আবারও ১/১১ এর কুশীলবরা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে: দুলু
Published: 21st, March 2025 GMT
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, দেশে আবারও ১/১১-এর কুশীলবরা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা সে সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চরিত্রে কালিমা লেপন করেছিল। একজন রাজনীতিবিদের জীবনে যখন সফলতার সুবর্ণ সময়, তখন তাঁর ওপরে নানা মিথ্যা দোষারোপ করে এরা কালিমা লেপন করেছিল। শুক্রবার নাটোর জেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ কুশীলবদের ষড়যন্ত্রে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মতো ত্যাগী ও গুণী নেতা তাদের দেওয়া কালিমা গায়ে নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন জানিয়ে দুলু বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে তারা আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ছাত্র-জনতা যখন আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করছে, তখন ১/১১-এর কুশীলবরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাজনীতিবিদদের চরিত্রে আবারও কালিমা লেপন করে তারা বিনা ভোটের সরকারকে ক্ষমতায় রেখে সুবিধা নিতে চায়।
নাটোর উপশহর মাঠে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাবেক এমপি অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ।
বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান খান চৌধুরী ওরফে বাবুল চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, সাইফুল ইসলাম আফতাব, সাবেক আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সদর থানার আহ্বায়ক অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন তুষার প্রমুখ।
দুলু বলেন, এ দেশের ছাত্র-জনতা হাজারো প্রাণের বিনিময়ে দুর্নীতিবাজ, ভোটচোর আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। দেশের মানুষ নতুন করে দেশ গড়ার চেষ্টা শুরু করেছে, ভোট চোরমুক্ত পরিবেশে নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে।
নিজে অল্প বয়সে এমপি এবং মন্ত্রী হয়েছিলেন জানিয়ে দুলু বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জীবনের যে সোনালি সময়ে এ দেশের হাল ধরার করার কথা ছিল, সে সময় এসব কুশীলব তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারা তাঁকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চেয়েছিল। দেশে নতুন করে আবারও সে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
দেশের মানুষকে এসব কুশীলবের কর্মকাণ্ড নিয়ে সজাগ থাকতে হবে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, তাদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখতে হবে। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া যাবে না। কুশীলবদের ষড়যন্ত্র এবার দেশের মানুষ রুখে দেবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ষড়যন ত র শ র র ষড়যন ত র ব এনপ র সরক র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানোর নিন্দা এমএসএফের
মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। তারা বলেছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও মামলা ছাড়া কাউকে আটক রাখা আইন পরিপন্থী ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।
আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জানায় এমএসএফ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট কোনো মামলা না করে মেঘনা আলমকে দুই দিন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে রেখে তৃতীয় দিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এমএসএফ মনে করে, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী, ক্ষতিকর কাজ থেকে বিরত রাখতে সরকার যেকোনো ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ নিতে পারে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির চেষ্টা করা এবং দেশকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে মেঘনাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। কিন্তু তিনি কী ধরনের ষড়যন্ত্র করেছেন, তা ডিএমপির পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে বলা হয়নি।
আরও পড়ুনবিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ, মডেল মেঘনা কারাগারে১১ এপ্রিল ২০২৫উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী আজ প্রথম আলোকে বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সে ক্ষেত্রে ক্ষতিকর কাজ থেকে তাঁকে নিবৃত্ত রাখার জন্য আটক করতে পারেন। মডেল মেঘনা আলম ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে যুক্ত। যে কারণে তাঁকে গতকাল রাতে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী আদালত তাঁকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন।
আরও পড়ুনমডেল মেঘনা আলমকে ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’ রাখার কারণ হিসেবে যা বলল পুলিশ১১ এপ্রিল ২০২৫