Risingbd:
2025-03-21@22:02:41 GMT

পল্লবীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

Published: 21st, March 2025 GMT

পল্লবীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

রাজধানীর পল্লবীতে সেলিম (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেলিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সেলিম এক সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনের বিহারী ক্যাম্প ওয়াবদা কলোনি বিল্ডিংয়ে থাকতেন। পেশায় কারচুপির কারখানায় কাজ করতেন তিনি।

আরো পড়ুন:

রাজশাহীর মিম হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

খুলনায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

সেলিমের খালা ইয়াসমিন আক্তার জানান, সেলিম স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে মিরপুর ১১ বিহারী ক্যাম্প ওয়াবদা কলোনি বিল্ডিংয়ে থাকতো। সন্ধ্যার দিকে ওয়াবদা বিল্ডিং এর পাশে মাঠে পূর্ব শত্রুতার জেরে সেলিমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রাখে।

খালা ইয়াসমিন দাবি করেন, স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী পারভিন, রনি, জনি, সীমা ও রানীসহ আরো বেশ কয়েকজন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সেলিমকে কুপিয়ে হত্যা করে।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো.

ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য

এছাড়াও পড়ুন:

৩০০ বছরের পুরোনো মোগল ফৌজদারের মসজিদ

ছয়-গম্বুজের মসজিদ। পদ্মফুলের ওপর কলসের নকশায় সাজানো হয়েছে গম্বুজের চূড়া। কমলা রঙে রঙিন গম্বুজের জৌলুশ যেন কিছুটা ম্লান করে দেয় মসজিদটির বাইরের দেয়াল। বিবর্ণ হয়ে যাওয়া দেয়ালটিতে শেওলা জমেছে। যদিও মসজিদের ভেতরে সবকিছুই বেশ পরিপাটি। মসজিদটির ভেতরে-বাইরের নানা কারুকার্য আর স্থাপত্যশৈলী ছড়ায় মুগ্ধতা।

চট্টগ্রাম নগরের চকবাজারে অবস্থিত এই মসজিদটি। নাম ‘ওয়ালী বেগ খান জামে মসজিদ’। তবে পরিচিত ‘অলি খাঁ মসজিদ’ নামেও। মসজিদটির বয়স তিন শ বছরের বেশি। চট্টগ্রাম নগরে আঠারো শতকের আগে নির্মিত সাতটি পাকা মসিজদের বিবরণ বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্রে পাওয়া যায়, যার এর একটি এই মসজিদ।

চট্টগ্রামের মুসলিমদের পুরাকীর্তির বিবরণসহ প্রথমবারের মতো বেশ কিছু শিলালিপির পাঠ পাওয়া যায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর এক সদস্যের লেখা ভ্রমণবৃত্তান্তে। তাঁর নাম—ক্যাপ্টেন পগসন। ১৮৩১ সালে শ্রীরামপুর প্রেস থেকে প্রকাশিত হয় তাঁর ‘ক্যাপ্টেন পগসন্স ন্যারেটিভ ডিউরিং এ ট্যুর টু চাটিগাঁও’ নামের বই। এতে চট্টগ্রামের চারটি শিলালিপি সংবলিত মুসলিম পুরাকীর্তি এবং তিনটি শিলালিপিবিহীন মসজিদের নাম উল্লেখ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ওয়ালী বেগ খান মসজিদের নামও।

ঐতিহাসিকদের মতে, এই মসজিদটি নির্মাণ করেন মোগল ফৌজদার (আঞ্চলিক শাসনকর্তা) ওয়ালী বেগ খান। তাঁকে চকবাজারের প্রতিষ্ঠাতাও বলা হয়। চট্টগ্রামবিষয়ক গবেষক আবদুল হক চৌধুরী তাঁর ‘বন্দর শহর চট্টগ্রাম’ বইয়ে উল্লেখ করেন, ১৭১৪ থেকে ১৭১৯ সালের মধ্যে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ মেটানোর জন্য জেলার রাউজান থানার কদলপুর, মিরসরাইয়ের নিজামপুর এবং সন্দ্বীপে ১২০ দ্রোণ (এক দ্রোনে ৮ একর) জমি ওয়াক্ফ করেছিলেন ওয়ালী বেগ খান। মসজিদের পাশে ‘কমলদহ’ নামের একটি দিঘি থাকার উল্লেখও বইটিতে রয়েছে।

আবদুল হক ছাড়াও আরও বেশ কিছু গবেষকের ইতিহাসবিষয়ক বইয়ে একই এলাকায় মোগল ফৌজদার ওয়ালী বেগ খানের আবাসসহ-কাছারি নির্মাণ আর দিঘি খননের উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে এসব এখন নেই। কালের সাক্ষী হয়ে আছে কেবল মসজিদটি।

মসজিদের ওপর রয়েছে ছয়টি গম্বুজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ