সুন্দরবন রক্ষায় পরিবেশবাদীদের অবস্থান কর্মসূচি
Published: 21st, March 2025 GMT
আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে সব বন্যপ্রাণী হত্যা বন্ধ, সুন্দরবনকে রক্ষা এবং বনবিনাশী প্রকল্প বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে মোংলা সরকারি কলেজ চত্বরের ম্যানগ্রোভ বনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
পরিবেশবাদী সংগঠন সুন্দরবন রক্ষায় আমরা, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও সার্ভিস বাংলাদেশের আয়োজনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের সমন্বয়কারী নূর আলম শেখ। এ সময় বক্তব্য দেন সার্ভিস বাংলাদেশের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, পরিবেশকর্মী কমলা সরকার, ছবি হাজরা, ইদ্রি ইমন, হাছিব সরদার প্রমুখ।
সুন্দরবন রক্ষায় আমরার সমন্বয়কারী নূর আলম শেখ বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করে; কিন্তু সুন্দরবনকে রক্ষা করবে কে। দখল এবং দূষণে সুন্দরবন ভারাক্রান্ত। বনবিনাশী প্রকল্প ও কার্যক্রম বন্ধ করতে না পারলে সুন্দরবনের অস্তিত্ব থাকবে না।
পরিবেশকর্মী কমলা সরকার বলেন, সুন্দরবনের বাফার জোন এলাকায় বেপরোয়া শিল্পায়ন রুখতে না পারলে সুন্দরবন রক্ষা করা যাবে না।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন দরবন র
এছাড়াও পড়ুন:
মৌসুমের আগেই চুরি হচ্ছে সুন্দরবনের মধু
সুন্দরবনে এখন ফুল ফোটার মৌসুম। বনের খলিশা, গরানসহ বহু গাছে শোভা পাচ্ছে ফুল। আর ফুল থেকে চাকে মধু জমা করতে কর্মব্যস্ততা বেড়েছে মৌমাছির। মধুর চাকগুলো পরিণত হওয়ার পর আগামী ১ এপ্রিল থেকে মৌয়ালদের মধু আহরণে সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি দেবে বন বিভাগ। বৈধ অনুমতির আগেই জেলের বেশে কিছু অসাধু ব্যক্তি বনে ঢুকে অপরিণত চাক কেটে মধু সংগ্রহ করছেন। এতে পূর্ণ মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত মধু না পাওয়ার শঙ্কায় পড়েছেন মৌয়ালরা।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে সুন্দরবনসংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, সুন্দরবন থেকে চুরি করে সংগ্রহ করা খলিশা ফুলের মধু চড়া মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। মৌয়ালদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৌসুমের শুরুতে সুন্দরবনে খলিশা ও গরান ফুলের মধু আসে। এরপর আসে কেওড়া ফুলের মধু। এর মধ্যে সবচেয়ে দামি হচ্ছে খলিশার মধু।
কয়রা উপজেলার মদিনাবাদ গ্রামের মৌয়াল আবুল কালাম জানান, মধু সংগ্রহ করতে মৌয়ালরা আগামী এপ্রিলের ১ তারিখে সুন্দরবনে ঢুকতে বন বিভাগের অনুমতি পাবেন। অথচ মার্চ মাসেই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় প্রতি কেজি সুন্দরবনের মধু বিক্রি হচ্ছে। মূলত বেশি দামের আশায় মাছ ধরার অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনে যাওয়া জেলেরা এসব মধু সংগ্রহ করছেন। এর ফলে কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট করে দেওয়া সময়ে বনে ঢুকে প্রত্যাশিত পরিমাণ মধু সংগ্রহ নিয়ে তারা চিন্তায় পড়েছেন।
সম্প্রতি সুন্দরবনে মাছ ধরার অনুমতি (পাস) নিয়ে চুরি করে মধু আহরণের অভিযোগে ছয়জনকে আটক করেছে বন বিভাগ। সুন্দরবনের আন্দারমানিক টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল হাছান বলেন, ‘আমরা সুন্দরবনের চামটার খাল ধরে টহল দিচ্ছিলাম। সেখানে জেলেদের তিনটি নৌকা তল্লাশি করে অবৈধভাবে আহরণ করা মধু, মোমসহ আনুসঙ্গিক মালামাল জব্দ করেছি। সেই সঙ্গে নৌকায় থাকা ছয় জেলেকে গ্রেপ্তার করে বন আইনে মামলা দিয়েছি।’
সুন্দরবনে মাছ ধরার অনুমতি (পাস) নিয়ে চুরি করে মধু আহরণের অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে বন বিভাগ। সম্প্রতি সুন্দরবনের আন্দারমানিক টহল ফাঁড়ির কার্যালয়ে