‘চাঁদাবাজি লুটতরাজ সন্ত্রাসীদের সাথে আমাদের যেন সম্পর্ক না থাকে’
Published: 21st, March 2025 GMT
পাবনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, “আমি আপনাদের সাথী ভাই, আপনারাও আমার সাথী ভাই। আমরা সবাই মিলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ হয়ে দেশে ফিরলে তার নেতৃত্বে আমরা কর্মকাণ্ড চালাব। যারা চাঁদাবাজি লুটতরাজ সন্ত্রাসী করছে তাদের সাথে আমাদের যেন কোন সম্পর্ক যেন না থাকে।”
তিনি আরো বলেন, “তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব বলেছেন রিজভি সাহেব বলেছেন এক কথা। আমরা যদি সেই অনুযায়ী চলতে পারি তাহলে দেশ শাসন করব। তাহলে দেশের মানুষ ভালো থাকবে আপনারাও ভালো থাকবেন। আমরা যেন সৎ সাহসী হিসেবে চলতে পারি এটাই আপনাদের কাছে আমার বিনয়ের সাথে অনুরোধ। বিএনপির জাতীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।”
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে পাবনার চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা এবং বিগত স্বৈরাচার সরকারের মিথ্যা মামলায় পাবনা-৩ এলাকার কারাবরণকারী নেতাকর্মীদের সম্মানে এই দোয়া ও ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়।
চাটমোহর উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
পাবনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম কালুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আব্দুল হাকিম খান;
ভাঙ্গুড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মজিবর রহমান, চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ছাইকোলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান তোতা, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন;
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সরকার রেজাউল করিম, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব তানভীর জুয়েল লিখন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফুলচাঁদ শামীম প্রমুখ।
ঢাকা/শাহীন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র উপজ ল সদস য রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
কুবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে হিন্দুধর্ম অবমাননার অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। তারা উপাচার্যকে অভিযোগপত্রের একটি কপি দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আব্দুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থী। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তার পোস্টটির স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে সমালোচনা হয়।
আরো পড়ুন:
কুবি শিক্ষার্থীদের ভাবনায় ফ্যাসিবাদমুক্ত নববর্ষ
৫ বছর পর কুবিতে নববর্ষ উদযাপন
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সম্প্রতি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী (আব্দুর রহমান, আইন বিভাগ ১৮তম আবর্তন) লাগাতার সনাতন ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটুক্তি করে যাচ্ছে। এর মধ্যে সোমবার (১৪ এপ্রিল) একটি পোস্টে সনাতন ধর্মকে ঘৃণিত ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে। সেখোনে ‘হিন্দুধর্ম। ইট'স রিকোয়াইর্স টু বি অ্যাগ্রেসিভলি রেপড, (গালি) ইন আ রুড ওয়ে। (গালি)।’ বলা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, এই বক্তব্য শুধু কুরুচিপূর্ণ নয়, বরং আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে অপমান এবং ঘৃণিত করে। এ ধরনের বক্তব্য কোনো সভ্য সমাজ বা শিক্ষাঙ্গনে মেনে নেওয়া যায় না। এছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ অনুযায়ী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। যার সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে বর্তমানে ২ বছর কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় একটি জ্ঞান ও সম্প্রীতির স্থান। এখানে এমন কোনো মত প্রকাশের সুযোগ থাকা উচিত নয়, যা অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করে এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করে।
অভিযোগপত্রে তাদের দাবি, ওই শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘৃণিত কাজ না করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার (১৪ এপ্রিল) এম এ হোসাইন নামের একটি পেইজে জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে জীবন্ত ছাগলকে পুড়িয়ে ফেলার একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেটার ক্যাপশন অপশনে লেখা ছিল ‘জনশ্রুতি আছে, পৃথিবীর নিকৃষ্ট ধর্ম হচ্ছে হিন্দু ধর্ম। একটা নিরীহ জীবন্ত প্রাণীকে এভাবে আগুনে পুড়ে মারার অধিকার কি কোনো ধর্মে আছে?’
পরবর্তীতে স্ক্রিনশটটি আরো ছড়িয়ে পড়লে শেয়ারকৃত পোস্টটি ডিলিট করে ক্ষমা চেয়ে নতুন আরেকটি পোস্ট শেয়ার করেন। বর্তমানে অভিযুক্ত আবদুর রহমানের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাক্টিভেট করে রাখা হয়েছে।
আইন বিভাগের ১৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সজীব বিশ্বাস বলেন, “আব্দুর রহমান যেভাবে ফেসবুকে আমাদের ধর্মকে নিয়ে কটুক্তি করেছে, আমি তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী কিভাবে একটা ধর্মকে নিয়ে এমনভাবে গালি দিতে পারে? আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলবো, বিগত বছরগুলাতে যেভাবে ধর্মকে অবমাননার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে, এবারো যেন তার ব্যতিক্রম না ঘটে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবদুর রহমান বলেন, “আমি আমার বক্তব্য প্রক্টর অফিসে দিয়েছি।”
আইন বিভাগের বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. আলী মোর্শেদ কাজেম বলেন, “আমি এই বিষয়ে অবগত নই। ঘটনা সম্পূর্ণ না জেনে আমি তো কোন বক্তব্য দিতে পারছি না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবদুল হাকিম বলেন, “আমরা অভিযোগপত্রটি পেয়েছি অভিযুক্ত শিক্ষার্থী যেহেতু আইন বিভাগের, সেহেতু আমরা ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমে অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি শৃংখলা কমিটির কাছে হস্তান্তর করবো।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “আমি অভিযোগপত্রটি পেয়েছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে ডেকে শোকজ করা হবে। তার লিখিত ব্যাখ্যা গ্রহণের পর নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী