সোনারগাঁয়ে সাংবাদিক শফিকুলের মা-বাবার জন্য দোয়া, ঈদ সামগ্রী বিতরণ
Published: 21st, March 2025 GMT
দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ, বাংলাটিভি (সোনারগাঁও এবং বন্দর প্রতিনিধি) ও ঢাকামেইলের সোনারগাঁও প্রতিনিধি এবং উত্তর জাইদেরগাঁও জামে মসজিদের পরিচলনা কমিটির সভাপতি হাজী মো. শফিকুল ইসলাম তার মা-বাবার জন্য দোয়া মাহফিল শেষে দুস্থদের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
শুক্রবার (২১ মার্চ) জুমার নামাজের পর বিকেল ৩ টার দিকে সনমান্দি ইউনিয়নের উত্তর জাইদেরগাঁওয়ে নিজ বাড়িতে তিনি এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন।
দোয়া শেষে প্রতিবছরের মতো এবারও সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এলাকার অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএম সালাহউদ্দিন, সোনারগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আব্দুস ছাত্তার প্রধান, সোনাারগাঁও পোল্টি ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম খোকন, ডিপ্লেট কোম্পানির কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান দুলাল, দৈনিক খবরের কাগজের সোনারগাঁও প্রতিনিধি ইমরান হোসেন, দৈনিক কালবেলা সোনারগাঁও প্রতিনিধি রুবেল মিয়া, চ্যানেল নিউজ ২১ সোনারগাঁও প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন ভূইয়া, দৈনিক মুক্ত খবরের সোনারগাঁও প্রতিনিধি শাহিন সাকি, দৈনিক বাংলাদেশের খবরের আনিসুর রহমান সজিব, দৈনিক নতুন সয়ম সোনারগাঁও প্রতিনিধি তৌরব হোসেন, জাকির, জামাল, জসিম, লোকমান, নাজিরউদ্দিন, সানাউল্লাহসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
৩০০ বছরের পুরোনো মোগল ফৌজদারের মসজিদ
ছয়-গম্বুজের মসজিদ। পদ্মফুলের ওপর কলসের নকশায় সাজানো হয়েছে গম্বুজের চূড়া। কমলা রঙে রঙিন গম্বুজের জৌলুশ যেন কিছুটা ম্লান করে দেয় মসজিদটির বাইরের দেয়াল। বিবর্ণ হয়ে যাওয়া দেয়ালটিতে শেওলা জমেছে। যদিও মসজিদের ভেতরে সবকিছুই বেশ পরিপাটি। মসজিদটির ভেতরে-বাইরের নানা কারুকার্য আর স্থাপত্যশৈলী ছড়ায় মুগ্ধতা।
চট্টগ্রাম নগরের চকবাজারে অবস্থিত এই মসজিদটি। নাম ‘ওয়ালী বেগ খান জামে মসজিদ’। তবে পরিচিত ‘অলি খাঁ মসজিদ’ নামেও। মসজিদটির বয়স তিন শ বছরের বেশি। চট্টগ্রাম নগরে আঠারো শতকের আগে নির্মিত সাতটি পাকা মসিজদের বিবরণ বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্রে পাওয়া যায়, যার এর একটি এই মসজিদ।
চট্টগ্রামের মুসলিমদের পুরাকীর্তির বিবরণসহ প্রথমবারের মতো বেশ কিছু শিলালিপির পাঠ পাওয়া যায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর এক সদস্যের লেখা ভ্রমণবৃত্তান্তে। তাঁর নাম—ক্যাপ্টেন পগসন। ১৮৩১ সালে শ্রীরামপুর প্রেস থেকে প্রকাশিত হয় তাঁর ‘ক্যাপ্টেন পগসন্স ন্যারেটিভ ডিউরিং এ ট্যুর টু চাটিগাঁও’ নামের বই। এতে চট্টগ্রামের চারটি শিলালিপি সংবলিত মুসলিম পুরাকীর্তি এবং তিনটি শিলালিপিবিহীন মসজিদের নাম উল্লেখ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ওয়ালী বেগ খান মসজিদের নামও।
ঐতিহাসিকদের মতে, এই মসজিদটি নির্মাণ করেন মোগল ফৌজদার (আঞ্চলিক শাসনকর্তা) ওয়ালী বেগ খান। তাঁকে চকবাজারের প্রতিষ্ঠাতাও বলা হয়। চট্টগ্রামবিষয়ক গবেষক আবদুল হক চৌধুরী তাঁর ‘বন্দর শহর চট্টগ্রাম’ বইয়ে উল্লেখ করেন, ১৭১৪ থেকে ১৭১৯ সালের মধ্যে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ মেটানোর জন্য জেলার রাউজান থানার কদলপুর, মিরসরাইয়ের নিজামপুর এবং সন্দ্বীপে ১২০ দ্রোণ (এক দ্রোনে ৮ একর) জমি ওয়াক্ফ করেছিলেন ওয়ালী বেগ খান। মসজিদের পাশে ‘কমলদহ’ নামের একটি দিঘি থাকার উল্লেখও বইটিতে রয়েছে।
আবদুল হক ছাড়াও আরও বেশ কিছু গবেষকের ইতিহাসবিষয়ক বইয়ে একই এলাকায় মোগল ফৌজদার ওয়ালী বেগ খানের আবাসসহ-কাছারি নির্মাণ আর দিঘি খননের উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে এসব এখন নেই। কালের সাক্ষী হয়ে আছে কেবল মসজিদটি।
মসজিদের ওপর রয়েছে ছয়টি গম্বুজ