারভাবে একটি রাজনৈতিক শূন্যতা রয়েছে। কিন্তু জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করার মতো একটি রাজনৈতিক দল হয়ে ওঠার জন্য যে প্রস্তুতি, প্রজ্ঞা ও সাংগঠনিক দক্ষতা দরকার, সেটি কিন্তু ছাত্র সংগঠন বা সম্ভাব্য রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে অনুপস্থিত। সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগের জায়গাটা এখনও স্পষ্ট বা শক্তিশালী নয়। ফলে পুরোনো রাজনৈতিক দলকে চ্যালেঞ্জ করতে হলে এনসিপিকে শুধু ছাত্রশক্তির ওপর ভর করলে চলবে না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের জায়গাটা পরিষ্কার করতে না পারলে তারা খুব বেশি দূর যেতে পারবে, বলা যায় না । 
পুরোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্ত মানে শুধু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন বোঝায় না। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে যে শাসন কাঠামো চলে এসেছে, তার সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠান-দল-গোষ্ঠীর স্বার্থের আন্তঃসম্পর্ক বোঝানো হয়। এই সম্পর্ক বদলানো খুব সহজ নয়। পুরোনো কাঠামো অত্যন্ত শক্তিশালী এবং স্বার্থের জায়গাগুলো সুরক্ষা দেওয়ার জন্য তাদের মধ্যে এক প্রকার লিখিত-অলিখিত যোগাযোগ রয়েছে। সেই যোগাযোগ ভেঙে দিয়ে নতুন বন্দোবস্তের দিকে যাওয়া অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ। 

ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা যদি ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোর সঙ্গে বোঝাপড়া ও যোগাযোগ করে; তাদের সঙ্গে একটি সংযোগ তৈরি করে, তাহলে দূরত্ব কমতে পারে। দ্বিতীয়ত, পুরোনো সম্পর্ক এতই শক্তিশালী যে তারা নতুন সম্ভাব্য রাজনৈতিক শক্তিকে বিনষ্ট করতে সব ধরনের চেষ্টা চালাতে পারে। ছাত্রশক্তির মূল ভরসা হতে পারে তাদের নিষ্ঠা, ত্যাগ ও ভবিষ্যৎমুখী স্বপ্ন। তারা যদি এই তিনটি বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষ ও নাগরিকদের কাছে পৌঁছাতে পারে তাহলে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা খানিকটা সহজ হবে। তবে এটা অল্প সময়ে হয়ে যাবে, এমন ভাবনা কোনোভাবেই ঠিক নয়।
গণতান্ত্রিক চর্চার স্বার্থে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোকে নতুন পরিস্থিতিতে নিজেদের মধ্যে সংস্কার আনা জরুরি। এ পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাওয়াতে না পারলে দলগুলোর মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরিষ্কারভাবে এখনও গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব রয়েছে। এখনও প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির প্রায় সব সিদ্ধান্ত দেশের বাইরে থেকে আসে। এই প্রবণতা কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের জন্য ইতিবাচক নয়। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান কাজ হচ্ছে, দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা প্রতিষ্ঠা করা। জামায়াতও যদি মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে তাদের অবস্থান স্পষ্ট না করে এবং এ ব্যাপারে ক্ষমা চেয়ে পরবর্তী বাংলাদেশের অস্তিত্ব মেনে নেওয়ার প্রবণতা না দেখায়, তাহলে তাদের রাজনীতিও প্রত্যাখ্যাত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। শুধু এসব কথা এ দুটি রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, এমন নয়। সব দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করা দরকার এবং তা প্রকাশ্য হওয়া জরুরি। নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রত্যেককে নতুন করে জনসংযোগ ও জনসংগঠনগুলো গড়ে তোলার ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে। 

ড.

কাজী মারুফুল ইসলাম: অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য
kazi.maruf@du.ac.bd

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত র জন ত ক শ র স গঠন র জন য ধরন র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সর্বকালের সেরা ৫ মেটাল অ্যালবাম

যারা রক মিউজিকের ভক্ত, মেটালের প্রতি তাদের আগ্রহ মাত্রাতিরিক্ত। সেই মেটাল ভক্ত তরুণদের জন্য হাজির করা হলো সর্বকালের সেরা পাঁচটি মেটাল অ্যালবাম। অনলাইন অবলম্বনে হাজির করলেন ফাহমিদা রিমা 

ফিস্টফুল অব মেটাল অ্যানথ্রাক্স

আমেরিকান থ্র্যাশ মেটাল ব্যান্ড ‘অ্যানথ্রাক্স’ ফর্ম করে ১৯৮১ সালে। প্রবল দাপটের সঙ্গে সক্রিয় এই ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘ফিস্টফুল অব মেটাল’ বাজারে আসে ১৯৮৪ সালের জানুয়ারিতে। অ্যালবামটিতে ট্র্যাক ছিল দশটি। এ-পিঠে ‘ডেথরাইডার’ [দৈর্ঘ্য-৩ মিনিট ১০ সেকেন্ড], ‘মেটাল থ্রেশিং ম্যাড’ [২:৩৯], “আ’ম এইটিন” [৪:০২], ‘প্যানিক’ [৩:৫৮] ও ‘সাবজুগেটর’ [৪:৩৮] এবং বি-পিঠে ‘সোলজারস অব মেটাল’ [২:৫৫], ‘ডেথ ফ্রম অ্যাবোভ’ [৫:০০], ‘অ্যানথ্রাক্স’ [৩:২৪], ‘অ্যাক্রশ দ্য রিভার’ [১:২৬] ও ‘হাউলিং ফিউরিজ’ [৩:৫৫]। লাইন-আপে : নেইল টারবিন [ভোকাল], ড্যান স্পিৎসে [লিড গিটার], স্কট ইয়ান [রিদম গিটার], ড্যানি লিংকার [বেজ] ও চালি বেনান্টে [ড্রামস]।

 

এইস অব স্পেডস
মোটরহেড
১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সক্রিয় ইংলিশ রক ব্যান্ড ‘মোটরহেড’ ব্যাপক অবদান রেখেছে ‘নিউ ওয়েভ অব ব্রিটিশ হেভি মেটাল’ নামের রক-মুভমেন্টটিতে। তাদের চতুর্থ অ্যালবাম ‘এইস অব স্পেডস’ বাজারে আসে ১৯৮০ সালের ৮ নভেম্বর। অ্যালবামটির এ-পিঠের ট্র্যাক– ‘এইস অব স্পেডস’ [২:৪৯], ‘লাভ মি লাইক অ্যা রেপটিল’ [৩:২৩], ‘শুট ইউ ইন দ্য ব্যাক’ [২:৩৯], ‘লাইভ টু উইন’ [৩:৩৭], ‘ফাস্ট অ্যান্ড লুজ’ [৩:২৩] ও ‘[উই আর] দ্য রোড ক্রু’ [৩:১৩] এবং বি-পিঠে– ‘ফায়ার, ফায়ার’ [২:৪৪], ‘জেলবেইট’ [৩:৩৩], ‘ড্যান্স’ [২:৩৮], ‘বাইট দ্য বুলেট’ [১:৩৮], ‘দ্য চেজ ইজ বেটার দ্যান দ্য ক্যাচ’ [৪:১৮] ও ‘দ্য হামার’ [২:৪৮]। লাইন-আপ: লেমি [ভোকাল, বেজ], ফিল টেইলর [ড্রামস] ও এডি ক্লার্ক [গিটার]।

 

লিভিং আফটার মিডনাইট
জুডাস প্রিস্ট
ইংল্যান্ডে ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ও সক্রিয় ব্যান্ড ‘জুডাস প্রিস্ট’-এর ‘দ্য বেস্ট অব জুডাস প্রিস্ট : লিভিং আফটার মিডনাইট’ অ্যালবামটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালে। এর ট্র্যাক হলো– ‘দ্য গ্রিন ম্যানালিশি’ [৩:২২], ‘লিভিং আফটার মিডনাইট’ [৩:৩০], ‘ব্রেকিং দ্য ল’ [২:২১], ‘হট রকিন’ [৩:১৪], ‘হেডিং আউট টু দ্য হাইওয়ে’ [৪:৩৩], ‘দ্য হেলিঅন’ [০:৪২], ‘ইলেক্ট্রিক আই’ [৩:৩৯], ‘ইউ হ্যাভ গট অ্যানাদার থিং কামিন’ [৫:০৪], ‘টার্বু লাভার’ [৪:৩২], ‘ফ্রিহুইল বার্নিং’ [৪:২৩], ‘সাম হেডস আর গন্না রোল’ [৪:০৭], ‘মেটাল মেলডাউন’ [৪:৪৮], ‘র‍্যাম ইট ডাউন’ [৪:৪৯], ‘ডায়মন্ডস অ্যান্ড রাস্ট’ [৩:৩৯], ‘ভিকটিম অব চেঞ্জেস’ [৭:১১] ও ‘টাইর‍্যান্ট’ [৪:৪২]।

কিল ’এম অল!
মেটালিকা
১৯৮৩ সালের জুলাইয়ে মুক্তি পাওয়া ‘মেটালিকা’র অভিষেক অ্যালবাম “কিল ’এম অল!”-এর ট্র্যাকগুলো হলো– ‘হিট দ্য লাইটস’ [৪:১৬], ‘দ্য ফোর হর্সমেন’ [৭:১৩], ‘মোটরব্রিথ’ [৩:০৮], ‘জাস্ট ইন দ্য ফায়ার’ [৪:৪১], ‘[এনেস্থেসিয়া]- পুলিং টিথ’ [৪:১৫], ‘হুইপলাশ’ [৪:১০], ‘ফ্যান্টম লর্ড’ [৫:০২], ‘নো রিমার্স’ [৬:২৬], ‘সিক অ্যান্ড ডেস্ট্রয়’ [৬:৫৫] ও ‘মেটাল মিলিশিয়া’ [৫:০৯]। ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত ও এখনও সক্রিয় আমেরিকান ব্যান্ডটির এ অ্যালবামের লাইনআপে ছিলেন– জেমস হেটফিল্ড [লিড ভোকাল, রিদম গিটার], কার্ক হ্যামেট [লিড গিটার], ক্লিফ বার্টন [বেজ গিটার, ব্যাকিং ভোকাল], লার্স উলরিচ [ড্রামস]। অ্যালবামটি এখনও তরুণদের ঠিক একইরকম উত্তেজিত ও উদ্বেলিত করে।

আউট অব দ্য সেলার
র‍্যাট
১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান রক ব্যান্ড ‘র‍্যাট’-এর অভিষেক অ্যালবাম ‘আউট অব দ্য সেলার’ বাজারে আসে ১৯৮৪ সালের মার্চে। এর ট্র্যাক হলো– ‘ওয়ান্টেড ম্যান’ [৩:৩৭], ‘ইউ আর ইন ট্রাবল’ [৩:১৬], ‘রাউন্ড অ্যান্ড রাউন্ড’ [৪:২২], ‘ইন ইওর ডিরেকশন’ [৩:৩০], ‘শি ওয়ান্টস মানি’ [৩:০৪], ‘ল্যাক অব কমিউনিকেশন’ [৩:৫২], ‘ব্যাক ফর মোর’ [৩:৪২], ‘দ্য মর্নিং আফটার’ [৩:৩০], “আ’ম ইনসান” [২:৫৪] ও ‘সিন অব দ্য ক্রাইম’ [৪:৫৪]। অ্যালবামে ব্যান্ডটির লাইন-আপ– স্টিফেন পার্সি [লিড ভোকাল], ওয়ারেন ডিমার্টিনি [লিড অ্যান্ড রিদম গিটার], রবিন ক্রসবাই [লিড অ্যান্ড রিদম গিটার], জুয়ান ক্রুসার [বেজ], ববি ব্লোৎসার [ড্রামস, পারকাশস]।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সর্বকালের সেরা ৫ মেটাল অ্যালবাম
  • চিকিৎসাসেবা ও শিক্ষা আন্তর্জাতিক মানের করতে হবে
  • মালদ্বীপে বিদেশি কর্মীরা চলতি মাসের মধ্যে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন না করলে বহিষ্কার
  • ফাইনালে অনিশ্চিত এমবাপ্পে, বড় ধাক্কা রিয়ালের
  • সুবিধামতো সময় যে কোনো দলে যোগ দিতে পারি: উপদেষ্টা আসিফ
  • সুবিধামতো সময় যেকোনো দলে যোগ দিতে পারি: আসিফ মাহমুদ
  • কুয়েটের অচলাবস্থা কাটেনি
  • দখলে জঞ্জালে ভরা চার খাল
  • ‘মিল চালু করবে বলি চাষ কইরবার কইল, এলাও কোনো খবর নাই’
  • ‘সবচেয়ে বড় প্রেরণা বাবা’