নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ১৩ বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভ্যানচালককে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

রাত আটটার দিকে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আটক জসিম উদ্দিন (২৮) উপজেলার পাঁচুড়িয়া পূর্বপাড়ার বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে ভ্যান চালিয়ে উপজেলার একটি গ্রামে যান জসিম। এ সময় পানি পানের নাম করে ওই প্রতিবন্ধী শিশুদের বাড়িতে ঢোকেন তিনি। এ সময় বাড়িতে শিশুটি ছাড়া আর কেউ ছিল না। এমন অবস্থায় মেয়েটিকে গোয়ালঘরের পেছনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় জসিম। এরই মধ্যে মেয়েটির মা বাড়িতে চলে আসে। তিনি মেয়ের চিৎকার শুনে এগিয়ে গেলে জসিম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় এলাকার লোকজন এসে তাঁকে আটক করে পুলিশে দেন।

লোহাগড়া থানার ওসি আশিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ওই ভ্যানচালককে আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

৩০০ বছরের পুরোনো মোগল ফৌজদারের মসজিদ

ছয়-গম্বুজের মসজিদ। পদ্মফুলের ওপর কলসের নকশায় সাজানো হয়েছে গম্বুজের চূড়া। কমলা রঙে রঙিন গম্বুজের জৌলুশ যেন কিছুটা ম্লান করে দেয় মসজিদটির বাইরের দেয়াল। বিবর্ণ হয়ে যাওয়া দেয়ালটিতে শেওলা জমেছে। যদিও মসজিদের ভেতরে সবকিছুই বেশ পরিপাটি। মসজিদটির ভেতরে-বাইরের নানা কারুকার্য আর স্থাপত্যশৈলী ছড়ায় মুগ্ধতা।

চট্টগ্রাম নগরের চকবাজারে অবস্থিত এই মসজিদটি। নাম ‘ওয়ালী বেগ খান জামে মসজিদ’। তবে পরিচিত ‘অলি খাঁ মসজিদ’ নামেও। মসজিদটির বয়স তিন শ বছরের বেশি। চট্টগ্রাম নগরে আঠারো শতকের আগে নির্মিত সাতটি পাকা মসিজদের বিবরণ বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্রে পাওয়া যায়, যার এর একটি এই মসজিদ।

চট্টগ্রামের মুসলিমদের পুরাকীর্তির বিবরণসহ প্রথমবারের মতো বেশ কিছু শিলালিপির পাঠ পাওয়া যায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর এক সদস্যের লেখা ভ্রমণবৃত্তান্তে। তাঁর নাম—ক্যাপ্টেন পগসন। ১৮৩১ সালে শ্রীরামপুর প্রেস থেকে প্রকাশিত হয় তাঁর ‘ক্যাপ্টেন পগসন্স ন্যারেটিভ ডিউরিং এ ট্যুর টু চাটিগাঁও’ নামের বই। এতে চট্টগ্রামের চারটি শিলালিপি সংবলিত মুসলিম পুরাকীর্তি এবং তিনটি শিলালিপিবিহীন মসজিদের নাম উল্লেখ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ওয়ালী বেগ খান মসজিদের নামও।

ঐতিহাসিকদের মতে, এই মসজিদটি নির্মাণ করেন মোগল ফৌজদার (আঞ্চলিক শাসনকর্তা) ওয়ালী বেগ খান। তাঁকে চকবাজারের প্রতিষ্ঠাতাও বলা হয়। চট্টগ্রামবিষয়ক গবেষক আবদুল হক চৌধুরী তাঁর ‘বন্দর শহর চট্টগ্রাম’ বইয়ে উল্লেখ করেন, ১৭১৪ থেকে ১৭১৯ সালের মধ্যে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ মেটানোর জন্য জেলার রাউজান থানার কদলপুর, মিরসরাইয়ের নিজামপুর এবং সন্দ্বীপে ১২০ দ্রোণ (এক দ্রোনে ৮ একর) জমি ওয়াক্ফ করেছিলেন ওয়ালী বেগ খান। মসজিদের পাশে ‘কমলদহ’ নামের একটি দিঘি থাকার উল্লেখও বইটিতে রয়েছে।

আবদুল হক ছাড়াও আরও বেশ কিছু গবেষকের ইতিহাসবিষয়ক বইয়ে একই এলাকায় মোগল ফৌজদার ওয়ালী বেগ খানের আবাসসহ-কাছারি নির্মাণ আর দিঘি খননের উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে এসব এখন নেই। কালের সাক্ষী হয়ে আছে কেবল মসজিদটি।

মসজিদের ওপর রয়েছে ছয়টি গম্বুজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ