আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
Published: 21st, March 2025 GMT
জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগের বিচার এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল। মিছিলটি বিজ্ঞান অনুষদ চত্বর, শহীদ মিনার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১-এর গণহত্যা ভাস্কর্য চত্বর প্রদক্ষিণ করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে বের হয়ে সদরঘাট, বাংলাবাজার, বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘গড়িমসি বন্ধ কর, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কর’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘খুনিদের ঠিকানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’–সহ নানা স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ মিছিলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের দু-তিনটি ছাত্রসংগঠনের কয়েকজন নেতাও অংশ নেন। তবে এতে কোনো ব্যানার ব্যবহার করা হয়নি।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘শতসহস্র ভাইয়ের রক্তে যাদের হাত রঞ্জিত, তাদের আমরা বাংলাদেশের রাজনীতি করতে দিতে চাই না। গুম-খুন–সন্ত্রাসের রাজনীতিতে আমরা ফিরে আসতে চাই না। অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলে দিতে চাই, আপনারা ভুলে যাবেন না, আপনারা আমাদের ভাইয়ের রক্তের ওপর ওই ক্ষমতার চেয়ারে বসে আছেন। রক্তের সঙ্গে বেইমানি করবেন না।’
ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, ‘কথা ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে, হবে না। কেন করা হবে না? আমরা বিপ্লবীরা কি মরে গেছি? জুলাই বিপ্লবে যারা আমাদের ভাইদের পাখির মতো হত্যা করেছে, তাদের আমরা বেঁচে থাকতে এই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেব না।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তালা ভেঙে হলে প্রবেশ আইনের লঙ্ঘন, বলল কুয়েট কর্তৃপক্ষ
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তালা ভেঙে হলে প্রবেশের ঘটনাকে স্পষ্টত বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের আইনের লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করেছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার রাতে কুয়েট কর্তৃপক্ষের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ এর পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়েটের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত দুঃখজনক ঘটনায় শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের বিভ্রান্তিকর নামের তালিকা ও সংখ্যা দেখা যাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সকলকে জানানো যাচ্ছে যে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা কোথাও প্রকাশ করা হয়নি। তাই এসব তালিকা দেখে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সব শিক্ষার্থীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। পরবর্তী সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি এই তদন্ত প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনার মাধ্যমে শাস্তিবিষয়ক সিদ্ধান্ত নেবে।
সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২ মে হল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও গুটিকয়েক শিক্ষার্থী তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেছে, যা স্পষ্টত বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের আইনের লঙ্ঘন। ওই শিক্ষার্থীদের দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি সম্মান রেখে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা রাখার জন্য বলা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলা যাচ্ছে যে, তারা যেন কোনো ধরণের অপপ্রচারে প্রভাবিত না হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, বিধি ও শৃঙ্খলা যথাযথভাবে অনুসরণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কাম্য।