পাবনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, “আমি আপনাদের সাথী ভাই, আপনারাও আমার সাথী ভাই। আমরা সবাই মিলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ হয়ে দেশে ফিরলে তার নেতৃত্বে আমরা কর্মকাণ্ড চালাব। যারা চাঁদাবাজি লুটতরাজ সন্ত্রাসী করছে তাদের সাথে আমাদের যেন কোন সম্পর্ক যেন না থাকে।” 

তিনি আরো বলেন, “তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব বলেছেন রিজভি সাহেব বলেছেন এক কথা। আমরা যদি সেই অনুযায়ী চলতে পারি তাহলে দেশ শাসন করব। তাহলে দেশের মানুষ ভালো থাকবে আপনারাও ভালো থাকবেন। আমরা যেন সৎ সাহসী হিসেবে চলতে পারি এটাই আপনাদের কাছে আমার বিনয়ের সাথে অনুরোধ। বিএনপির জাতীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।”

শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে পাবনার চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা এবং বিগত স্বৈরাচার সরকারের মিথ্যা মামলায় পাবনা-৩ এলাকার কারাবরণকারী নেতাকর্মীদের সম্মানে এই দোয়া ও ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়। 

চাটমোহর উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

পাবনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম কালুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আব্দুল হাকিম খান; 

ভাঙ্গুড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মজিবর রহমান, চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ছাইকোলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান তোতা, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন; 

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সরকার রেজাউল করিম, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব তানভীর জুয়েল লিখন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফুলচাঁদ শামীম প্রমুখ।

ঢাকা/শাহীন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র উপজ ল সদস য রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

দিনভর বন্ধ থাকার পর হিথরো বিমানবন্দরে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চলাচল শুরু

যুক্তরাজ্যের হিথরো বিমানবন্দর গতকাল শুক্রবার দিনভর বন্ধ ছিল। বিমানবন্দরের কাছের একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে (সাবস্টেশন) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ চলাচলের সময়সূচি ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। পরে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় সীমিত আকারে উড়োজাহাজ চলাচল শুরু করে।

হিথরো বিশ্বের পঞ্চম ব্যস্ততম বিমানবন্দর। প্রায় ৮০টি দেশ থেকে এই বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল করে। প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী হিথরো দিয়ে যাতায়াত করেন। বছরে শেষে এই সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৮ লাখ ৩০ হাজারে। বিমানবন্দরটি বন্ধের কারণে গতকাল ১ হাজার ৩০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কথা ছিল। এতে ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়েন যাত্রীরা।

এমনই একজন যাত্রী ২৮ বছর বয়সী মুহাম্মদ খলিল। গতকাল হিথরো থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। রয়টার্সকে তিনি বলেন, দেশে ফেরার জন্য তিন মাস ধরে পরিকল্পনা করছেন তিনি। উড়োজাহাজের টিকিট কিনতে অনেক অর্থ ব্যয় করেছেন। ফ্লাইট বাতিলের পর বাড়ি ফেরা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।

লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটিতে আগুন লাগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৭০ জন কর্মীকে পাঠানো হয়। পরে সকাল ৮টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনের কারণে প্রায় ১ লাখ ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে বেলা ২টার দিকে বিমানবন্দরে আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়।

এরপর গতকাল বিকেলে হিথরো বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র জানান, সন্ধ্যা থেকে বিমানবন্দরে সীমিত আকারে উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য নিরাপদ ঘোষণা করা হবে। আগামীকাল (শনিবার) থেকে পুরোদমে উড়োজাহাজ ওঠানামা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। হিথরো বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ দ্রুত স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড।

এদিকে ওই বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটিতে কীভাবে আগুন লেগেছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আগুন লাগার পর উপকেন্দ্র এলাকার আকাশে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। উপকেন্দ্রটির আশপাশের ভবনগুলো থেকে প্রায় ১৫০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। লন্ডন পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগুন লাগার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে আপাতত নাশকতার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

ভ্রমণবিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ব্যাঘাতের প্রভাব শুধু হিথরো বিমানবন্দরেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, অন্যত্রও তা ছড়িয়ে পড়বে। ভ্রমণশিল্প বিশ্লেষক হেনরি হার্টভেল্ট বলেছেন, আগামী কয়েক দিন একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ