মঞ্চে হকারদের জীবিকা ও সংগ্রামের গল্প
Published: 21st, March 2025 GMT
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হলো রম্য নাটক ‘সংস অব হকারস’ বা ‘হকারদের গান’।
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের উদ্যোগে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার নাটকটি উপভোগ করেছেন ঢাকার দর্শকেরা।
নাটকটি লেখার পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েছেন ফরাসি নাট্যব্যক্তিত্ব যাযি আয়ুন। নৃত্য, গান, পুতুলনাচ, অ্যাক্রোব্যাটিকসসহ বিচিত্র পরিবেশনায় প্রযোজিত নাটকটি দেখতে উল্লেখযোগ্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল।
যাযি আয়ুন বেশ কিছুদিন নিউমার্কেট, ধানমন্ডিসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। কাছ থেকে হকারদের কর্মতৎপরতা দেখেছেন। সে অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন এ নাটক। তিনি স্থানীয় তরুণ নাট্যকর্মীদের কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেন। নাটকটিতে দৈনন্দিন জীবনের অতি পরিচিত তিনটি আলাদা গল্প সাজিয়েছেন লেখক; ‘দ্য সিক্রেট’, ‘দ্য থিফ রিওয়ার্ডেড’ ও ‘দ্য কম্পিটিশন’। আর মঞ্চে গল্পগুলো বলতে ১৯ শতাব্দীর ফরাসি নাট্যশৈলী ‘গ্র্যান্ড গুইনিওল’ কৌশল ব্যবহার করেছেন নির্দেশক।
১ ঘণ্টার নাটকে ঢাকার রাস্তার হকারদের ব্যস্ততা, ক্লান্তিকর জীবনের নানা মুহূর্ত উঠে এসেছে কৌতুকপূর্ণ উপস্থাপনায়। হাস্যরসের মধ্য দিয়ে হকারদের জীবিকা ও সংগ্রামের গল্প বলেছেন নাট্যকার।
সংলাপগুলো ভাঙা ভাঙা ইংরেজি ও বাংলা ভাষার মিশ্রণে লেখা। নাট্যকারের ভাষ্যে, শহরের বিশৃঙ্খল জীবনের মধ্যে হকাররা তাঁদের বিভিন্ন পণ্য দিয়ে এবং সুপারমার্কেটের চেয়ে সস্তায় সেগুলো বিক্রি করে অনেকের জীবন হয়তো সহজ করে তোলেন। তাই এ নাটক জীবনঘনিষ্ঠ। এতে অভিনয় করেছেন ইমাম হোসেন, মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন টকট
এছাড়াও পড়ুন:
আর্জেন্টিনার ‘২০০০’তম গোলে হার উরুগুয়ের
বক্সের বাঁ কোনায় দৌড়ের ওপর উরুগুয়ের এক ডিফেন্ডারকে কাটালেন হুলিয়ান আলভারেজ। একটু এগিয়েই ঘুরে গেলেন বলটা নিয়ে। থিয়াগো আলমাদা ততক্ষণে উরুগুয়ে বক্সের সামনে। আলভারেজ হোমওয়ার্ক করে আসার মতো করে পাসটা দেন আলমাদাকে।
শরীরে ২৩ বছরের টগবগে রক্ত আর অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের রোমাঞ্চকর মন থাকলে যা হয়; আলমাদা দূরের পোস্ট তাক করে কিক নেন। সবাইকে স্থির দর্শক বানিয়ে বলটা বাতাসে ভাসতে ভাসতে আশ্রয় নেয় জালে। মাঠের অন্য প্রান্তে আর্জেন্টিনার পোস্টে দাঁড়ানো এমিলিয়ানো মার্তিনেজ গোলটি দেখে এমনভাবে বাঁ হাত নাড়ছিলেন যেন আগুনে ছ্যাকা খেয়েছেন। উরুগুয়ে গোলকিপার সের্হিও রসেটের জন্য তাঁর মায়াও লাগছিল বুঝি। সত্যিই চোখ ধাঁধানো এক গোল!
মন্টেভিডিওর সেন্টেনারিও স্টেডিয়ামে আলমাদার এই গোলই শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের মধ্যে। স্বাগতিকদের ১-০ গোলে হারিয়ে দক্ষিণ আমেরিকান বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান আরও মজবুত হলো আর্জেন্টিনার। শুধু তাই নয়, দেখা পেয়েছে ২০০০তম গোলেরও। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ক্লারিন জানিয়েছে, আলমাদার গোলটি আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের ইতিহাসে ২০০০তম গোল।
১৩ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিওনেল স্কালোনির দল। সমান ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ইকুয়েডর। ১৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় ব্রাজিলের বিপক্ষে আগামী বুধবার বাংলাদেশ সময় সকালে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। তার আগে প্রস্তুতিটা একদম খারাপ হলো না স্কালোনির দলের। যদিও আলমাদার গোলটি ছাড়া তেমন আকর্ষণীয় ফুটবল খেলতে পারেনি আর্জেন্টিনা। চোটের কারণে লিওনেল মেসি, লাওতারো মার্তিনেজ, পাওলা দিবালাদের অনুপস্থিতি তার একপা কারণ। প্রায় ৫৫ হাজার দর্শকের সামনে উরুগুয়েও তেমন ভালো খেলতে পারেনি। বলার মতো আক্রমণই তৈরি করতে পারেনি মার্সেলো বিয়েলসার দল। তবে আর্জেন্টিনা শেষ বাঁশি বাজার পর ১১ জন নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি। যোগ করা সময়ের ৪ মিনিটের মাথায় ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন আর্জেন্টিনার নিকো গঞ্জালেস।
বিস্তারিত আসছে…।