সোনাহাট ব্রিজে ২২ ঘণ্টা ধরে বন্ধ যান চলাচল
Published: 21st, March 2025 GMT
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট ব্রিজের পাটাতন ভেঙে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে প্রায় ২২ ঘণ্টা বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল।
এতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে থেকে ব্রিজের দুইপাড়ে আটকা পড়েছে সোনাহাট স্থলবন্দরগামী প্রায় ৩ শতাধিক পাথর ও কয়লা বোঝাইসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহন।
এদিকে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি সড়ক বিভাগ। যার ফলে বিকল্প পথ না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যবসায়ীসহ চলচলকারীরা।
পাথর বোঝাই ট্রাকচালক রহিম উদ্দিন সমকালকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বেইলি সেতুটির মাঝ বরাবর একটি পাটাতন ভেঙে যায়। শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত আমি প্রায় ২২ ঘণ্টা ধরে আটকা পড়েছি। কোনো সমাধান হয়নি।’
মোটরসাইকেলচালক চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘অনেক ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল পার করলাম। দুই দিকে প্রচুর যানযট থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছে সবাই।’
কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, দ্রুত সংস্কারের কাজ চলছে। আশা করছি শনিবার সকালের মধ্যে বিষয়টি সমাধান হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গাজা-পশ্চিম তীরে কেমন ছিলেন, জানালেন বাংলাদেশে পড়ুয়া ২ ফিলিস্তিনি তরুণ
অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনে দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের অর্ধেকের বেশি এলাকা দখল করে নিয়েছে তারা। বিভিন্ন যুদ্ধে ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ, শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। এসব যুদ্ধের সাক্ষী পুরো বিশ্ব। কোনো কোনো দেশ নীরব থেকেছে, কেউ আবার সরব হয়েছে, যেমন বাংলাদেশ।
কথাগুলো বলছিলেন বাংলাদেশে পড়ুয়া ফিলিস্তিনি দুই তরুণ ইব্রাহিম কিসকো (২৩) ও আইজ্যাক এন নমুরা (২৩)। আজ রোববার বিকেলে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর দৃষ্টিতে ফিলিস্তিনের সংগ্রাম অনুধাবন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তাঁরা। আইজ্যাকের বাড়ি দখলকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনে। আর ইব্রাহিমের বাড়ি গাজায়।
ইব্রাহিম কিসকো ও আইজ্যাক এন নমুরা—দুজনই বাংলাদেশে চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করছেন। আইজ্যাক পড়ছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে আর ইব্রাহিম ঢাকা মেডিকেল কলেজে। তাঁরা দুজনেই চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০২১ সালে বৃত্তি পেয়ে তাঁরা বাংলাদেশে পড়তে আসেন। বাংলাদেশে এসে একে অপরকে চিনেছেন।
আলোচনা সভায় আইজ্যাক বলেন, ‘২০২১ সালে আমি যখন বাংলাদেশে আসি, তখন পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রায় ১০০ তল্লাশিচৌকি ছিল। সেখান থেকে শিশু, নারী, পুরুষদের হেনস্তা করত এবং তাঁদের ওপর নির্যাতন চালাত ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের ইচ্ছেমতো আমাদের ধরে কারাবন্দী করে রাখা হতো।’
ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের অসংখ্য শিশু, নারী, পুরুষকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে—অভিযোগ এনে আইজ্যাক বলেন, ‘কারাগারে আমার ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের বন্দী করে রাখা হয়েছে। তারা সেখানে অনাহারে দিন পার করছে। প্রতিনিয়ত নারীদের ধর্ষণ ও নির্যাতন করা হচ্ছে। এসব থেকে মুক্তি চাই। ইনশা আল্লাহ, একদিন মুক্ত হব।’
আলোচনা সভার আগে আইজ্যাক এন নমুরার সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। তিনি জানান, ছেলেবেলায় মহাকাশচারী হতে চেয়েছিলেন। তাঁর পরিবারে ছয় ভাই ও পাঁচ বোন রয়েছে। তিনিই একমাত্র ফিলিস্তিন থেকে দূরে। তাঁর প্রিয় খাবার ‘মাকলুবা’ (বিরিয়ানির মতো একধরনের খাবার)। বাংলাদেশের তেহারি খেতে খুবই পছন্দ করেন। মিষ্টান্নের মধ্যে প্রিয় রসমালাই। পুরান ঢাকা ঘুরতে এবং পুরান ঢাকার খাবার খেতে ভালো লাগে তাঁর।
‘বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর দৃষ্টিতে ফিলিস্তিনের সংগ্রাম অনুধাবন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় কথা বলেন ফিলিস্তিনি তরুণ ইব্রাহিম কিসকো ও আইজ্যাক এন নমুরা