সোয়ারীঘাটে গণপিটুনিতে নিহত তরুণের পরিচয় পাওয়া গেছে
Published: 21st, March 2025 GMT
রাজধানীর পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাট এলাকায় আজ শুক্রবার ভোরে ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁর নাম আসিফ মুন্সি (১৮)। আজ দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে গিয়ে স্বজনেরা তাঁর লাশ শনাক্ত করেন।
পুলিশ বলেছে, আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে চকবাজার থানার কেরানীগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ও মালামাল ছিনতাই করার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা চার যুবককে ধাওয়া দেন। ধাওয়া খেয়ে একজন পালিয়ে যান। অন্য তিনজন নদীতে ঝাঁপ দেন। তাঁরা সাঁতরে চকবাজার থানার সোয়ারীঘাটের চম্পাতলী ঘাট এলাকায় ওঠেন। এ সময় স্থানীয় জনতা তাঁদের গণপিটুনি দেয়। এতে তিনজন গুরুতর আহত হন। পুলিশ খবর পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে।
চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম সরোয়ার বলেন, আহত তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আসিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছেলের মৃত্যুর খবরে আজ দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে যান আসিফের বাবা জহির মুন্সি ও মা তানিয়া আক্তার। তাঁরা প্রথম আলোকে বলেন, আসিফ পুরান ঢাকার ইসলামপুরের একটি কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী ছিলেন। এক ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি বড়। আসিফ তাঁদের সঙ্গে কামরাঙ্গীরচরে মুসলিমবাগের ঠোটা এলাকায় থাকতেন। তাঁদের বাড়ি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামে।
পুলিশ সূত্র জানায়, আহত দুজন এখন পুলিশি প্রহরায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে আরেকজনের নাম জাহিদুল। আহত অন্যজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। জাহিদুলের বাবা শাহ আলম আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গিয়ে ছেলেকে শনাক্ত করেন। জাহিদুল মা-বাবার সঙ্গে কামরাঙ্গীরচরে থাকেন।
আরও পড়ুনছিনতাইকারী সন্দেহে জনতার ধাওয়ায় তিনজনের নদীতে ঝাঁপ, সাঁতরে ওঠার পর গণপিটুনিতে নিহত ১১০ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ গণপ ট ন এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
যেসব গণমাধ্যম সাংবাদিকদের সম্মানজনক বেতন দেবে না, তাদের আর দরকার নেই: প্রেস সচিব
যেসব গণমাধ্যম সাংবাদিকদের সম্মানজনক বেতন, ভাতা দেবে না সেসব গণমাধ্যম আর দরকার নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম এ মন্তব্য করেছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকায় কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘একজন রিপোর্টার বা সাব–এডিটরকে ৩০, ৪০ বা ৫০ হাজার টাকা বেতন দিতে না পারলে ওই সব গণমাধ্যম বন্ধ করে দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজন, রাজনৈতিক ব্যক্তি, ডিএসইসির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া সংগঠনের প্রায় পাঁচ শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুল আলম নিজেকে সাব–এডিটর দাবি করে বলেন, ‘আমার জীবনে প্রথম সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতাই হচ্ছে সহসম্পাদক বা সাব–এডিটর হিসেবে। সাব-এডিটররা সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত। সাব-এডিটররা বেতনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার।’
ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ, পিআইবি ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়া, ডিইউজে সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ, দৈনিক উত্তর দক্ষিণের সম্পাদক শেখ ফারুক আহমাদ, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএম ইউসুফ আলী।
অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মুক্তাদির অনিক ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান।