জুলাই স্পিরিট ছিলো ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিপক্ষে : শিবির সভাপতি
Published: 21st, March 2025 GMT
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের ভাই-বোনেরা যে রক্ত দিয়েছেন সেটাকে প্রকৃত সফলতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য জুলাই স্পিরিটের আলোচনা জারি রাখতে হবে। জুলাই স্পিরিট ছিল ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিপক্ষে।
এজন্য যদি আমাদের জীবন দিতে হয় রক্ত দিতে হয় দিবো। এরপরও আমরা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না, ন্যায়ের পক্ষে থাকবো। এটা ছিল জুলাই বিপ্লবের অন্যতম স্পিরিট।
শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সদস্য ও সাথীদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন শহরের মাসদাইর এলাকার বাংলা ভবন কমিউনিটি সেন্টারে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মো.
তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ের স্পিরিট ছিলো ভ্রাতৃত্ব ভালোবাসা। সেক্রিপ্রাইজ করার মানসিকতা। যার কারণে আহত অনেককে সাহায্য করা সময় তারা বলেছে আপনারা আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যান। আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
জুলাইয়ের ক্রেডিট নিয়ে ডিবেটের বিষয় উল্লেখ করে শিবির সভাপতি বলেন, আজকের এই দিনে মনে হচ্ছে আমরা জুলাই স্পিরিটকে ভুলে যাচ্ছি। ওই সময়ে যে মানসিকতা ছিলো কেন জানি সেটা থেকে সড়ে যাচ্ছি। দুনিয়ার প্রাপ্তির দিকে নজর চলে যাচ্ছে। ক্রেডিট নিয়ে একধরনের ডিবেট শুরু হয়ে গেছে। কে কার চেয়ে কত বেশি করেছি। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি হাফেজ মো. ইসমাইলের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক কেন্দ্রীয় শিবির সভাপতি আবদুল জব্বার।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অন য য় র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, কুমেক হাসপাতালে গিয়ে হামলার শিকার ৪ সাংবাদিক
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) ভুল চিকিৎসায় পারুল বেগম (৫২) নামের এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন চারজন সাংবাদিক। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একদল ইন্টার্ন চিকিৎসক এ হামলা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আহত সাংবাদিকরা।
আহতরা হলেন- যমুনা টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি রফিক ইসলাম খোকন চৌধুরী, ক্যামেরা পার্সন সাকিব, চ্যানেল ২৪ এর কুমিল্লা প্রতিনিধি জাহিদুর রহমান এবং ক্যামেরা পার্সন ইরফান। এ সময় হামলাকারীরা তাদের মারধর করে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর ইন্টার্ন চিকিৎসক ও বেশকিছু শিক্ষার্থী হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
রাত সোয়া ১টায় ওই হাসপাতাল থেকে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম সমকালকে বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করেছেন। তাদেরকে জেনারেল হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যুমনা টিভির সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে ভুল চিকিৎসায় একজন নারীর মারা যাওয়ার খবর শুনে হাসপাতালে যাওয়ার পর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায় ও ক্যামেরা ভাঙচুর করেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার আমরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আমাদের ওপর হামলা চালায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মাসুদুর রহমানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মুঠোফোনে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: মির্জা মুহাম্মদ তাইয়েবুল ইসলাম সমকালকে বলেন, আমরা এ নিয়ে জরুরি মিটিংয়ে বসেছি। কেন এই ঘটনা তা জেনে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।