স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
Published: 21st, March 2025 GMT
পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, একটি মহল সংস্কার এবং নির্বাচনকে যেভাবে মুখোমুখি করে ফেলেছে, এটি নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। যারা সংস্কার শেষ করার পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করার কথা বলছেন, তাদের বলতে চাই- যেটি শেষ হয়ে যায়, সেটি সংস্কার নয়। কারণ সংস্কার কখনো শেষ হয় না। এটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
শুক্রবার রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবীদের সম্মানে এই ইফতারের আয়োজন করে বিএনপি।
তারেক রহমান বলেন, দেশের সংবিধানকে ইচ্ছামতো কাটাছেঁড়া করে পতিত পলাতক স্বৈরাচার দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিল। বিএনপি মনে করে, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে খেতাবি কিংবা পুঁথিগত সংস্কারের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অধিকার এবং আচরণের ব্যবহারিক প্রয়োগ। জনগণের গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্যে দিয়ে কেবল সংস্কার প্রক্রিয়া টেকসই, সফল এবং কার্যকর হয়ে উঠতে পারে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গণইস্যুকে মুখ্য ইস্যু বানাতে গিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের সংশয় ও সন্দেহের জন্ম দেওয়া হচ্ছে। আমি অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবারও বলতে চাই, সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না, যাতে রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পায়। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার অর্থ সারাদেশে ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেওয়া। সুতরাং সবার আগে প্রয়োজন জাতীয় নির্বাচন। নাগরিকরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী না হলে কোনো সংস্কার টেকসই হবে না।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড.
এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এই ইফতার মাহফিলে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ব এনপ ব এনপ র র জন ত রহম ন ইফত র
এছাড়াও পড়ুন:
মহাকাশ ঘুরে এলেন কেটি পেরিসহ ৬ নারী
ছয় নারী মহাকাশ ভ্রমণে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিশ্বে প্রথমবারের মতো ক্রু মিশনে তারা মহাকাশ ঘুরে আবার পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। এই ঘটনা মহাকাশ পর্যটনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল বলে মনে করা হচ্ছে।
বিবিসি লিখেছে, জেফ বেজোসের মহাকাশ কোম্পানি ব্লু অরিজিন-এর তৈরি সাব-অরবিটাল রকেটে করে ছয় নারী মহাকাশ ভ্রমণ করে এসেছেন। তাদের মধ্যে একজন পপ শিল্পী কেটি পেরি। মহাকাশে পৌঁছে তিনি গান গেয়ে শোনান।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাসের ‘লঞ্চ সাইট ওয়ান’ থেকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য স্বচালিত একটি রকেটে চেপে মহাকাশ ভ্রমণ শুরু করেন ছয় নারী। অবশ্য বেশিক্ষণ তারা সেখানে থাকেননি; মাত্র ১০ মিনিটের মহাকাশ ভ্রমণ। তারপরই তারা পৃথিবীতে ফিরে আসেন।
আরো পড়ুন:
৬৪ বছর বয়সে অভিষেক, ইতিহাস গড়লেন জোয়ানা চাইল্ড
আইপিএলে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্পেল, আর্চারের দুঃস্বপ্নের দিন
মহাশূন্যে পৌঁছে তিন মিনিট তারা ওজনহীনভাবে ভেসে বেড়ান। ক্যাপসুলের জানালা দিয়ে উপভোগ করেন পৃথিবীর অবারিত সৌন্দর্য। এরপর তিনটি প্যারাসুট ব্যবহার করে পৃথিবীতে ফিরে আসেন তারা।
যে ছয়জন মহাকাশ ভ্রমণ করে এলেন, তারা সবাই পশ্চিমা বিশ্বে বেশ পরিচিত মুখ।
বিবিসি তথ্য অনুযায়ী, পপ তারকা কেটি পেরি, লেখক ও বেজোসের বাগদত্তা লরেন সানচেজ, সাংবাদিক ও টিভি উপস্থাপক গেইল কিং, নাগরিক অধিকারকর্মী আমান্ডা এনগুয়েন, নাসার সাবেক রকেট বিজ্ঞানী আয়িশা বোয়ে এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা কেরিয়ান ফ্লিন এই ভ্রমণ দলের সদস্য।
সানচেজ ছিলেন এই মিশনের নেতৃত্বে, যিনি রকেট উৎক্ষেপণের আগে বলেছিলেন, জেফ বেজোস তাকে বলেছেন এই মহাকাশ ভ্রমণের পর তার জীবন বদলে যাবে।
১৯৬৩ সালে রাশিয়ার নভোচারী ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা একক মিশনে মহাকাশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন। তবে তার ভ্রমণ সময় ছিল প্রায় তিন দিন; ৭০ ঘণ্টারও বেশি।
ঢাকা/রাসেল