যশ রাজ ফিল্মসের ‘পাঠান’ সিনেমায় খলনায়ক ‘জিম’ চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা জন আব্রাহাম। ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া এই অ্যাকশন-থ্রিলার ছিল যশ রাজ ফিল্মসের স্পাই ইউনিভার্স সিরিজের চতুর্থ ছবি। কয়েক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছিল, জিমের অতীত নিয়ে তৈরি হতে পারে একটি প্রিক্যুয়েল অথবা স্পিন-অফ। শেষমেশ এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন জন আব্রাহাম নিজেই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জিম চরিত্রের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে কি এই চরিত্রের ‘ব্যাকস্টোরি’ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে? উত্তরে জন বলেন, ‘আদিত্য চোপড়া কী পরিকল্পনা করছেন, তাঁর মাথায় কী চলছে, সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। তবে হ্যাঁ, আমাদের মধ্যে কিছু আলোচনা হয়েছে। সত্যিই চাই, ব্যাপারটি বাস্তবে পরিণত হোক। সত্যি বলতে, আমি নিজেও এ বিষয়টি নিয়ে পুরোটা জানি না। তবে আশা রাখি, একদিন জিমকে নিয়ে গল্প ভাবা হবে। বিষয়টা বেশ আকর্ষণীয়, তাই চাই এটি হোক।’

এদিন জন আব্রাহাম স্বীকার করেন, বলিউডে খুব সহজেই একঘেয়ে চরিত্রে টাইপকাস্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘পাঠান’-এর পর কি আরও নেতিবাচক চরিত্রের প্রস্তাব এসেছে? মজার ছলে জন বলেন, ‘দক্ষিণ থেকে, উত্তর থেকে, পূর্ব থেকে, সব জায়গা থেকে প্রস্তাব এসেছে।’

মাত্র পাঁচ থেকে সাত সেকেন্ডের মধ্যে সেসব প্রস্তাব ফিরিয়েও দেন জন। অভিনেতা বলেন, ‘আমার বাবা আমাকে শিখিয়েছিলেন “না বলতে শেখো, যেমন সহজে হ্যাঁ বলতে পারো।” তাই আমি “না” বলি, ব্যস!’

আরও পড়ুন২৯৯ টাকায় নিজেকে ওটিটি পর্দায় দেখাতে চাই না: জন আব্রাহাম২৩ জুন ২০২২.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দিনভর বন্ধ থাকার পর হিথরো বিমানবন্দরে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চলাচল শুরু

যুক্তরাজ্যের হিথরো বিমানবন্দর গতকাল শুক্রবার দিনভর বন্ধ ছিল। বিমানবন্দরের কাছের একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে (সাবস্টেশন) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ চলাচলের সময়সূচি ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। পরে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় সীমিত আকারে উড়োজাহাজ চলাচল শুরু করে।

হিথরো বিশ্বের পঞ্চম ব্যস্ততম বিমানবন্দর। প্রায় ৮০টি দেশ থেকে এই বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল করে। প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী হিথরো দিয়ে যাতায়াত করেন। বছরে শেষে এই সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৮ লাখ ৩০ হাজারে। বিমানবন্দরটি বন্ধের কারণে গতকাল ১ হাজার ৩০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কথা ছিল। এতে ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়েন যাত্রীরা।

এমনই একজন যাত্রী ২৮ বছর বয়সী মুহাম্মদ খলিল। গতকাল হিথরো থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। রয়টার্সকে তিনি বলেন, দেশে ফেরার জন্য তিন মাস ধরে পরিকল্পনা করছেন তিনি। উড়োজাহাজের টিকিট কিনতে অনেক অর্থ ব্যয় করেছেন। ফ্লাইট বাতিলের পর বাড়ি ফেরা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।

লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটিতে আগুন লাগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৭০ জন কর্মীকে পাঠানো হয়। পরে সকাল ৮টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনের কারণে প্রায় ১ লাখ ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে বেলা ২টার দিকে বিমানবন্দরে আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়।

এরপর গতকাল বিকেলে হিথরো বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র জানান, সন্ধ্যা থেকে বিমানবন্দরে সীমিত আকারে উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য নিরাপদ ঘোষণা করা হবে। আগামীকাল (শনিবার) থেকে পুরোদমে উড়োজাহাজ ওঠানামা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। হিথরো বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ দ্রুত স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড।

এদিকে ওই বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটিতে কীভাবে আগুন লেগেছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আগুন লাগার পর উপকেন্দ্র এলাকার আকাশে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। উপকেন্দ্রটির আশপাশের ভবনগুলো থেকে প্রায় ১৫০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। লন্ডন পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগুন লাগার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে আপাতত নাশকতার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

ভ্রমণবিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ব্যাঘাতের প্রভাব শুধু হিথরো বিমানবন্দরেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, অন্যত্রও তা ছড়িয়ে পড়বে। ভ্রমণশিল্প বিশ্লেষক হেনরি হার্টভেল্ট বলেছেন, আগামী কয়েক দিন একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ