রাজধানীতে পল্লবীর সাংবাদিক কলোনির কাছে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর নাম মো. সেলিম (৩৫)। তিনি মিরপুর-১২ নম্বর সেকশনের ১৫ নম্বর লেনে থাকতেন।

সেলিমের খালা ইয়াসমিন বেগম প্রথম আলোকে বলেন, আজ সন্ধ্যায় ইফতারের পর সেলিম পল্লবী সাংবাদিক কলোনির পাশে ওয়াপদা ভবনের সামনে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে পারভেজসহ আরও কিছু দুর্বৃত্ত তাঁর মাথায়, পেটের বাঁ পাশসহ শরীরের নানা জায়গায় এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে সেলিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তিনিসহ প্রতিবেশীরা রাত আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিমকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সেলিমের কয়েকজন প্রতিবেশী দাবি করেন, সেলিমের সঙ্গে পূর্বশত্রুতার জের ধরে পারভেজ ও তাঁর সহযোগীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। সেলিম বিএনপির সমর্থক ছিলেন। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

যোগাযোগ করা হলে আজ রাত ৯টার দিকে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে আছি। হত্যাকাণ্ডের কারণ বের করার চেষ্টা চলছে।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জয়পুরহাটে ছাত্রদলের সাবেক নেতাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা, পিস্তলসহ আটক ১

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে পাঁচবিবি সুপার মার্কেটের একটি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিয়ে পিস্তলসহ একজনকে ধরে পিটুনি দেন। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে পাঁচবিবি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আটক ব্যক্তির নাম রুবেল হোসেন (৩৪)। তিনি ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে শামীম হোসেন ও স্থানীয় দুই সাংবাদিক পাঁচবিবি সুপারমার্কেটের নিউ গার্মেন্টসের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন। রাত সোয়া ১০টার দিকে দুটি মোটরসাইকেলে ছয়জন অপরিচিত ব্যক্তি এসে শামীম হোসেনের ওপর হামলা চালান। শামীম দৌড়ে সরে পড়েন। তখন হামলাকারীরা তিন-চারটি গুলি ছোড়েন। পরে তাঁরা মোটরসাইকেলে করে রেলগেট এলাকার দিকে পালিয়ে যান।
শামীম হোসেনের চিৎকার ও গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে হামলাকারীদের ধাওয়া করেন। রেলগেট এলাকায় রাঁখি হোটেলের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়ে। তখন ওই মোটরসাইকেলে তিন আরোহী সড়কে পড়ে যান। তাঁরা মোটরসাইকেল ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় লোকজন খোঁজাখুঁজি করে একজনকে পিস্তলসহ আটক করে পিটুনি দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

শামীম হোসেন বলেন, ‘পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান সাবিকুন নাহারের স্বামী শাহ কামালের বাড়ি ফরিদপুরে। সাবেকুন নাহার গত ২৭ রমজান পাঁচবিবি দানেজপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। বিক্ষুব্ধ লোকজন আগের রাতে ইফতার মাহফিলের প্যান্ডেল ভাঙচুর করায় মাহফিল পণ্ড হয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেকুন নাহারের স্বামী ফরিদপুর থেকে ছয়জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে আমাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছেন।’

এ বিষয়ে জানতে শাহ কামালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া এক বার্তায় সাবেকুন নাহার বলেন, ‘আমরা সপরিবার দেশের বাইরে আছি। শামীমের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার ইফতার মাহফিলে হামলার ঘটনায় তিনি জনসমক্ষে জিরো হয়ে গিয়েছিলেন। এখন গুলির নাটক সাজিয়ে আবার হিরো হতে চাইছেন।’

পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের সাবেক নেতা শামীমের ওপর হামলা হয়েছে। পিস্তলসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি ফরিদপুরের বাসিন্দা। ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সালমানকে হুমকি, একজনকে খুঁজে পাওয়ার পর যে তথ্য দিল পুলিশ
  • জয়পুরহাটে ছাত্রদল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, পিস্তল-গুলিসহ আটক ১ 
  • জয়পুরহাটে ছাত্রদলের সাবেক নেতাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা, পিস্তলসহ আটক ১
  • ছাত্রলীগ নেতার লাঠির আঘাতে বিএনপিকর্মী খুন